সর্বশেষ আপডেট : ১৮ ঘন্টা আগে
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

টোল প্লাজায় খাস কালেকশনের নামে মাসে কোটি টাকা লোপাট

ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::

সরকার যখন ডিজিটালাইজেশনের যুগে। অফিস-আদালত সবখানে হচ্ছে কম্পিউটার ও সফটওয়্যারের ব্যবহার। অথচ এই সময়ে এসেও উল্টোপথে সড়ক ও জনপথ (সওজ), সিলেটের কর্মকর্তারা। তারা এনালগ পদ্ধতিতে টোল আদায় করছেন সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ কুশিয়ারা নদীর উপর টোল প্লাজায়।

প্রতি মাসে কোটি টাকা টোল আদায় (খাস কালেকশন) করা হলেও সফটওয়্যারে নেই কোনো হিসেব। ডিজিটাল যুগে হাতে কলমে রশিদ কেটে টোল আদায় করা হচ্ছে। যে কারণে প্রতিদিন সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব বেহাত হচ্ছে।

সওজ কর্মকর্তারা প্রতিদিনের বিপুল পরিমাণ টাকা টোল আদায় করলেও ব্যাংকে জমা দেন ইচ্ছে মাফিক। আর বিশাল অংকের টাকা চলে যায় ভাগবাটোয়াতে। প্রতি ২৪ ঘন্টায় আদায়কৃত টোলের গচ্ছিত টাকা প্রতিরাতিই নিয়ে আসেন সওজের কর্মকর্তারা। তা পরদিন আর ব্যাংকে জমা হয় না। সরকারের রাজস্ব আদায়ের অর্থ রহস্যজনক কারণে সওজের নির্বাহী প্রকৌশলীর পকেটেই পড়ে থাকে ৬ থেকে ১০ দিন। এর পর যে পরিমাণ অর্থ ব্যাংকে জমা হয় তাও ইচ্ছে মাফিক।

কেবল ফেঞ্চুগঞ্জ টোল প্লাজা-ই নয়, সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে কুশিয়ারা নদীর ওপর শেরপুর সেতু ও নগরীর প্রবেশদ্বার শাহপরাণ (র.) বাইপাস সেতুর টোল আদায়ের অর্থও বিশেষ কায়দায় তছরুপ করা হয়। যদিও এ দু’টি টোল প্লাজায় সফটওয়্যার কার্যকর আছে। তবে, এ দু’টি টোল প্লাজা দিয়ে যাতায়াতকারী যানবাহন থেকে টোল আদায় করা হলেও অনেক সময়ই সফটওয়্যারের জটিলতা দেখিয়ে আগের প্রিন্ট করা রশিদ দেওয়া হয়। এমন অভিযোগ চালকদের।

অনুসন্ধানে ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই তিন সেতুর থেকে মাসে অন্তত সোয়া দুই কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়। অথচ ব্যাংকে জমা হয় এক কোটি ২০ লাখ থেকে এক কোটি ২২ লাখ টাকা। এ হিসেবেই মাসে প্রায় কোটি টাকা রাজস্ব লোপাট হয় এই তিন টোল প্লাজায়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিলেটের তিনটি টোল প্লাজার টোল আদায়ের দায়িত্বে ছিল এশিয়ান ট্রাফিক অ্যান্ড টেকনোলজি লিমিটেড (এটিটি)। ইজারার শর্ত ভঙ্গ করা এবং মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত বছরের পহেলা অক্টোবর থেকে টোল প্লাজাগুলোর অর্থ আদায়ের দায়িত্ব বুঝে নেয় সড়ক ও জনপথ (সওজ) সিলেট। সওজের তিনজন কার্যসহকারির পাশাপাশি মনোনীত আরো ৩ জনকে দিয়ে আদায়কৃত টোলের টাকা গচ্ছিত রাখা হয়। সংগৃহিত সেই টোলের টাকা প্রতি রাতে নিয়ে আসেন কর্মকর্তারা। এমনটি জানান টোল আদায় কাজে নিয়োজিত সওজের কর্মচারিরা।

সূত্র জানায়, সওজ দায়িত্ব নেওয়ার পর ফেঞ্চুগঞ্জ টোল প্লাজার কম্পিউটার ও সফটওয়্যার বিকল করে হাতে কলমে টোল আদায় হয়। সাত মাস অতিবাহিত হলেও ঠিক করা হয়নি কম্পিউটার। যে কারণে রশিদ দিয়ে টাকা আদায় চলছে। এই সযোগে সরকারের রাজস্ব গচ্ছা যাচ্ছে প্রতিদিন। এরমধ্যে অসংখ্য যানবাহনের টাকা আদায় হয় বিনা রশিদে। অপর দুটি টোল প্লাজা শেরপুর ও শাহপরান বাইপাসে সফটওয়্যারের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন হলেও বিশেষ কায়দায় এ দু’টিতে নয়ছয় করার অভিযোগ পাওয়া যায়।

