cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
চীনের হুবেই প্রদেশের সীমান্তে ইয়াংঝি নদীর সেতুতে পুলিশের তল্লাশি চৌকির সামনে দাঁড়িয়ে আছেন ৫০ বছরের লু ইউজিন। ঘন্টার পর ঘন্টা কেটে যাচ্ছে,তিনি নড়ছেন না। কান্নায় তার কণ্ঠ রুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। এর মধ্য দিয়েই তার ঝড়ে পড়ছে মিনতি-‘আমার মেয়েটাকে নিয়ে যাও। আমার প্রয়োজন নেই… দয়া করে আমার মেয়েটাকে যেতে দাও।’
শনিবার লু তার ২৬ বছরের মেয়ে হু পিংকে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন জিয়াংজি প্রদেশের জিউজিয়াংয়ের হাসপাতালে। কারণ লিউকোমিয়ায় আক্রান্ত হু এর দ্বিতীয় দফায় কেমোথেরাপি প্রয়োজন। কিন্তু হুবেইয়ের রাজধানী উহানের হাসপাতালগুলোতে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চাপে থেরাপি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
উহান থেকেই চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস। এ পর্যন্ত ১৪ হাজার ৩৯০ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের অধিকাংশই উহানের বাসিন্দা। ভাইরাসের আরো সংক্রমণ ঠেকাতে চীন সরকার এটিসহ কয়েকটি শহর অবরুদ্ধ করে রেখেছে। বাসিন্দাদের শহর থেকে বের হওয়ার ব্যাপারে আরোপ করা হয়েছে কঠোর নিষেধাজ্ঞা।
লুকে নিয়ে শনিবার হু রওনা হয়েছিলেন জিউজিয়াংয়ের দিকে। উহানের প্রান্তসীমায় ইয়াংঝি নদীর সেতুতে পুলিশ তাদের গাড়ি আটকে দেয়। তারা মা-মেয়েকে শহরের বাইরে যাওয়ার অনুমতি দিতে অস্বীকৃতি জানায়। বারবার অনুরোধের পরও তা না মানায় এক পর্যায়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন লু।
বাস্পরুদ্ধ কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমার মেয়েটাকে নিয়ে যাও। আমার প্রয়োজন নেই… দয়া করে আমার মেয়েটাকে যেতে দাও। আমি শুধু আমার মেয়েটাকে বাঁচাতে চাই।’
সেই অনুরোধের জবাব লাউড স্পিকারে এলো রেকর্ড করা কণ্ঠে-উহান থেকে আসা কারো জিউজিয়াংয়ে প্রবেশ নিষেধ।
ঘটনাস্থলে থাকা বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সাংবাদিককে লু বলেন,‘আমার মেয়েটিকে জিউজিয়াংয়ের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। তার চিকিৎসা প্রয়োজন।’
শেষ পর্যন্ত লু এর কান্না বিফলে যায় নি। রয়টার্সের সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলার আধাঘন্টা পর পুলিশ মা-মেয়ের জন্য অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে। তাদের নিয়ে যাওয়া হয় জিউজিয়াংয়ের হাসপাতালে।