সর্বশেষ আপডেট : ৩ ঘন্টা আগে
সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ২৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

দক্ষিণ আফ্রিকার করোনার ধরন বাংলাদেশে শনাক্ত

দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া করো’নাভাই’রাসের নতুন ধরনের (স্ট্রেইন) অস্তিত্ব বাংলাদেশেও পাওয়া গেছে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি এই অস্তিত্বের প্রমাণ মিলেছে। ঢাকার বনানীর ৫৮ বছর বয়সী এক নারীর শরীর থেকে সংগ্রহ করা নমুনায় এই স্ট্রেইন পাওয়া গেছে বলে কয়েকটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

বাংলাদেশে দক্ষিণ আফ্রিকার এই স্ট্রেইন পাওয়ার খবর করো’নাভাই’রাসের জিনোম সিকোয়েন্সের উন্মুক্ত তথ্যভান্ডার জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডাটার (জিসএআইডি) ওয়েবসাইটে ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশে এই স্ট্রেইন পাওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) জিনোমিক রিসার্চ ল্যাবরেটরির গবেষক দলও।

বিসিএসআইআরের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, গত ২৪ জানুয়ারি আগারগাঁওয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার এই নমুনা সংগ্রহ করে। এরপর জিনোমিক রিসার্চ ল্যাবরেটরিতে দেওয়া হলে গবেষকেরা করো’নাভাই’রাসের ওই নমুনার পূর্ণাঙ্গ জিন নকশা (হোল জিনোম সিকোয়েন্স) উন্মোচন করেন। গত ৬ ফেব্রুয়ারি গবেষকেরা ওই করো’নাভাই’রাসের হোল জিনোম সিকোয়েন্স জিসএআইডি তথ্যভান্ডারে জমা দেন। এরপর গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিসএআইডির ওয়েবসাইটে তা প্রকাশিত হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জিনোমিক রিসার্চ ল্যাবরেটরির এক গবেষক বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার এই স্ট্রেইন বাংলাদেশে পাওয়া গেছে। এর কথা আম’রা সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে (আইইডিসিআর) জানিয়েছি। তারা এ বিষয়ে অবগত।’

তবে আইইডিসিআর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সরাসরি স্বীকার না করে বলছে, বাংলাদেশে দক্ষিণ আফ্রিকার স্ট্রেইনের অস্তিত্বের বিষয়ে তাদের জানা নেই। জানতে চাইলে আইইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরিন বলেন, ‘এটার কথা আম’রা জানি না। তবে জিসএআইডির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে বলে জেনেছি।’

বিসিএসআইআরের বিজ্ঞানীরা আইইডিসিআরকে জানিয়েছেন কি না? এমন প্রশ্নে আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, ‘আমাদের এটি জানানো হয়নি।’

এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া করো’নাভাই’রাসের নতুন স্ট্রেইনটি জা’পান, ফিলিপাইন, যু’ক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের ৬১টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ভা’রতে চারটি, সিঙ্গাপুরে তিনটি, থাইল্যান্ডে ছয়টি ও চীনে একটি দক্ষিণ আফ্রিকার করো’নার নতুন স্ট্রেইনের অস্তিত্ব মিলেছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, করো’নাভাই’রাসের চরিত্র হচ্ছে এটি দ্রুত নিয়মিতভাবে রূপান্তর হয়। বিশ্বে করো’নাভাই’রাসের হাজারো মিউটেন্ট আছে। তবে গবেষকেরা দক্ষিণ আফ্রিকার এই নতুন ভ্যারিয়্যান্ট ‘৫০১.ভি২’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

বিবিসির গত ২৩ ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ আফ্রিকার এই স্ট্রেইনটি অধিকসংখ্যক মানুষকে সংক্রমিত করে মা’রাত্মক অ’সুস্থ করে ফেলে—এমন অকাট্য প্রমাণ নেই। তবে এ ধরনের ভাই’রাস দ্রুত ছড়ায় এবং করো’নার টিকা এই স্ট্রেইনের বি’রুদ্ধে ভালো কাজ করে না। দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন স্ট্রেইনের স্পাইক প্রোটিনে কিছু পরিবর্তন থাকে। এ কারণে এটি খুব সহ’জে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে।

এদিকে যু’ক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে আসা ছয়জনের দেহে করো’নাভাই’রাসের আরেক নতুন স্ট্রেইন পাওয়া গেছে। এটি আসার খবর মিলেছে এ বছরের জানুয়ারি মাসেই। রূপান্তরিত নতুন একটি ধরন বা স্ট্রেইন গত ডিসেম্বরে যু’ক্তরাজ্যে শনাক্ত হয়। আর গত ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশে নতুন এই স্ট্রেইন শনাক্ত হয় বলে আইইডিসিআর থেকে জানানো হয়। বিসিএসআইআরের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, তারা নতুন করে ৯৩টি করো’নাভাই’রাসের হোল জিনোম সিকোয়েন্স করেছেন। এর মধ্যে অন্তত ৭০টির মধ্যে যু’ক্তরাজ্যের স্ট্রেইনের অস্তিত্ব পেয়েছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম
নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
মোবাইল: ০১৭১২ ৮৮৬ ৫০৩
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: