cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে অদ্ভুত এক ট্রেন্ড। এক্স (পূর্বে টুইটার) প্ল্যাটফর্মে শনিবার পর্যন্ত শুধু ‘ট্রাম্প মারা গেছেন’ শিরোনামে ৫৬ হাজারেরও বেশি পোস্ট হয়েছে। এতে ৭৯ বছর বয়সী প্রেসিডেন্টের স্বাস্থ্য নিয়ে নতুন করে জল্পনা-কল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে।
এর আগেও ট্রাম্পের স্বাস্থ্য নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছিল। জুলাই মাসে তার হাতের ওপর ক্ষতচিহ্ন ও গোড়ালিতে ফোলাভাব দেখা যায়। সে সময় হোয়াইট হাউস দ্রুত বিষয়টি ‘গুরুতর কিছু নয়’ বলে জানিয়েছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তার হাতের ক্ষত ঢাকতে মেকআপ ব্যবহার করা হয়েছে বলে যে ছবি প্রকাশ্যে এসেছে, তা নতুন করে বিতর্ককে উস্কে দিয়েছে।
ভাইস প্রেসিডেন্টের মন্তব্যে আগুনে ঘি
এই গুঞ্জন আরও জোরদার হয় যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সাম্প্রতিক এক মন্তব্যে। ২৭ আগস্ট ইউএসএ টুডে-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, যদি কোনো ‘ভয়াবহ দুর্ঘটনা’ ঘটে, তবে দায়িত্ব নিতে তিনি প্রস্তুত। যদিও তিনি একইসঙ্গে জোর দিয়ে বলেন, ট্রাম্প এখনও চমৎকার ফিট এবং মজবুত।
ভ্যান্স বলেন, ‘গত ২০০ দিনে আমি দারুণ অন-দ্য-জব ট্রেনিং পেয়েছি। আল্লাহ না করুক, যদি কোনো ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটে, তবে এই অভিজ্ঞতাই হবে সবচেয়ে কার্যকর প্রস্তুতি।’
উল্লেখ্য, ৭৯ বছর বয়সে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দায়িত্ব নেওয়া সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট। অন্যদিকে, মাত্র ৪১ বছর বয়সে ভ্যান্স হয়েছেন দেশের তৃতীয় কনিষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট।
‘ব্রুইজ মিস্ট্রি’ বা ক্ষতের রহস্য
ট্রাম্পের হাতে হঠাৎ করে দেখা দেওয়া ক্ষতকেই এখন অনেকেই সন্দেহজনক বলে মনে করছেন। কয়েক দিন আগে ওভাল অফিসের বৈঠকে তার ডান হাতে এই ক্ষত দেখা যায়, যা মেকআপ দিয়ে ঢাকার চেষ্টা করা হয়েছে বলে দাবি করছে সমালোচকরা। একই সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিউং-এর সঙ্গে বৈঠকের ছবিতেও তার হাতে একই চিহ্ন দেখা গেছে।
এর আগে জুলাই মাসে হোয়াইট হাউস জানায়, ট্রাম্পের গোড়ালিতে ফোলাভাব হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এটি ক্রনিক ভেনাস ইনসাফিসিয়েন্সি নামের একটি শিরায় রক্তপ্রবাহজনিত সমস্যা, যা সাধারণত বয়স্কদের মধ্যে দেখা যায়।
হোয়াইট হাউসের প্রতিক্রিয়া
প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রতিদিন হাজারো মানুষের সঙ্গে হাত মেলান। এর ফলে এমন ছোটখাটো ক্ষত হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। তার অঙ্গীকার ও কর্মস্পৃহা এখনও অটুট।’
ট্রাম্পের ব্যক্তিগত চিকিৎসক শন বার্বাবেলা এক বিবৃতিতে জানান, প্রেসিডেন্টের হাতে দেখা দেওয়া ক্ষত কেবল সফট টিস্যু ইরিটেশন, যা বারবার হাত মেলানো ও অ্যাসপিরিন ব্যবহারের কারণে হয়ে থাকে। তিনি বলেন, ‘গভীর শিরার সমস্যা বা ধমনীর কোনো জটিলতার প্রমাণ নেই। এই অবস্থা ক্ষতিকর নয় এবং বয়স্কদের মধ্যে সাধারণ।’
গুজবের আগুন
তবে সরকারি ব্যাখ্যা সত্ত্বেও সামাজিক মাধ্যমে ট্রাম্পকে ঘিরে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ও গুজব থামছে না। ‘ট্রাম্প ইজ ডেড’ ট্রেন্ড এখন নতুন করে বিতর্ক ছড়িয়েছে। এর আগে ২০২৩ সালে ট্রাম্প জুনিয়রের এক্স অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে ট্রাম্পের ভুয়া মৃত্যুসংবাদ ছড়ানো হয়েছিল। পরে অবশ্য ট্রাম্প নিজেই সত্যিটা পরিষ্কার করেন।
কিন্তু বারবার একই ধরনের গুজব ছড়ানোর কারণে তার স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলছে সমালোচকরা। রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন আলোচনার বিষয়—এই গুঞ্জন কি কেবল ট্রল, নাকি এর আড়ালে আরও গুরুতর কিছু লুকিয়ে আছে?