cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
করো’না মহামা’রির কারণে ২০২০ সালের শুরু থেকে চীনে অবস্থানরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা পর্যায়ক্রমে দেশে আসতে শুরু করেন। প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে শিক্ষার্থীরা দেশে অবস্থান করছেন। চীনের নির্ধারিত ভ্যাকসিন দিতে না পারায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরতে পারছেন না তারা। এ নিয়ে হতাশায় ভুগছেন দেশটিতে অধ্যয়নরত অধিকাংশ শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, বর্তমানে মালয়েশিয়া, কানাডা, যু’ক্তরাজ্য, যু’ক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্র বিদেশি শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে। ঠিক একইভাবে চীনও পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। কিন্তু দুঃখজনক হলো চীন সম্প্রতি ভিসা সুবিধাপ্রাপ্ত ৮২টি রাষ্ট্রের নাম প্রকাশ করেছে যাতে ভা’রত, পা’কিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কাসহ পাশের সব দেশের নাম থাকলেও সেই তালিকায় বাংলাদেশের নাম নেই। তাই বাংলাদেশে অবস্থানরত চীনে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সেখানে সহসায় ফিরে যাওয়ার বিষয়টি এখন অনিশ্চিত।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানান, অনলাইনে তাদের তিনটি সেমিস্টার শেষের পথে কিন্তু এখন পর্যন্ত চীনে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে কোনো ধরনের কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। কিন্তু চীনে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গিয়ে অফলাইনে ক্লাস করছেন।
তারা আরও বলেছেন, বিদেশে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা মূলত গবেষণা ও ল্যাবকেন্দ্রিক। সেই জায়গায় অনলাইনে দীর্ঘদিন পড়াশোনা চলমান থাকায় তারা পরিপূর্ণ জ্ঞান অর্জন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ নিয়ে তাদের মাঝে চরম হতাশা কাজ করছে। যারা সেলফ-ফান্ডে (নিজ খরচে) পড়াশোনা করছেন তারা তাদের অ্যাকাডেমিক সব সুবিধা না পাওয়া সত্ত্বেও ফি প্রদান করতে হচ্ছে।
অন্যদিকে স্কলারশিপে পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীদের সব ধরনের বৃত্তি স্থগিত করে রাখা হয়েছে। এইসব অবস্থার পরিবর্তনের জন্য কিছু শিক্ষার্থী নিজ উদ্যোগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও চীনা দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও আশার বাণী ছাড়া এখনো পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
বিভিন্ন গণমাধ্যম ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জানা যায়, যদি শিক্ষার্থীরা চীনের তৈরি সিনোফার্ম (SINOPHARM) ভ্যাকসিন গ্রহণ করে তবে আগামী সেমিস্টারে বা সেপ্টেম্বর নাগাদ চায়না ফেরত যেতে পারার একটা সম্ভাবনা রয়েছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশে অবস্থানরত চীনা রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশকে বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে পাঁচ লাখ ভ্যাকসিন দেয়ার প্রস্তাব পাঠান। কিন্তু শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন দেয়ার ব্যাপারে কোনো কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা তাদের উচ্চশিক্ষা নিয়ে হতাশায় ভুগছেন।
বাংলাদেশে অবস্থানরত চীনের এক বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শাহিদুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, করো’না পরিস্থিতির শুরু পর থেকে গত এক বছর ধরে চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। বর্তমানে চীনের তৈরি ভ্যাকসিন না নেয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরা সম্ভব হচ্ছে না। চীনের তৈরি ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য নতুন করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও চীনা দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে।
ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে চীন ও বাংলাদেশের দায়িত্বরত কর্তৃপক্ষ যাতে দ্রুত একটি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কা’মনা করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।