সর্বশেষ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

সিলেটে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমেছে: বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবসের আলোচনায় নতুন তথ্য

স্টাফ রিপোর্টার :

দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমেছে, সেই সঙ্গে কমেছে সিলেটেও। বর্তমানে সিলেট জেলায় বার্ষিক গড় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ০৩ শতাংশ, যেখানে ২০১১ সালে এ হার ছিল ২ দশমিক ৯৫ শতাংশ। পুরুষের ক্ষেত্রে হার ০ দশমিক ৮৩ এবং নারীর ক্ষেত্রে ১ দশমিক ২৩ শতাংশ, অর্থাৎ নারীদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার পুরুষের তুলনায় কিছুটা বেশি।

পল্লী ও শহরভেদে এ হার যথাক্রমে ০ দশমিক ৫৩ এবং ২ দশমিক ৬২ শতাংশ। জাতীয় পর্যায়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ২২ শতাংশ বলে জানানো হয়।

সোমবার সিলেটে বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবস ও জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়। এ বছরের প্রতিপাদ্য ছিল ‘সবার জন্য মানসম্মত পরিসংখ্যান।’

সভায় জানানো হয়, সিলেট বিভাগের মোট জনসংখ্যা ১ কোটি ১০ লক্ষ ৩৪ হাজার ৮৬৩ জন। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ৩৭ লক্ষ ৫১ হাজার ৩৩০ জন, সুনামগঞ্জে ২৬ লক্ষ ৭৫ হাজার ২১৬ জন, হবিগঞ্জে ২৩ লক্ষ ২১ হাজার ৯৮ জন এবং মৌলভীবাজারে ২০ লক্ষ ৮৮ হাজার ৮৬৯ জন বাস করে। দেশে মোট জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৯৮ লক্ষ। সিলেটে পুরুষ-মহিলার অনুপাত ৯৮:১০০ — অর্থাৎ মহিলার তুলনায় প্রতি ১০০ জনে পুরুষ ২ জন কম।

সভায় সিলেট জেলার প্রবাসী আয় সম্পর্কিত তথ্যও তুলে ধরা হয়। সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় ৯ দশমিক ৩ শতাংশ পরিবার প্রবাসী আয়ের ওপর নির্ভরশীল। উপজেলার মধ্যে গোলাপগঞ্জে এ হার সর্বোচ্চ ১৩ দশমিক ৬ শতাংশ এবং কোম্পানীগঞ্জে সর্বনিম্ন ২ দশমিক ৮ শতাংশ।

দিবসটি উপলক্ষে সকালে জেলা প্রশাসন চত্বর থেকে একটি র‌্যালি বের হয়ে সিটি পয়েন্ট ঘুরে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পদ্মাসন সিংহ। অতিথি ছিলেন সিলেট বিভাগীয় পরিসংখ্যান অফিসের ভারপ্রাপ্ত যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ আজাদুর রহমান এবং জেলা সমাজসেবা অফিসের উপপরিচালক আব্দুর রফিক।

সভায় বক্তারা বলেন, মানসম্মত ও নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যানই সরকারের নীতি নির্ধারণ, বাজেট প্রণয়ন ও উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মূল ভিত্তি। তারা আরও বলেন, পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যের মানোন্নয়নে আধুনিক প্রযুক্তি, দক্ষ জনবল এবং একটি একীভূত জাতীয় তথ্য কৌশল (ন্যাশনাল ডেটা স্ট্রাটেজি) গঠন জরুরি।

জেলা পরিসংখ্যান অফিসের উপপরিচালক কামাল উদ্দিন এ সময় একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন, যেখানে জনমিতিক চিত্র, অর্থনৈতিক সূচক, স্বাস্থ্য, কৃষি, দারিদ্র্য, শ্রমশক্তি ও আইসিটি ব্যবহারের সর্বশেষ তথ্য তুলে ধরা হয়।

আলোচনায় দৈনিক জালালাবাদ-এর যুগ্ম বার্তা সম্পাদক আহবাব মোস্তফা খান বলেন, বিশ্বজুড়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সরকারি পরিসংখ্যানের ধরণ বদলে দিচ্ছে, অথচ বিবিএস এখনও ৬০ শতাংশ তথ্য পুরনো কাগজভিত্তিক পদ্ধতিতে সংগ্রহ করছে। এটি সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতায় প্রশ্ন তুলছে।

সভায় জানানো হয়, মাঠ জরিপের ওপর নির্ভরতা কমাতে এবং প্রশাসনিক তথ্য আরও কার্যকরভাবে ব্যবহারের জন্য ‘বিগ ডেটা প্ল্যাটফর্ম’ তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

সভা সঞ্চালনা করেন পরিসংখ্যান কর্মকর্তা সুব্রত রঞ্জন হাজরা। উপস্থিত ছিলেন পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মিন্টু সরকার, ইফতেখার রাব্বি চৌধুরী, সুরঞ্জিত কর সুজনসহ বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম
নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
মোবাইল: ০১৭১২ ৮৮৬ ৫০৩
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: