cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট দুই নেতা। এ দু’জনকে ঘিরেই জমে উঠেছে নির্বাচনী আমেজ। প্রার্থীদের চেয়ে বেশি আলোচনায় আওয়ামী লীগের এই দুই হেভিওয়েট নেতা।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের দুই আলোচিত প্রার্থীর একজনের পক্ষে রয়েছেন সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি। প্রকাশ্যে না হলেও ছেলে প্রার্থী হওয়ায় এমন আলোচনা সর্বত্র। অন্যজনকে সমর্থন দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আজিজুস সামাদ ডন।
এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এম এ মান্নান এমপির ছেলে, উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সাদাত মান্নান অভি। এদিকে আজিজুস সামাদ ডন প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়েছেন সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালামকে।
১৬ বছর ধরে সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য পদে রয়েছেন বর্তমান এমপি এম এ মান্নান। এই উপজেলা থেকে এবার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন তাঁর ছেলে অভি। অন্যদিকে একই আসন থেকে বারবার আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়ে বঞ্চিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা আব্দুস সামাদ আজাদের ছেলে আজিজুস সামাদ ডন। এ ছাড়া ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ফুটবল প্রতীক নিয়ে এম এ মান্নানের বিরুদ্ধে লড়ে পরাজিত হন ডন। এ নিয়ে তাদের মাঝে পুরাতন দ্বন্দ্ব বিরাজমান। স্থানীয়রা বলছেন, এরই ধারাবাহিকতায় মান্নানপুত্রের প্রতিদ্বন্দ্বী আবুল কালামকে সমর্থন দিয়েছেন তিনি।
এবার শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুই নেতার সেই দ্বন্দ্ব আরেকবার দৃশ্যমান। যেখানে প্রকাশ্যে দুই প্রার্থী নিয়ে নামায় ভোট উৎসব জমে উঠেছে এখানে। দু’জনেই এই ভোটকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন। শুক্রবার দিনভর শান্তিগঞ্জে উপজেলার চারটি ইউনিয়নে আবুল কালামের মোটরসাইকেলের পক্ষে প্রচারে ছিলেন আজিজুস সামাদ ডন।
আজিজুস সামাদ ডন জানান, দলীয় সিদ্ধান্ত রয়েছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সরকারের মন্ত্রী বা দলের এমপির আপন বা স্বজন কেউ দাঁড়াতে পারবে না। শান্তিগঞ্জে এই নির্দেশনা মানা হয়নি। এম এ মান্নানকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, একজন সারাজীবন পেয়েছেন কিন্তু নেত্রীর সামান্য নির্দেশনা মানতে পারছেন না– এটি মেনে নেওয়া যায় না। প্রার্থীদের মধ্যে তিনিই জ্যেষ্ঠ এবং যোগ্য। তাই তাঁর পক্ষে প্রচারে নেমেছি।
অন্যদিকে, সাদাত মান্নান অভি উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি। তবে বাবা এম এ মান্নানের পরিচয়েই উপজেলার ভোটারদের কাছে অধিক পরিচিত তিনি। এ ব্যাপারে এম এ মান্নান বলেন, নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার হবে, ভোট সুষ্ঠু হবে না। এ ধরনের শঙ্কার কথা আমি কারও কাছে শুনিনি। এমনটা হলে দায় আমাদের সবার। আজিজুস সামাদ ডন দলের কেন্দ্রীয় নেতা। তাঁর ওপর আরও বেশি বর্তায়। আমি কখনোই দলের নির্দেশনা অমান্য করিনি। ছেলে প্রার্থী হলেও আমি ভোটের মাঠে যাচ্ছি না। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা নিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির কোনো সিদ্ধান্ত আমার কাছে আসেনি। এমনকি জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমেও কোনো নির্দেশনা পাঠানো হয়নি।
শান্তিগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী তিনজন। অভি এবং কালামের বাইরে আছেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি, সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি বোরহান উদ্দিন দোলন। উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলে দোলনের প্রচার বেশি। এর আগে দু’বার উপজেলা নির্বাচনে প্রতিন্দ্বিতা করে তিনি ওই এলাকায় ভালো ভোট পেয়ে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উঠে আসেন।