cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
ঘূর্ণিঝড় রিমেল সৃষ্ট দুর্যোগের পর ভারি বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট অকাল বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলো। শুক্রবার (৩১মে) সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলোর অনেক স্থানে পানি কমতে শুরু করেছে। বানের পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সড়কে ভেসে উঠছে ক্ষতচিহ্ন। তাতে দুর্যোগ পরবর্তী আরো দুর্ভোগ যেনো অপেক্ষা করছে বন্যা আক্রান্ত এলাকার মানুষের যাপিত জীবনে।
ঢলের পানির স্রোতের তোড়ে রাস্তাঘাট, বাড়িঘর, ব্রিজ-কালভার্ট ভেঙ্গে বিশালাকারের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও ঢালাই রাস্তার পিচ উঠে গেছে। সেই সঙ্গে সড়কের পাশের সারি সারি গাছ শেকড় বেরিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
বিশেষ করে সিলেট-সালুটিকর-গোয়াইনঘাট সড়ক, রাধারনগর-জাফলং সড়ক, হাতিরপাড়া–মানিকগঞ্জ সড়ক সবকটি সড়কের ভেঙে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে এসব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। মানুষজন পায়ে হেটে, কোথাও ইঞ্জিন নৌকা যোগে চলাচল করছেন।
উজানের সৃষ্ট ঢলে গত বুধ ও বৃহস্পতিবার নৌকা ও বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনায় দুইজন মারা গেছেন বলে জানা গেছে।
বুধবার বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে কামাল উদ্দিন (২৭) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি লেঙ্গুড়া ইউনিয়নের লেঙ্গুড়া গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে। পরদিন বৃহস্পতিবার বন্যার সময় নৌ দুর্ঘটনায় শামসুন্নাহার (৪২) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার নন্দীরগাও ইউনিয়নের আরিফ উল্লাহর স্ত্রী।
এদিকে শুক্রবার পানি নেমে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম। তিনি উপজেলার মধ্য জাফলং, পূর্ব জাফলং, লেংগুড়া, সদর ইউনিয়ন, পূর্ব আলীরগাঁও, ডৌবাড়ি, পশ্চিম আলীরগাঁও এলাকা পরিদর্শন করেন।
জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, বন্যায় গোয়াইঘাটসহ কানাইঘাট, জৈন্তাপুর, কোম্পানীগঞ্জ, জকিগঞ্জ ছাড়াও বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ ও সিলেট সদর উপজেলার ৬ লাখ ৪৩ হাজার ৪৭০ জন মানুষ বন্যা আক্রান্ত হন। দুর্গত এলাকাগুলোতে ৫৪৭টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে ৩হাজার ৭৩৯ জন মানুষ আশ্রয় গ্রহণ করেন।
দুর্গত এলাকাগুলোর মধ্যে জকিগঞ্জে ৯টি ইউনিয়নের ৮টি প্লাবিত হয়। মোট ২ লাখ ৬৭ হাজার ৩০৯ জন জনসংখ্যার ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫০০ জন বন্যা আক্রান্ত হন। জৈন্তাপুরে ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩টি প্লাবিত হয়। মোট ২লাখ ১২৮ জনের জনসংখ্যার ৬৫ হাজার বন্যা আক্রান্ত হন, গোয়াইনঘাটে ১৩ ইউনিয়নের সব কটি প্লাবিত হয়। মোট জনসংখ্যার ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৯৬৯ জনের মধ্যে বানবাসী হন ২ লাখ ৪৫ হাজার ৭৫০ মানুষ। কানাইঘাটে ১০টি ইউয়নের ৯টি প্লাবিত হয়ে মোট ৩ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৪ জনের জনসংখ্যার ৮০ হাজার ৬০০ জন বানবাসী হন। কোম্পানীগঞ্জের ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩টি প্লাবিত হয়ে মোট জনসংখ্যার ১ লাখ ৯২ হাজার ৩৪৪ জনের জনসংখ্যার ৯৩ হাজার মানুষ বন্যা আক্রান্ত হন। বিয়ানীবাজারে ১০ ইউনিয়নের মধ্যে ৫টি প্লাবিত হয়ে মোট ২ লাখ ৬০ হাজার ৫৯৭ জনের জনসংখ্যার ৫ হাজার ৫০০ জন বন্যা কবলিত হন। গোলাপগঞ্জ উপজেলায় ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে প্লাবিত ১টি। মোট ৩ লাখ ৩১ হাজার ৩৫৮ জনের জনসংখ্যার ৩ হাজার ৫০০ জন বন্যা আক্রান্ত হন। এছাড়া সিলেট সদরের ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬টি প্লাবিত হয়। উপজেলায় ৪ লাখ ৪৪ হাজার ৯১২ জনের জনসংখ্যার মধ্যে বন্যা আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজার ৬২০ জন। এসব উপজেলার মধ্যে আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয় জকিগঞ্জে ৫৫টিতে আশ্রয় নেন ১৯৮ জন, জৈন্তাপুরে ৪৮টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়, আশ্রয় নেন ৬৭৫ জন, গোয়াইনঘাটে ৫৬টি আশ্রয় কেন্দ্রে এক হাজার ২৪২ জন আশ্রয় গ্রহণ করেন। কানাইঘাটে ৩১টি আশ্রয় কেন্দ্রে এক হাজার ৪৭৬ জন আশ্রয় নেন, কোম্পানীগঞ্জ ৩৫ আশ্রয় নেন ৭৩ জন, বিয়ানীবাজারে ৬৭ আশ্রয় কেন্দ্রে ৬০ জন, গোলাপগঞ্জ ৫৭টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়। আশ্রয় নেন ১৫ জন