cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
করো’না মহামা’রি নিয়ন্ত্রণে আবারও ‘লকডাউনের’ ঘোষণা আসছে— এমন খবরে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানগুলোতে ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। অনেকেই প্রয়োজনের অ’তিরিক্ত পণ্য কিনে বাড়ি ফিরছেন।
শনিবার (৩ এপ্রিল) বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত রাজধানীর উত্তরার ৩নং সেক্টরের রাজলক্ষ্মী, ৫নং সেক্টরের জোহরা মা’র্কেটসহ আশাপাশের বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
দোকানিরা জানান, বিকেল ৩টার পর থেকে দোকানে ক্রেতা সমাগম বাড়তে শুরু করে। অনেকেই ১০ থেকে ১৫ দিনের বাজার একবারে সংগ্রহ করে বাড়ি ফিরছেন। এসব বাজারে সাধারণত দুপুর ১টার পরে ভিড় দেখা যায় না। তবে আজ লকডাউন আসছে— এমন খবরে দুপুরের পর থেকে ক্রেতাদের উপস্থিতি বেড়েছে। সময় যত যাচ্ছে ক্রেতারা তত ভিড় জমাচ্ছেন।
জোহরা মা’র্কে’টের দোকানি হাসান বলেন, দুপুরের পর থেকে বাজারে সাধারণত ক্রেতাদের উপস্থিতি কম থাকে। আজ অন্যান্য দিনের চেয়ে একটু বেশি ক্রেতা দেখা যাচ্ছে। সামনে রোজা ও লকডাউন— এ দুই কারণে হয়তো ক্রেতারা একবারে বেশি পণ্য কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।১৪নং সেক্টরের তসলিম আহমেদ জানান, আসলে গত কয়েকদিন ধরে যে হারে করো’নার সংক্রমণ বাড়ছে তাতে সবাই লকডাউনের অনুমান করেছিল। এখন দোকানপাট বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশ’ঙ্কায় একসঙ্গে বাজার করতে হচ্ছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি মিনিকেট চাল ৬০ থেকে ৬২ টাকা, গুটি চাল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, দেশি রসুন ১০০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, ভা’রতীয় পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, মোটা ডাল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ছোলা ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিমের ডজন মিলছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়।
কাঁঠাল বাগান বাজারে কথা হয় বেসরকারি চাকরিজীবী হাফিজুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, সামনে রমজান মাস তাই আগে থেকে বাজার করার পরিকল্পনা ছিল। ভেবেছিলাম আরও কয়েকদিন পর করব। আজ হঠাৎ লকডাউনের ঘোষণার পর দ্রুত বাজারে আসতে হলো। লকডাউনের কারণে যদি দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায় তাহলে এসব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারব না।
এদিকে ফার্মেসি ও বিভিন্ন দোকানে বেড়েছে হ্যান্ডওয়াশ ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের চাহিদা। শুক্রাবাদ কাঁচাবাজারের মুদি দোকানদার রফিকুল ইস’লাম বলেন, ইতোমধ্যে লাইফবয়, স্যাভলন ও ডেটল হ্যান্ডওয়াশের রিফিল প্যাক শেষ হয়ে গেছে। ক্রেতা আসছেন কিন্তু দোকানে মজুত না থাকায় দিতে পারছি না।
বেড়েছে মাস্কের চাহিদাও। লকডাউন ঘোষণার পর ফুটপাত থেকে মা’র্কেট সব জায়গায়ই মাস্ক কিনতে ভিড় করছেন সাধারণ মানুষ। এ সুযোগে বেশি দাম হাঁকছেন বিক্রেতারা। সকালে পাঁচটি সার্জিক্যাল মাস্ক ১০টাকায় বিক্রি হলেও এখন একটি মাস্কের দাম চাওয়া হচ্ছে ১০টাকা।
হঠাৎ কেন অ’তিরিক্ত দাম রাখা হচ্ছে— এমন প্রশ্নের উত্তরে কোনো সদুত্তর দিতে পারলেন না নীলক্ষেতের মাস্ক বিক্রেতা সাগর হাসান। তিনি বলেন, আগামী সাতদিন লকডাউন থাকবে। আম’রা কী’ভাবে খাব? কী’ভাবে চলব? অ’তিরিক্ত টাকা না নিলে তো না খেয়ে ম’রতে হবে।উল্লেখ্য, শনিবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গণমাধ্যমকে জানান, করো’না পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি হওয়ায় আগামী সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে এক সপ্তাহের জন্য সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করতে যাচ্ছে সরকার। আজ সন্ধ্যার মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবে। তবে শিল্প-কলকারখানা শর্তসা’পেক্ষ চালু থাকতে পারে। বন্ধ থাকবে দোকানপাট-শপিংমল।