![]()

cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla

স্টাফ রিপোর্টার :
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সিলেট-১ আসনে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশার ঘোষণা দিয়েছেন। গতকাল বুধবার (২২ অক্টোবর) বাদ জোহর হযরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজার জিয়ারত শেষে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেন।
দরগাহে নামাজ আদায়ের পর কয়েক হাজার নেতা-কর্মী ও সমর্থককে সঙ্গে নিয়ে দরগা গেট থেকে শুরু হয় তাঁর নির্বাচনী শো-ডাউন। শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শোভাযাত্রাটি কোর্টপয়েন্টে গিয়ে সমাপ্ত হয়। এ সময় ‘এই সিলেটের মাটি, আরিফ ভাইয়ের ঘাঁটি’ স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে পুরো নগরী।
শো-ডাউন চলাকালে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘সিলেটবাসীকে সঙ্গে নিয়ে আমি সিলেট-১ আসনে দলের মনোনয়নের জন্য আবেদন জানাচ্ছি। দলের নমিনেশন বোর্ড বসলে যেন আমার প্রতি ন্যায্য বিচার হয়—এটাই প্রত্যাশা।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন, জনগণের ভালোবাসা ও সম্পৃক্ততা যার সঙ্গে থাকবে, দল তার পক্ষেই সিদ্ধান্ত নেবে। আমি ৪৭ বছর ধরে দলের সঙ্গে আছি, কখনো সিদ্ধান্তের বাইরে যাইনি। দল যা সিদ্ধান্ত নেবে, আমি তা মেনে নেব। কারণ, আমরা সবাই ধানের ছড়ার।
আরিফুল হক জানান, তিনি বিএনপির ৩১ দফা রাষ্ট্র সংস্কার কর্মসূচি জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। তাঁর নেতৃত্বে বের হওয়া শোভাযাত্রায় সেই প্রচারপত্রসহ বিশেষ ‘নির্বাচনি পদযাত্রা’ প্রচারপত্রও বিতরণ করা হয়।
একই আসনে বিএনপির চেয়ারপারসনের আরেক উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদীরও ইতোমধ্যে ধানের শীষের পক্ষে প্রচার শুরু করেছেন। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে দলের প্রার্থী ছিলেন।
দলের ভেতরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও আরিফুল হক আত্মবিশ্বাসী। সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, দলীয় মনোনয়ন লাভে আমি শতভাগ আশাবাদী।
বিএনপি সূত্র জানায়, মর্যাদার আসন হিসেবে পরিচিত সিলেট-১ ঘিরে ইতোমধ্যেই উত্তাপ ছড়াতে শুরু করেছে। প্রচলিত আছে—এই আসনে যে দলের প্রার্থী জয়ী হন, সেই দলই শেষ পর্যন্ত সরকার গঠন করে।
সিলেটের উন্নয়ন বৈষম্য প্রসঙ্গে আরিফুল হক বলেন, “যখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিল, তখনই সিলেটের উন্নয়ন হয়েছে। এখন বৈষম্য চলছে। একনেকে সদ্য পাস হওয়া বাজেটেও সিলেটের কোনো প্রকল্প নেই—এটা আমরা তীব্রভাবে প্রতিবাদ জানাই।
এর আগে যুক্তরাজ্য সফরে গিয়ে তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং সিলেট-১ আসনে ‘ভিআইপি প্রার্থী’ মনোনয়নের প্রস্তাব দেন। তিনি তখন প্রস্তাব করেছিলেন, প্রয়োজনে জিয়া পরিবারের কোনো সদস্য, বিশেষ করে ডা. জুবাইদা রহমানকে সিলেটের প্রার্থী করা যেতে পারে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত সাড়া না পেয়ে এবার নিজেই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থিতা ঘোষণা করেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষণার পর সারা দেশের মতো সিলেটেও নির্বাচনী তৎপরতা জোরদার হয়েছে। সম্প্রতি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্থানীয় নেতাদের নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেওয়ার পর এ অঞ্চলের রাজনীতিতে নতুন গতি এসেছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষণামতে, আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তার আগেই সিলেটের রাজনীতিতে শুরু হয়েছে ভীষণ সরব ও উত্তপ্ত প্রচারণা।