দায়িত্বরতরা জানান, প্রতিরাতে সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী, কখনো এসডিও বা এসও টাকা উত্তোলনে যান। টোল প্লাজার দায়িত্বরতদের বের করে দিয়ে আদায়কৃত খাস কালেকশনের পুরো টাকা নিয়ে আসেন তারা। কত টাকা নিলেন, তার পরিমাণ বা হিসেবও দেন না টোল প্লাজার দায়িত্বে থাকা সওজের কার্যসহকারিদের।

সরেজমিন দেখা যায়, ফেঞ্চুগঞ্জ টোল প্লাজায় সওজের কার্যসহকারি সাধন সরকার দায়িত্বে রয়েছেন। তার সঙ্গে আছেন নির্বাহী প্রকৌশলীর মনোনীত বাপ্পা সাহা নামে আরেকজন লোক। তিনি সওজের কর্মচারি নয় বলে দাবি করেন। আর টোল আদায়ে সহায়তায় রয়েছেন আরো ৬ জন। টোল প্লাজায় দুটি কম্পিউটার থাকলেও সেগুলো ধোলাবালিতে আচ্ছাদিত অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে।

দায়িত্বরতরা জানান, কম্পিউটারগুলো দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট। তাই ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে রসিদ দিয়ে টোল আদায় করছেন। প্রতিদিন অন্তত লাখ টাকা টোল আদায় হয়ে থাকে এই টোল প্লাজায়। তবে, এ হিসেব সঠিক নয় বলে দাবি করেন টোল আদায়ে নিয়োজিত এক কর্মচারি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি জানান, ওই সেতু থেকে প্রতিদিন গড়ে ১ লাখ ৬০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা টোল আদায় হয়। আদায়কৃত অর্থ নিতে প্রতিরাতেই আসেন সড়ক উপ-বিভাগ’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সওজের বিশ্বনাথ ও সড়ক শাখা তাজপুর) মো. সাদ্দাম হোসেন। তিনি টোলপ্লাজার ম্যানেজারের কক্ষে বসেই আদায়কৃত টাকা কয়েক ভাগে ভাগ করে নিয়ে যান।

একইভাবে সুরমা নদীর ওপর অবস্থিত শাহপরাণ (র.) বাইপাস সেতুতে টোল আদায়ে নিয়োজিত রয়েছেন ৮ জন। তাদের মধ্যে ম্যানেজারের দায়িত্বে থাকা তানভীর আহমেদ ও সৌরভ কান্তি কর নিজেদেরকে সওজ’র কার্যসহকারি দাবি করে জানান, তারা দুই শিফটে দায়িত্ব পালন করেন।

তানভীর আহমেদ জানান, প্রতিরাত ১০ টা থেকে ১২টার মধ্যে ওই টোল প্লাজা এসে আদায়কৃত টাকা নিয়ে যান সড়ক উপ-বিভাগ’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এসও) মো. সাদ্দাম হোসেন। তার সঙ্গে থাকেন সফটওয়্যার অপারেটর নাজু। মাঝে মধ্যে নির্বাহী প্রকৌশলী আমির হোসেনও টাকা নিতে আসেন। প্রতিদিনে ৮০ হাজার থেকে লাখ টাকা আদায় হয়। প্রতিদিনের টাকা রাতে নিয়ে গেলেও ব্যাংকে জমা করা হয় তিনদিন পর। তবে কি পরিমাণ ব্যাংকে জমা হয়, তা জানেন না বলেও জানান তানভীর আহমেদ।

সরেজমিন শেরপুর টোলপ্লাজায় গিয়ে দেখা যায়, ওই টোল প্লাজার রাজস্ব আদায়ের মূল দায়িত্বে রয়েছেন মিন্টু দাস ও এমরুজ্জামান শান্ত নামের দুই যুবক।

তারা জানান, সড়ক ও জনপথ বিভাগে কার্যসহকারি পদে তারা কর্মরত। সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী আমির হোসেন ও সওজ’র বিশ্বনাথ সড়ক উপ-বিভাগ উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (এসডিও) মো. মাহামুদুল হাসানের নির্দেশে ওখানে তারা অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। সহযোগী হিসেবে কাউন্টারে পরিবহন থেকে টাকা আদায়ে নিয়োজিত আছেন আরও ৬জন। মাসিক বেতনে তারা তিন শিফটে দায়িত্ব পালন করেন। সেখান থেকেও প্রতিরাতে এসডিও মো. মাহামুদুল হাসান আদায়কৃত টাকা নিয়ে যান। প্রতিদিন ওই টোল প্লাজায় কত টাকা আদায় হয়, সফটওয়্যার থাকা স্বত্বেও তার সঠিক হিসাব দিতে দিতে পারেনি তারা। শুধু বলেন, প্রতিদিন অনুমানিক তিন লাখ থেকে সোয়া তিন লাখ হতে পারে।

