cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোট গ্রহণের তারিখ যত ঘনিয়ে আসছে, ততই ক্যাম্পাসে বাড়ছে নির্বাচনী আমেজ ও উত্তেজনা। তবে এই উত্তেজনার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রতিযোগিতা। আচরণবিধিতে নিষিদ্ধ থাকলেও প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ভোটারদের আপ্যায়ন, উপঢৌকন বিতরণ ও টাকা লেনদেনের মতো গুরুতর নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠছে। বিশেষ করে রাত নামলেই প্রকাশ্যে দল বেঁধে শিক্ষার্থীদের ভূরিভোজের ঘটনা ঘটছে প্রতিদিনই। আর এসব ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরাই মূল টার্গেট, কারণ তাদের অভিজ্ঞতা কম এবং সহজে প্রভাবিত করা সম্ভব বলে মনে করছেন অনেক প্রার্থী। অভিযোগ উঠলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষার্থীরা।
ডাকসু নির্বাচনের আচরণবিধির ধারা ৯(গ) এবং নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কোনো প্রার্থী আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্বপ্রণোদিত হয়ে কোনো ধরনের সেবামূলক কাজে অংশ নিতে পারবেন না। এ ছাড়া কোনো ধরনের উপঢৌকন বিলি-বণ্টন করা যাবে না। এমনকি আপ্যায়ন করানো, অর্থ সহযোগিতা কিংবা অনুরূপ কোনো কার্যক্রমে যুক্ত হওয়া যাবে না। এ ধরনের কার্যক্রম সুস্পষ্টভাবে আচরণবিধি লঙ্ঘন বলে বিবেচিত হবে। তবে এসব আচরণবিধি মানছেন না অনেক প্রার্থী। বিশেষ করে ছাত্রদল, ছাত্রশিবিরসহ বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের একাধিক অভিযোগ উঠেছে। কেউ সরাসরি শিক্ষার্থীদের হাতে টাকা তুলে দিচ্ছেন, কেউবা কাচ্চি ও মোরগ-পোলাও ভোজের আয়োজন করছেন, আবার কেউ বিতরণ করছেন উপহার।
বিশেষ করে রাত নামলেই ক্যাম্পাসের আশপাশে জমজমাট হয়ে ওঠে বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অন্তত ছয়টি স্থানে নিয়মিত ভোটার আপ্যায়নের আয়োজন করা হচ্ছে। আজিমপুরের কাচ্চি ডিলাক্স, পুরান ঢাকার নাজিরা বাজার, সুলতান ডাইনস, স্টার কাবাব, মামা হোটেল এবং চানখাঁরপুলের বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্টে প্রার্থীদের একেক সময় একেক দল শিক্ষার্থীকে নিয়ে ভোজের আয়োজন করছেন। সরেজমিন দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের দল বেঁধে রাতের খাবার খাওয়াতে নিয়ে যাচ্ছেন প্রার্থী কিংবা তাদের ঘনিষ্ঠজন। ক্যাম্পাসের ভেতরে জিয়া হল এবং আইবিএ ক্যান্টিনেও এমন ভোজ আয়োজনের প্রমাণ মিলেছে।
আজিমপুরের কাচ্চি ডিলাক্স রেস্টুরেন্টের এক আপ্যায়ন কর্মীকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা আসছেন। একেকদিন একেক গ্রুপ আসে। আমাদের ব্যবসাও ভালো হচ্ছে।’
ডাকসু ও হল সংসদের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অভিযোগ, ছাত্রদল, শিবিরসহ বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীরা বিভিন্ন ক্যাটাগরি, যেমন—ডিপার্টমেন্ট, অঞ্চল, সেশন এভাবে ভাগ করে প্রতিদিন খাওয়াতে নিয়ে যান। তাদের প্রধান টার্গেট প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের ভোট। প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা নতুন হওয়ায় তাদের প্রভাবিত বেশি করা হচ্ছে। প্রকাশ্যে এসব চললেও সংশ্লিষ্টরা কেউ কোনো কিছু বলছেন না।
একটি হল সংসদের জিএস প্রার্থী কালবেলাকে বলেন, ‘প্রতিদিন রাত হলেই দলবেঁধে খাওয়াতে নিয়ে যান কোনো কোনো প্রার্থী। আজিমপুর, চানখাঁরপুল, মামা হোটেলসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় এমনটা নিয়মিত হচ্ছে। অনেকেই প্রথম বর্ষের ভোটারদের বৃত্তি দেওয়ার আশ্বাস দিচ্ছেন, কেউবা উপহার দিচ্ছেন, কেউ সরাসরি চা খাওয়ার কথা বলে টাকাও ধরিয়ে দিচ্ছেন। কেউ নিতে না চাইলে জোর করেও ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’
মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী মো. এনামুল হক ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, ‘আমি খুবই হতাশ। আমি মাত্রই দেখলাম একজন প্রার্থী ভোটারকে টাকা দিচ্ছেন।’ মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে তার এই পোস্ট। এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনামুল কালবেলাকে বলেন, ‘আমি নিজের চোখেই দেখেছি একটি হল সংসদের শীর্ষ তিন পদের একজন প্রার্থী প্রথম বর্ষের একজন ভোটারকে টাকা দিচ্ছেন। এমন কর্মকাণ্ড খুবই আশাহত করেছে। প্রকাশ্যে এসব হলেও প্রশাসন সেভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’
গত রোববার বিকেলে চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে শিবিরের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের একাধিক অভিযোগ জানায় ছাত্রদলের ‘আবিদ-হামিম-মায়েদ পরিষদ’। অভিযোগ জানানোর পর প্রেস ব্রিফিংয়ে ছাত্রদলের প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান বলেন, ‘শনিবার শিবির পরিচালিত ফোকাস বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং সেন্টারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের নিয়ে নবীনবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেখানে তাদের খাবার ও উপঢৌকন দিয়ে শিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি, জিএস, এজিএস প্রার্থীরা ভোট চান। এটি সুস্পষ্টভাবে আচরণবিধির লঙ্ঘন। আমরা কমিশনকে জানিয়েছি যেন এ ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ছাত্রদলের অভিযোগের পর নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে শিবির সমর্থিত প্যানেলকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়। এর জবাবও দিয়েছে তারা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের এজিএস প্রার্থী মহিউদ্দিন খান কালবেলাকে বলেন, ‘আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি এটি ফোকাসের নিয়মিত কর্মসূচি। আমরা যারা পরিচালনা পর্ষদে ছিলাম তারাই শুধু সেখানে উপস্থিত ছিলাম। এ ছাড়া প্যানেলের আর কেউই সেখানে উপস্থিত ছিল না।’
প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ভোটারদের আপ্যায়নের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়টি সত্য নয়। আমাদের কেউ এর সঙ্গে জড়িত নয়। বরং ছাত্রদলের প্রার্থীরাই এসব কর্মকাণ্ড করছে। রাতে তারা নিয়মিত শিক্ষার্থীদের নিয়ে পুরান ঢাকায় খাবারের আয়োজন করে।’
ছাত্রদলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে জিএস প্রার্থী শেখ তানভীর বারী হামিম বলেন, ‘আমাদের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ সঠিক নয়। আচরণবিধি মানার বিষয়ে ছাত্রদলের প্রার্থীরা যথেষ্ট সতর্ক থাকেন।’
এর আগে গত ২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের দোকানে ১৩২ শিক্ষার্থীকে রাতের খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক প্রার্থী স্বাধীন আহমেদের বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানাজানির পর তাকে শোকজ করে ডাকসু নির্বাচন কমিশন। যদিও গতকাল পর্যন্ত সেই নোটিশের জবাব দেননি এই প্রার্থী।
‘সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী জামালুদ্দীন মুহাম্মাদ খালিদ বলেন, ‘কোনো কোনো প্যানেল থেকে প্রচুর টাকা ছড়ানো হচ্ছে, খাওয়াদাওয়া করানো হচ্ছে, ভেতরে ভেতরে অনেক কিছু করা হচ্ছে। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা টাকা-পয়সার জন্য একটু পিছিয়ে যাচ্ছেন।’
আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত টাস্কফোর্স কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী কালবেলাকে বলেন, ‘আমাদের কাছে এমন কয়েকটি অভিযোগ আসছে। আমরা প্রাথমিকভাবে সতর্ক করেছি। কাউকে কাউকে শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এর পরও কেউ যদি আচরণবিধি লঙ্ঘন করেন তাহলে আমরা এ বিষয়ে আরও কঠোর হবো। এসব কর্মকাণ্ড করলে আইন অনুযায়ী প্রার্থিতা বাতিল ও টাকা জরিমানার ব্যবস্থা রয়েছে।’