cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
সর্দার মুজাহিদুল ইসলাম ::
১৯৭৭ সালে ছাত্র অবস্থায় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে দলের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন তিনি। টানা তিনবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি। তবে দুর্দিনে দলের সঙ্গে থাকলেও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে অনেকটা বঞ্চিত মিসবাহ সিরাজ। আওয়ামী লীগের সবশেষ কেন্দ্রীয় সম্মেলনে দলীয় কোনও পদ পাননি তিনি। এতে হতাশা বেড়েছে আওয়ামী লীগের তৃনমুলের নেতাকর্মীদের।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান, ১৯৮৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারী খন্দকার মোশতাক সিলেট আলিয়া মাদরাসা মাঠে জনসভা করতে আসেন। সেসময় তৎকালীন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিসবাহ উদ্দিন সিরাজের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মোশতাকে গণপিঠুনি দিয়ে সিলেট ছাড়া করে। এ ঘটনার দিন ভোরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং সেসময় দীর্ঘ ১৭ মাস কারাভোগের পর তিনি মুক্তি পান।
জানা যায়, মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ ১৯৭৭ সালে মদন মোহন কলেজে ভর্তি হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন। অল্প সময়ের মধ্যে তিনি মদন মোহন কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন, পরে সভাপতিও হন তিনি। ১৯৮১ সালে বৃহত্তর সিলেটের চার জেলার সমন্বয়ে গঠিত সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৮৩ সালে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হন তিনি। মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ ছাত্রজীবন শেষে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পন। পরবর্তী সময়ে ২০০২ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত দুইদফা সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি টানা তিনবার আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করেছেন।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলছেন, প্রায় ৪৫ বছর ধরে হামলা-মামলা জেল-জুলুম সবকিছু উপেক্ষা করে দলের প্রয়োজনে মাঠে আছেন মিসবাহ সিরাজ। জঙ্গিরা কাফনের কাপড় পাঠিয়ে তাকে হুমকি দিয়েছিল। ২০০৪ সালের ৭ আগষ্ট সিলেটের গুলশান সেন্টারে জঙ্গিদেও গ্রেণেড হামলায় গুরুতর আহত হন তিনি। পরবর্তী সময়ে ১২ আগষ্ট বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে দেখতে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালের আসেন।
মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. কামাল উদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগে মিসবাহ উদ্দিন সিরাজের অনেক অবদান রয়েছে। দলের জন্য তার ত্যাগ ও অবদান মুল্যায়ন করে দল তাকে আরও বড় পদে দায়িত্বে দিবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
হবিগঞ্জ জেলা আওযামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনি খন্দকার মোশতাককে সিলেটে গনপিঠুনি দিয়েছিলেন মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। ওয়ান ইলেভেনে অনেকে চাপের পরও তিনি দলের হয়ে মাঠে ছিলেন। নেতাকর্মীরা তাকে সবসময় পাশে পায়।
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন বলেন, মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা। কঠিন সময়ে তিনি ছাত্রলীগকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি দলের পরীক্ষিত কর্মী।
সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরুল হুদা মুকুট বলেন, আমি যখন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম তখন মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক। তাকে নিয়ে আমি সুনামগঞ্জের প্রতিটি উপজেলায় আওয়ামী লীগের সম্মেলন করেছি। এমনকি অনেক চাপ সুপারিশ উপেক্ষা করে তিনি প্রতিটি কমিটি গঠনে আমাদের সহযোগীতা করেছেন। তৃণমুলের নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা তাকে দল মুল্যায়ন করবে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বলেন, দলের পদ-পদবী পেলাম কিনা সেটা বিষয় নয়। দলের প্রয়োজনে মাঠে ছিলাম, মাঠেই থাকবো।