cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধি নিয়ে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে সিলেট সিটি করপোরেশন। এসময় বক্তৃতাকালে এক নাগরিকের হাত থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন কাউন্সিলর। এ নিয়ে মতবিনিময় সভায় উত্তেজনা ও হট্টগোল দেখা দেয়। ঘটনার জেরে কয়েকজন কাউন্সিলর সাধারণ নাগরিকদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।
বুধবার (২২ মে) রাত ৮টার দিকে নগরের আমান উল্ল্যাহ কনভেনশন সেন্টারে এ ঘটনা ঘটেছে। যদিও পরে সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) আওতাধীন পুরনো ২৭টি ওয়ার্ডের হোল্ডিং সমূহের অ্যাসেসমেন্ট/রি-অ্যাসেসমেন্ট করারোপের ঘটনায় ফুসে ওঠেন নগরবাসী।বিষয়ে নাগরিকদের সাথে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে সিসিক।
মতবিনিময় সভার শুরুতে সিসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমান আরোপিত গৃহকর তৈরির প্রেক্ষাপট নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন শুরু করেন। উপস্থিত নাগরিকরা ডকুমেন্টারি বন্ধ করে মূল আলোচনায় যাওয়ার অনুরোধ করেন।
এসময় নুরুল ইসলাম দীনেশ নামে ব্যক্তি কথা মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সিসিকের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম তাকে বাঁধা দিয়ে হাত থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। আরও কয়েকজন কাউন্সিলর সাধারণ নাগরিকদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এতে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এবং দুপক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা ও হট্টগোল দেখা দেয়।
পরে সিসিক মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এরপর সভার কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়।
গৃহকর নিয়ে সিসিকের আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মৌলভীবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিউল আলম চৌধুরীর নাদেল।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট রঞ্জিত সরকার, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব এবং সংরক্ষিত মহিলা আসন-৩৯ এর সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা রুমা চক্রবর্তী।
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৌলভীবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, বর্তমান পরিষদ খুব আন্তরিকতার সাথে নাগরিকদের সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন।
কর পরিশোধ করা নাগরিকদের দায়িত্ব। নিয়মিত কর পরিশোধ করলে সিটি কর্পোরেশন অনেক দূর এগিয়ে যাবে। তবে নাগরিকদের মতামতকে মূল্যায়ন করে সিসিক কতৃপক্ষকে যৌক্তিক ও প্রাসঙ্গিক এবং সহনীয় মাত্রায় কর দার্য্য করার আহবান জানান তিনি।
শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল আরও বলেন, মেয়র আনোয়ারুজ্জানের নেতৃত্বে সিলেটে উন্নয়ন হচ্ছে এটা আমাদের স্বীকার করতে হবে। এবং তার মাধ্যমে একটি স্মার্ট নগর হিসেবে সমগ্র বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম একটি নগর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে সিলেট।
তিনি আরও বলেন, সাহসিকতার সাথে হকারমুক্ত ও পরিচ্ছন্ন নগর করতে পেরেছেন মেয়র আনোয়ারুজ্জান চৌধুরী। ঠিক একইভাবে হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়ে চলমান ইস্যুটি দ্রুততার সাথে সমাধান করতে পারবেন।
সভাপতির বক্তব্যে মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, দ্রুত সময়ে মধ্যে কাউন্সিলরদের সাথে সাধারণ সভা করে একটি যৌক্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা হবে। সিলেটের নাগরিকদের মতামতের ভিত্তিতে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান পরিষদ কাজ করবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা এমন কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো না যেটি নাগরিগদের জন্য কষ্টকর হয়। আমরা নাগরিকদের মতামতকে মূল্যায়ন করে সহনীয় মাত্রায় কর নির্ধারণ করবো।
মেয়র বলেন, বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় জরুরি সাধারণ সভা আহবান করা হয়েছে। কাউন্সিলরদের সাথে আলোচনা করে এই বিষয়ে একটি যৌক্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। আর নাগরিক সেবা প্রদানে সিসিকের কোনও স্টাফ যদি অসদাচরণ করেন সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এসময় মতামত প্রদান করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আবু ফতেহ ফাত্তাহ, জাসদ নেতা অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, সিনিয়র সাংবাদিক মুকতাবিস উন নূর, সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি তাহমিন আহমেদ, অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহিত চৌধুরী, গণদাবি পরিষদ নেতা মকসুদ আহমেদ, বিশিষ্ট সমাজসেবী আবু তাহের, নুরুল ইসলাম দীনেশ, জেলা দোকান মালিক সমিতি আব্দুর রহমান রিপন প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় সিলেট নগরের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।