সর্বশেষ আপডেট : ৫২ মিনিট ৫০ সেকেন্ড আগে
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

করোনাসহ সংক্রামক রোগ থেকে বাঁচতে যে দোয়া পড়বেন

করোনাভাইরাসে কাঁপছে পুরো বিশ্ব। বিশ্বের ১০৪টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে মরণব্যাধি করোনাভাইরা। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার ১৯৮ জন। এ রোগে মারা গেছে প্রায় ৩ হাজার ৬০০ জন। নতুন নতুন সংক্রামক ব্যাধি থেকে মুক্ত থাকতে বিশ্বনবির উপদেশ ও দোয়া গ্রহণ করা আবশ্যক।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যখন কোনা জাতির মধ্যে অশ্লীলতা-বেহায়াপনা ছড়িয়ে পড়বে তখন তাদের মধ্যে এমন এমন নতুন রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়বে, যা ইতিপূর্বে কখনো দেখা যায়নি। (ইবনে মাজাহ)

তাই করোনাসহ নতুন নতুন সংক্রামক রোগ-ব্যাধি ও মহামারী দেখা দিলে তা থেকে আশ্রয় লাভে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা এবং ধৈর্যধারণ করার নসিহত করেছেন বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। বিশেষ করে দুটি দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতে বলেছেন তিনি। আর তাহলো-

اَللَّهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْبَرَصِ وَ الْجُنُوْنِ وَ الْجُذَامِ وَمِنْ سَىِّءِ الْاَسْقَامِ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল বারাচি ওয়াল জুনুন ওয়াল ঝুজাম ওয়া মিন সায়্যিয়িল আসক্বাম। (আবু দাউদ, তিরমিজি)
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনার কাছে আমি শ্বেত রোগ থেকে আশ্রয় চাই। মাতাল হয়ে যাওয়া থেকে আশ্রয় চাই। কুষ্ঠু রোগে আক্রান্ত হওয়া থেকে আশ্রয় চাই। আর দুরারোগ্য ব্যাধি (যেগুলোর নাম জানিনা) থেকে আপনার আশ্রয় চাই।

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ مُنْكَرَاتِ الأَخْلاَقِ وَالأَعْمَالِ وَالأَهْوَاءِ وَ الْاَدْوَاءِ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন মুনকারাতিল আখলাক্বি ওয়াল আমালি ওয়াল আহওয়ায়ি, ওয়াল আদওয়ায়ি।
অর্থ : হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার কাছে খারাপ (নষ্ট-বাজে) চরিত্র, অন্যায় কাজ ও কুপ্রবৃত্তির অনিষ্টতা এবং বাজে অসুস্থতা ও নতুন সৃষ্ট রোগ বালাই থেকে আশ্রয় চাই। (তিরমিজি)

সংক্রামক ব্যাধিতে বিশেষ করণীয়
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যখন কোনো এলাকায় মহামারি (সংক্রামক ব্যধি) ছড়িয়ে পড়ে তখন যদি তোমরা সেখানে থাকো, তাহলে সেখান থেকে বের হবে না। আর যদি তোমরা বাইরে থাকো তাহলে তোমরা সেই আক্রান্ত এলাকায় যাবে না। (বুখারি ও মুসলিম)

হাদিসের নির্দেশনা অনুসারে মানুষের অবাধ চলাচলে নিয়ন্ত্রণ থাকা খুবই জরুরি। বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর এ নির্দেশের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন ওলামায়ে কেরাম। তারা বলেছেন-
যদি মহামারি আক্রান্ত এলাকার লোকজন পলায়ন করে অন্যত্র চলে যায় তবে যে সব লোক মহামারিতে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের সেবা-শুশ্রূষা কে করবেন?
সম্পদশালী ব্যক্তিরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও গরিব অসহায় ব্যক্তিরা তো পালাতে সক্ষম হবে না।
যদি কেউ মনে করে যে, তাকে এ ভাইরাস বা রোগে এখনও আক্রমণ করেনি, তাই সে পালিয়ে যাবে। যদি ওই ব্যক্তি আক্রান্ত হয়ে যায়, তবে সে যে এলাকায় যাবে সে এলাকার মানুষও তার মাধ্যমে সংক্রমিত হবে।
আবার অন্য এলাকা থেকে যদি কোনো সুস্থ মানুষ আক্রান্ত এলাকায় আসে তবে সেও এ ভাইরাস বা মহামারিতে আক্রান্ত হয়ে যেতে পারে।

আল্লাহ তাআলা সব মানুষকে করোনাসহ সব ধরনের মহামারি ও সংক্রামক ব্যাধি থেকে মুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: