![]()

cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দমন করতে গিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সোমবার তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এ রায় ঘোষণা করে।
হাসিনা ১৫ মাস আগে অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানোর পর ভারতে পালিয়ে যান। বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনিই প্রথম সাবেক সরকারপ্রধান, যিনি মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ পেলেন। irony হলো—রায়ের দিনটি তার বিয়েবার্ষিকী।
রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার। অন্য দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারক মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। রায়টি ৪৫৩ পৃষ্ঠার এবং ছয় ভাগে সাজানো।
মামলাটিতে ১৪০০ জনকে হত্যার পরিকল্পনা, উসকানি, নির্দেশ, সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলিটি ও জয়েন্ট ক্রিমিনাল এন্টারপ্রাইজ—মোট পাঁচ অভিযোগ আনা হয়।
ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে হত্যার প্ররোচনার অভিযোগে শেখ হাসিনাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড
হেলিকপ্টার ও ড্রোন ব্যবহার করে হামলার নির্দেশ, চাঁনখারপুলে ছয় হত্যা এবং আশুলিয়ায় ছয় হত্যা–এই তিন অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড
একই ঘটনায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত
সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল-মামুন সহযোগিতা করায় পান পাঁচ বছরের সাজা
হাসিনা ও কামালের বাংলাদেশের সব সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে জব্দের নির্দেশও দেওয়া হয়। নিহতদের পরিবার ও আহতদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে সরকারকে।
হাসিনা ও কামাল পলাতক থাকায় আপিল করতে চাইলে আত্মসমর্পণের পর এক মাসের মধ্যে আবেদন করতে হবে।
এদিন কেবল কারাবন্দি মামুনকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার পর তাকে ফের নিয়ে যাওয়া হয় কারাগারে।
রায় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর নজর পড়ে ঢাকায়। আদালত থেকে প্রথমবারের মতো সরাসরি সম্প্রচার করা হয় রায়।
ভারতে অবস্থান করা শেখ হাসিনা বিবৃতিতে রায়কে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ ও ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ দাবি করেন। তিনি বলেন, তাকে রাজনৈতিকভাবে নির্মূল করার চেষ্টা চলছে।
অন্যদিকে ঢাকায় ট্রাইব্যুনালের সামনে নিহতদের পরিবার স্বস্তি ও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে। তারা স্লোগান দেন, “এই মাত্র খবর এল, খুনি হাসিনার ফাঁসি হল।”
প্রধান কৌঁসুলি মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, এটি প্রতিশোধ নয়, ন্যায়বিচারের প্রতিষ্ঠা। তার দাবি, প্রমাণ এত শক্তিশালী যে বিশ্বের যেকোনো আদালতেই একই রায় হতো।
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান রায়কে ‘যুগান্তকারী’ উল্লেখ করে বলেন, এটি শহীদদের প্রতি দায়বদ্ধতার অংশ।
রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন রায়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তিনি হতাশ।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল গোলাম পরওয়ার রায়কে স্বাগত জানান।
চব্বিশের অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতারা ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো না হলে দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না।
অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানান, তারা আবারও ভারতের কাছে প্রত্যর্পণের আবেদন পাঠাবেন।