সর্বশেষ আপডেট : ৩ ঘন্টা আগে
শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ৩ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

ভারতে কুম্ভ মেলায় পদদলিত হয়ে কমপক্ষে ১৫ জনের মৃত্যু

ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::

ভারতের কুম্ভ মেলায় পদদলিত হয়ে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। বুধবার ভোরে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে (সাবেক এলাহাবাদ) মেলায় এই পদদলনের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন মেলা আয়োজনে যুক্ত কর্মকর্তারা।

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত, গঙ্গা ও যমুনা নদীর সঙ্গমস্থলে স্নানকে কেন্দ্র করে কুম্ভ মেলার আয়োজন করা হয়। এই মেলাকে বিশ্বের বৃহত্তম এই ধর্মীয় সমাবেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এখানে প্রায়ই এমন পদদলনের ঘটনা ঘটে।
ভারতে কুম্ভ মেলায় পদদলিত হয়ে মৃত্যু বেড়ে ৪০

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধর্মীয় উৎসবে ভক্তদের অতিরিক্ত ভিড় ও চাপের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ছয় সপ্তাহব্যাপী এই উৎসব হিন্দু ধর্মীয় ক্যালেন্ডারের অন্যতম বড় উৎসব। আজ লাখ লাখ ভক্তের পবিত্র স্নানে অংশ নেওয়ার কথা ছিল।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রয়াগরাজের উৎসবস্থলের একজন চিকিৎসক এএফপিকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত অন্তত ১৫ জন মারা গেছেন। অন্যদের চিকিৎসা চলছে।’

সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি না থাকায় তিনি নাম প্রকাশে রাজি হননি বলে এএফপির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, উদ্ধারকারীদের দুর্ঘটনাস্থল থেকে আহতদের সরিয়ে নিতে দেখা গেছে। এ সময় কাপড়, জুতা ও অন্যান্য পরিত্যক্ত জিনিসপত্র মাটিতে পড়ে ছিল।

দুর্ঘটনাস্থলের প্রায় এক কিলোমিটার (আধা মাইল) দূরে উৎসবের জন্য নির্মিত তাঁবুর বাইরে অনেক মানুষ স্বজনের খোঁজ জানতে অপেক্ষায় ছিলেন। ওই তাঁবুটি একটি হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে এএফপি জানিয়েছে।

এএফপি বলছে, আজ ছিল কুম্ভ মেলার সবচেয়ে পবিত্র দিনগুলোর একটি। এদিন গঙ্গা ও যমুনা নদীর মিলিতস্থলে লাখ লাখ ভক্তের পাপ-শুদ্ধি অনুষ্ঠানের স্নানে অংশ নেওয়ার কথা। তবে, দুর্ঘটনার কারণে কর্মকর্তারা উৎসবস্থলে লাউডহেলার বাজিয়ে তীর্থযাত্রীদের নদী থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানাচ্ছিলেন।

কুম্ভ মেলার এক কর্মীকে লাউডহেলারে বলতে শোনা গেছে, ‘আমরা বিনীতভাবে সকল ভক্তদের অনুরোধ করছি, তারা যেন মূল স্নানস্থলে না আসেন। আপনারা অনুগ্রহ করে নিরাপত্তা কর্মীদের সহযোগিতা করুন।’

দুর্ঘটনার পর অনেক তীর্থযাত্রী উৎসব থেকে দ্রুত বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

কুম্ভ মেলায় অংশ নেওয়া সঞ্জয় নিশাদ এএফপিকে বলেন, ‘আমি হতাহতের খবর শুনেছি ও স্নানস্থল দেখেছি। অবস্থা দেখে আমার পরিবার ভয় পেয়েছে, তাই আমরা চলে যাচ্ছি।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম
নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
মোবাইল: ০১৭১২ ৮৮৬ ৫০৩
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: