cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি একটি লোমহর্ষক ভিডিও ভাইরাল হয়। এতে দেখা যায়, একটি ভ্যানে মানুষের নিথর দেহ স্তূপ করে চাদর দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন মাথায় হেলমেট ও ভেস্ট পরা কিছু পুলিশ সদস্য। সেই স্তূপের ওপর আরও মরদেহ রেখে সেগুলোও রাস্তার পাশে থাকা পরিত্যক্ত ব্যানার দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন ওই পুলিশ সদস্যরা। তার ওপর গুলিবিদ্ধ আরও একজনকে ধানের বস্তার মতো ছুড়ছেন দু’জন। সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যায় নৃশংসতার খণ্ডচিত্র।
ওই ভিডিওটি নিয়ে বিভিন্ন ফ্যাক্টচেকিং সাইট অনুসন্ধান চালায় যমুনা টেলিভিশন। জানা যায়, ঢাকার অদূরে আশুলিয়া থানার প্রধান ফটকের সামনের সড়কে ঘটেছে এ বর্বর ঘটনা।
সেদিন ভ্যানে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ৬টি মরদেহ তোলা হয়। এদের মধ্যে শনিবার বিকেল পর্যন্ত চার জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন, সাজ্জাদ হোসেন সজল, তানজিল আহমেদ সুজয়, বাইজিদ ও সবরু হুমায়ুন। তাদের মরদেহ বুঝে পেয়েছেন স্বজনরা। অন্য দুজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
বর্বর এই হত্যাকাণ্ডে সাভারে কর্তব্যরত ছিলেন ঢাকা জেলার তখনকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. আব্দুল্লাহিল কাফী। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাকে নেয়া হয় ডিবি অফিসে।
জানা গেছে, ২৯ তম বিসিএসের কর্মকর্তা কাফী, সাভার ও আশুলিয়ায় ১৮ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর পুলিশের হামলার ঘটনায় নেতৃত্বে ছিলেন। সেসকল হামলায় পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন ৭৫ জন, গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন সাড়ে ৪ শতাধিক।
ডিবি সূত্রে জানা গেছে, গোপনসূত্রে আব্দুল্লাহিল কাফীর পালিয়ে যাওয়ার খবর পায় তারা। এরপর দিনভর নানা নাটকীয়তার পর সোমবার রাত ১০টার দিকে শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করতে সমর্থ হয় তাদের একটি দল।
এর আগে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার আহাম্মদ মুঈদ জানিয়েছিলেন, পুলিশের ভেস্ট ও হেলমেট পরিহিত যে ব্যক্তি বা যারা মরদেহ তুলছিলেন ভ্যানে এবং আশেপাশে যারা ছিলেন বিভিন্ন গণমাধ্যমে তাদের পরিচয় সম্পর্কে লেখা হয়েছে। ইতোমধ্যেই তিন জনকে চিহ্নিত করা গেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা তিন জনকে ইতোমধ্যেই আইডেন্টিফাই করেছি। অলরেডি একটা ইনকোয়ারি কমিটি করেছি। তারা অলরেডি ইনকোয়ারি করছে। একটা কমপ্লিট রিপোর্ট আসবে।’
এ ঘটনাকে ‘ক্রিমিনাল অফেন্স’ হিসেবে অভিহিত করে তিনি জানান, এ ঘটনায় ফৌজদারি মামলার পাশাপাশি সরকারি চাকরিজীবীদের যে রুলস রয়েছে, সেটার আওতায়ও ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এখনই নামগুলো প্রকাশ করা যাবে না।
তিনি বলেন, ‘এ তিন জনই ওই থানার এলাকায় দায়িত্বে ছিলেন। এই মুহূর্তে নামটা আমরা ডিসক্লোজ করছি না। আরো তদন্তের স্বার্থে। এগুলো সব আইডেন্টিফাইড, সব। ভিজিবল, আর ভিডিও আছে যেহেতু। একইসাথে সাংবাদিকদের দেওয়া তথ্যের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও পুলিশ কাজ করছে।’
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার বলেন, ‘পুলিশের এসব সদস্যকে আইনের আওতায় আনার জন্য খোঁজা হচ্ছে। তাই পরিচয় প্রকাশ পেলে তাদের খুঁজে পাওয়া মুশকিল হবে। যত দ্রুত সম্ভব এটাকে আইডেন্টিফাই করে এগুলার ব্যাপারে আইনগত প্রক্রিয়া আমরা শেষ করবো।’