মিন্টু দাস বলেন, কাউন্টার থেকে যে টাকা আসে সে হিসেব আমি নিজেও জানি না। আমাকে জানানো হয় না। টাকার হিসেব সফটওয়্যারেই থাকে। তবে, একদিনের টাকা আমাদের কাছে থাকে। একদিনের কত টাকা থাকে? এমন প্রশ্নেরও উত্তর দিতে পারেন নি তিনি। বলেন, স্যারের (নির্বাহী প্রকৌশলী) নিষেধাজ্ঞা আছে। ‘স্যারের সঙ্গে কথা বলে’ জেনে নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অবস্থিত শেরপুর টোল প্লাজা থেকে প্রতিদিন ৫/৬ লাখ টাকা আদায় হয়। রোজার ঈদের আগে ৮ লাখের অধিক টাকা আদায় হয়েছে।

সিলেট সড়ক ও জনপথ বিভাগ, সিলেট’র ওয়েবসাইট গেটে দেখা গেছে কার্যসহকারী পদে কর্মরত রয়েছেন ১০জন। এরমধ্যে তিনটি টোল প্লাজায় দায়িত্ব পালন করছেন ৩ জন। তারা হলেন সিলেট সড়ক উপ-বিভাগ এর কার্যসহকারী মিঠু দাস ও সৌরভ কান্তি কর এবং গোলাপগঞ্জ সড়ক উপ-বিভাগ’র সাধন সরকার। অন্য তিনজন সওজের তিন কর্মকর্তার খাস লোক। তারাই টোল প্লাজার আদায় হওয়া টাকা সংরক্ষণের মূল দায়িত্ব পালন করেন।

এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন সড়ক উপ-বিভাগ’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. সাদ্দাম হোসেন। তিনি জানান, মাস্টাররোলে তাদের নিয়োগ দিয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী।

কর্মকর্তাদের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, তিনটি টোল প্লাজা থেকে প্রতিদিন ৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা আদায় হয়ে থাকে। সে হিসেবে মাসে এক কোটি ৪৭ লাখ টাকা আদায় হওয়ার কথা। কিন্তু ব্যাংকে ছয় দিনে জমা হয়েছে ১৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এ হিসেবে প্রতিদিন ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬৬ টাকা আদায় দেখানো হয়েছে। বাকি টাকা বিশেষ কায়দায় তছরুপ করা হয়েছে। যদিও আদাকৃত অর্থের পরিমাণ দ্বিগুনেরও বেশি বলে দাবি সংশ্লিষ্ট কর্মচারিদের।

ব্যাংকে জমা দেওয়া হিসাব থেকে জানা যায়, এ বছরের ১ এপ্রিল থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত ৩টি টোল প্লাজা থেকে আদায়কৃত ২৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা ব্যাংকে জমা হয়েছে। এরমধ্যে শেরপুর টোল প্লাজার ১৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়।সে হিসেবে প্রতিদিন গড়ে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬৬ টাকা আদায় দেখানো হয়। ফেঞ্চুগঞ্জ টোল প্লাজায় এই ছয়দিনে ৪ লাখ ৩৯ হাজার টাকা অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে ৭৩ হাজার ১৬৬ টাকা এবং শাহপরান সেতুতে প্রতিদিন গড়ে ৮২ হাজার ২৬৬ টাকা আদায় দেখিয়ে ছয়দিনে ৪ লাখ ৯৬ হাজার টাকা ব্যাংকে জমা হয়।

এ বিষয়ে সওজ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী আমির হোসেন বলেন, আমরা গত বছরের অক্টোবর থেকে তিনটি টোল প্লাজায় খাস কালেকশনের দায়িত্ব নিয়েছি। প্রতিদিনের টাকা একদিন পরে জমা দেওয়া হয়। তবে সেটি দেখেন সাব ডিভিশন অফিসার (বিশ্বনাথ সড়ক উপ-বিভাগ উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. মাহামুদুল হাসানে। তিনি (নির্বাহী প্রকৌশলী) নতুন এসেছেন, তাই অনেক কিছু জানেন না।

সড়ক উপ-বিভাগ উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (এসডিও) মো. মাহামুদুল হাসান বলেন, আগে যে কোম্পানী টাকা আদায় করতো। তাদের মেয়াদ শেষ হয়েছে, মেথডও পরিবর্তন হয়েছে। ফলে সওজ টোল আদায় করছে। প্রতিদিনের টাকা প্রতিদিন এনে পরদিন জমা দেওয়া হচ্ছে। তিনি ফেঞ্চুগঞ্জ টোলপ্লাজার সফটওয়্যার ঠিক না হওয়ার কারণ সম্পর্কে বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তাদের সফটওয়্যার সরিয়ে নিয়েছে। তাই ওই টোল প্লাজায় নতুন করে সফটও্যার সেটিং করা হয়নি। এই টোল প্লাজা থেকে দিনে গড়ে ৮০-৯০ হাজার টাকা, শেরপুর থেকে ৩ লাখ টাকা এবং শাহপরান টোল প্লাজা থেকে ৮০ হাজার টাকার আদায় হয়ে থাকে।

সড়ক উপ-বিভাগ’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমি শেরপুর টোলপ্লাজার টাকা সংগ্রহ করি। অন্য দুটি টোল প্লাজার টাকা আদায় করেন উপ সহকারি প্রকৌশলী কুতুব উদ্দিন। শেরপুর থেকে প্রতিদিন ৩ লাখ ২০ হাজার টাকার কমিবেশি টোল আদায় হয়ে থাকে। সেই টাকা ৩/৪ দিন পর সোনালী ব্যাংকে চালান মারফত জমা দেওয়া হয়। তিনটি টোল প্লাজায় কার্যসহকারিদের পাশাপাশি ম্যানেজার হিসেবে মনোনীতরা মাস্টাররোলে আছেন। মাস্টাররোলে যে কেউ নিয়োগ পেতে পারেন।

২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে তিন বছরের জন্য টোল আদায় শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। বিনিময়ে তারা ৭ ভাগ হারে ব্যবস্থাপনার জন্য কমিশন পেত। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে সফটওয়্যার জটিলতা, অডিট রিপোর্টে গরমিলসহ নানা অভিযোগ ওঠে। ২০২২ সালের ২৫ আগস্ট প্রতিষ্ঠানটিকে ‘টার্মিনেশন ফর ডিফল্ট’ নোটিশ দেওয়া হয়। পরে প্রতিষ্ঠানের পক্ষে আব্দুল আলী সিলেট জজ আদালতে ও পরে পরিচালক তানভীর হক বাবু উচ্চ আদালতে রিট করেন। তারা টোল প্লাজা ব্যবস্থাপনার দাবি করেন। ওই সময় সরকারের কাছে তাদের পাওনা ছিল প্রায় ৩ কোটি টাকা। তাদের মেয়াদ শেষ হলে ও আদালতের নির্দেশে গত বছরের পহেলা অক্টোবর থেকে খাস কালেকশনে নামে সওজ।

তিনটি টোল প্লাজা সম্প্রতি পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, বিভিন্ন যানবাহনের মধ্যে ট্রেইলার থেকে ৩৭৫ টাকা, বড় ট্রাক ১১০, মাঝারি ট্রাক ৮৫, বাস ৩৫, মিনি ট্রাক ৬৫, কৃষিকাজে ব্যবহৃত যান ৬০, মিনিবাস ২৫, মাইক্রোবাস ৪০, কার ২০, তিন চাকার যান ১০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। চলাচলকারী যানের মধ্যে মহাসড়কে শেরপুর সেতু পারাপার হয় সবচেয়ে বেশি বাস, ট্রাক, কার ও মাইক্রোবাস।

সরেমজিন দেখা গেছে, এক ঘণ্টায় শেরপুর সেতু অতিক্রম করে ৪৮৮টি যানবাহন। ২৪ ঘণ্টা হিসাব করলে গাড়ি অতিক্রমের সংখ্যা দাঁড়ায় ১১ হাজার ৭১২টি। গড়ে ৫০ টাকা আদায় হিসেবে এসব গাড়ি থেকে ৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকা টোল আদায় হওয়ার কথা। কিন্তু সরকারি কোষাগারে টাকা জমার হিসাব ৩ লাখ অতিক্রম করে না।

একইভাবে ফেঞ্চুগঞ্জ সেতু দিয়ে ঘন্টায় দেড় শতাধিক ও শাহপরাণ (রহ.) সেতু দিয়ে ঘণ্টায় প্রায় শতাধিক করে যানবাহন অতিক্রম করে। সে হিসেবে লক্ষাধিক থেকে ২ লাখ টাকা জমা হওয়ার কথা। সে হিসেবে মনগড়া হিসেব দেখিয়ে ইচ্ছে মাফিক ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়া হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: