সর্বশেষ আপডেট : ৩ ঘন্টা আগে
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

জৈন্তাপুর দিয়ে ভারতীয় রোগাক্রান্ত গরু-মহিষ ঢুকছে

  • স্টাফ রিপোর্টার

জৈন্তাপুর উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় চোখ রাখলে বোঝা যায় চোরাচালান যেন আমাদের রক্তে মিছে গেছে। প্রতিদিন চোরাকারবারীরা এপারের মাল ওপার আর ওপারের মাল এপার করা নিয়েই ব্যস্ত। আমাদের সীমান্ত বাহীনি যেন তাদেরকে সেই কাজে সহায়তার জন্যই প্রতিনিয়ত ডিউটি পালন করছে। -এই মন্তব্য একজন স্থানীয় সালিস ব্যক্তিত্বের। ৭২ বছরের এই পৌড় সঙ্গত কারণেই তার নাম প্রকাশ করতে নারাজ। তিনি আরো কিছু কঠিন এবং নির্মম সত্য কথা বলেন এই প্রতিবেদকের সঙ্গে।
ভারত থেকে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু রোগাক্রান্ত গরু-মহিষ ঢুকছে বাংলাদেশে। এসব গরু-মহিষের মাংশ নির্বিঘ্নে বিক্রি হচ্ছে শহরের হাঠ-বাজারে। দেখার কেউ নেই, বলারও কেউ নেই। এগুলো ঠেকাতে যাদের উপর গুরুদায়িত্ব সেই বিজিবিও নিরব দর্শকের ভূমিকায়। সব মিলে সিলেটের জৈন্তাপুরের সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলো চোরাচালানের শতভাগ নিরাপদ রুটে পরিণত হয়েছে।

আমরা পত্রপত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারছি বিজিবি কঠোর হস্তে চোরাচালন দমন করছে অথচ আপনি তাদের দোষ দিচ্ছেন? এমন প্রশ্নে অনেকটাই ক্ষেপে গেলেন এই বৃদ্ধ। বললেন, ৫টি চালান আটকালে ১৫টি ছেড়ে দিচ্ছে। কোনটি ভাল? আটকানো না ছেড়ে দেয়া? যথেষ্ঠ বিরক্তি নিয়ে বলেন, যান যান, আপনার পকেটেও টাকা ঢুকবে। সাংবাদিকদেরও আমরা চিনি। আমরা অনেক কিছুই চেয়ে চেয়ে দেখি, কিছু বলি না, বলার সাহস হয়না। বয়স হয়েছে ঝামেলায় জড়াতে চাইনা। কখন মারবে, কোথায় পুঁতে রাখবে কেউ জানতেও পারবে না।

বয়সের ভারে নুয়ে পড়া এই সালিস ব্যক্তিত্বের শেষ কথাগুলো এখনো কানে বাজছে। একেবারে অমুলক নয় তাঁর কথা। চোরাকারবারীরা তাদের ফায়দার জন্য এদেশের মানুষকে অসুস্থ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত গরু-মহিষের মাংশ খাওয়াচ্ছেন। না জানি এইসকল রোগাক্রান্ত গরু-মহিষের মাংশ মানব দেহের কি সর্বনাশ ডেকে আনছে।

গরু ব্যাবসায়ীদের আনাগোনায় সীমান্ত এলাকা এখন সরগরম। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সীমান্তবর্তী বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ভারতের এই গরুগুলোকে এক ধরনের ইনজেকশন দিয়ে পাঠানো হচ্ছে বাংলাদেশে। যার ফলে গরুর ক্ষুধা লাগবে না এবং ছুটাছুটি করবে না। এই গরু তিন মাস জীবিত থাকবে। এই ইনজেকশন মারার পর গরুর শরীর বিষাক্ত হয়ে যায়। গরুর চোখ দিয়ে পানি পড়ে, মুখ দিয়ে লালা বের হতে দেখা যায়।

জৈন্তাপুর উপজেলার লালাখাল, গোয়াবাড়ী, ডিবির হাওর, শ্রীপুর, নলজুড়ি, তামাবিল সীমান্ত এলাকা, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে শত শত ভারতীয় রোগাক্রান্ত গরু দেশে প্রবেশ করছে। এ গরুগুলো সিলেট জেলা সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যাওয়া হয়।
যাওয়া আসার পথে যে গরুগুলো মারা যায় সেগুলোকে জবাই করে গোস্ত মন প্রতি বিভিন্ন হোটেলে বিক্রির খবরও আছে স্থানীয়দের কাছে। তারা বলেন, কোন প্রকার পরিক্ষা নীরিক্ষা ছাড়াই হাঠ-বাজারগুলোতে বিক্রি হচ্ছে গরু-মহিষের গোস্ত আর মানুষ সেগুলো খেয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।

গরু-মহিষের এই অবাধ প্রবেশে বাংলাদেশ সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: