cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
চার বছরে দ্বিগুণ, পাঁচ বছরে আড়াইগুণ হারে এফডিআর। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রকল্প এবং প্রতি লাখে মাসে দুই হাজার টাকা করে লাভ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় ১৭ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় ‘মিতালী ভিশন’ নামে এক এলএমএল কোম্পানি। গ্রাহকদের এ টাকা নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি হঠাৎ উধাও হয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসডিএস, ডিভিএস, আমানত, এফডিআর, এমপিআই ও শেয়ার ক্রয়সহ বিভিন্ন খাতের নাম করে এসব টাকা তুলে পরে পালিয়ে গেছে কোম্পানিটি। নিজেদের টাকা ফেরত পেতে একদল ভুক্তভোগী নারী-পুরুষ গতকাল শনিবার সকালে কুমিল্লা প্রেসক্লাবে এসে জড়ো হন। কুমিল্লা নগরীর
পদুয়ারবাজার বিশ^রোডে অবস্থিত মিতালী ভিশন (প্রা.) লিমিটেড নামে ওই কোম্পানি হঠাৎ করেই রাতের আঁধারে পালিয়ে যায় বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন। তারা বলেন, অনেকে এ কোম্পানির প্রতারণার ফাঁদে পড়ে সর্বস্ব হারিয়ে এখন ভিটে-মাটিহীন হয়ে পড়েছেন। নিজেদের কষ্টের টাকা উদ্ধারে তারা বারবার চেষ্টা করেও কোনো কূল-কিনারা পাচ্ছেন না।
তবে গতকাল দুপুরে এ বিষয়ে মন্তব্য নিতে ওই কোম্পানির এমডি মো. নিজাম উদ্দিন পাটোয়ারী এবং চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেনের মোবাইল ফোনে বারবার চেষ্টা করার পরও রিসিভ করেননি।
নারায়ণচন্দ্র দেবনাথ, বিমলচন্দ্র দেবনাথ, জাকির হোসেন, পলাশ দেবনাথ, সবিতা রানী, এরশাদ মিয়াসহ বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী কান্নায় ভেঙে পড়েন। তারা বলেন, চার বছরে দ্বিগুণ, পাঁচ বছরে আড়াইগুণ হারে এফডিআরসহ বিভিন্ন প্রকল্প এবং মাসিক প্রতি লাখে দুই হাজার টাকা করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ওইসব টাকা হাতিয়ে নেয়। কোম্পানির নিবন্ধন নম্বর, পাকা রশিদ, দলিলপত্র ও চালানের কাগজপত্র দেখানোর পর এটাকে প্রতারক প্রতিষ্ঠান মনেই হয়নি। সরল বিশ^াসে টাকা দিয়ে সহায় সম্বল হারিয়ে আমরা এখন পথে নামতে বাধ্য হচ্ছি।
নারায়ণচন্দ্র দেবনাথ বলেন, আমার মাধ্যমে ৯০ লখ টাকা ওই কোম্পানির এমডি মো. নিজাম উদ্দিন পাটোয়ারী এবং চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেনকে দিই। তারা পাকা রশিদ, দলিল ও কাগজপত্রও দেন। পরে তারা টাকা নিয়ে তালবাহানা করতে থাকলে আমি টাকার জন্য চাপ দিলে কামাল হোসেন আমাকে ২০ লাখ করে ৪০ লাখ টাকার দুটি চেক এবং মো. নিজাম উদ্দিন পাটোয়ারী ১০ লাখ করে পাঁচটি চেক দেন। পরে টাকা তুলতে গিয়ে দেখি তাদের অ্যাকাউন্টে কোনো টাকাই নেই। আমি চেক ডিজঅনারের মামলা করলে কামাল হোসেন উল্টো আমার বিরুদ্ধে খুলনায় একটি মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা করে। যার ঘানি আমি টানছি।
প্রতারণার স্বীকার পলাশ দেবনাথ, জাকির হোসেন, সবিতা রানী, এরশাদ মিয়াসহ অন্যরা বলেন, আমরা টাকা হারিয়ে এখন নিস্ব হয়ে গেছি। সামনে কোনো পথ দেখছি না। কামাল হোসেন কুমিল্লা নগরীর পদুয়ারবাজার বিশ^রোডে তাদের জাঁকজমকপূর্ণ অফিস সাজিয়ে বসেন। তা দেখলে যে কারোই সন্দেহ থাকার কথা নয়। কামাল তার বাড়ি চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার জগৎপুর গ্রামে। পরে জানতে পারি তিনি আর্থিকভাবে খুবই অসচ্ছল ছিলেন। এখন আমাদের টাকা নিয়ে তিনি দাউদকান্দির মোহাম্মদপুরে একটি ব্রিকফিল্ড পরিচালনা করছেন। নিজে না এসে লোক দিয়ে এশিয়া ব্রিক্স নামে ওই এটি পরিচালনা করছেন তিনি। এখন দুটি ব্রিকফিল্ডের মালিক তিনি।
ভুক্তভোগীরা জানান, কামাল হোসেন এমএলএম কোম্পানি পরিচালনার সময় কুমিল্লা নগরীর ঝাউতলায় বাসা ভাড়া করে থাকতেন। টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ করেই বাসাসহ ঢাকায় চলে যান। কামাল হোসেন ও তার আরও বেশ কয়েকজন সহযোগী থাকলেও এখন তারা কাউকেই পাচ্ছেন না। কামাল হোসেন তার মোবাইল নম্বরও পরিবর্তন করে ফেলেন। ওই নম্বরে পরিচিত ছাড়া কারও ফোন রিসিভ করেন না। সূত্র : আমাদের সময়