cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
সেই ১৯৯৩ সালে শেষবার মেজর শিরোপা জিতেছিল লেভারকুসেন, জার্মান কাপ। এরপর কেটে গেছে ৩১টি বছর। এরপর বারবার খুব কাছে গিয়ে হতে হয়েছে আশাভঙ্গ। তবে স্বপ্নের চলতি মৌসুমে বেশ আগে থেকেই বুন্দেসলিগার সুবাস পাচ্ছিল লেভারকুসেন। জিতলেই চ্যাম্পিয়ন – এই সমীকরণ মাথায় রেখে ওয়ের্ডার ব্রেমেনকে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচ হাতে রেখে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মত জার্মানির শীর্ষ লিগের শিরোপার মুকুট উঠল জাবি আলোনসোর রুপকথার গল্প লিখা লেভারকুসেন। শেষ হল বায়ার্ন মিউনিখের ১১ বছরের একচেটিয়া আধিপত্য।
রবিবার (১৪ এপ্রিল) রাতের ম্যাচে ঘরের মাঠ বে অ্যারেনাতে ব্রেমেনকে ৫-০ গোলে হারিয়ে আগেভাগেই শিরোপা উৎসবে মেতেছে লেভারকুসেন। সেই সাথে চলতি মৌসুমে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে একমাত্র দল হিসেবে ৪৩ ম্যাচে অপরাজিত রইল তারা। ২৯ ম্যাচ শেষে ২৫ জয়ে ৭৯ পয়েন্ট লেভারকুসেনের। বায়ার্নের পয়েন্ট ৬৩।
এই ম্যাচের আগে আলোনসো বলেছিলেন, আগাম উৎসব না করে প্রতিপক্ষকে সম্মান দেখাতে চান তারা। তবে টেবিলের ১২ নম্বর দল ব্রেমেনের বিপক্ষে লেভারকুসেনের জয়ের ব্যাপারে বাজি ধরার লোকের সংখ্যাটাই ছিল বেশি। অবিশ্বাস্য এক মৌসুমে এই দলটিকে কেউই থামাতে পারেনি। আর শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই।
এর মধ্য দিয়ে এক দীর্ঘ আফসোসের অবসান ঘটল লেভারকুসেনের। বুন্দেসলিগায় শিরোপা না জিতে রেকর্ড পাঁচবার রানার্সআপ হওয়ার পর অবশেষে তাদের হাতে ধরা দিল লিগ শিরোপা। অবশ্য যেই লেভেলের ফুটবল দলটি খেলছে, তাতে এমনটা না হলে সেটাই বরং হত বিস্ময়কর।
মৌসুম জুড়ে অনেকবার প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে হারা ম্যাচ জিতেছে লেভারকুসেন, কখনও করেছে ড্র। তবে হার মানেনি একবারও। অদম্য ফুটবলের প্রতীক হয়ে ৯০ মিনিট প্রাণপণ লড়ে গেছেন আলোনোর যোদ্ধারা।
তবে এই ম্যাচে তেমন কিছু প্রয়োজন হয়নি তাদের। ২৫তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে লিড এনে ভিক্টর বোনিফেস। বিরতির ১৫ মিনিট পর ব্যবধান বাড়ান গ্রানিত গ্রানিত জাকা। ম্যাচে যাও একটু রোমাঞ্চের সম্ভাবনা ছিল, সেটাও শেষ করে ৬৮তম মিনিটে স্কোরলাইন ৩-০ করেন ফ্লোরিয়ান উইর্টজ।
বাকি সময়টা জুড়ে খেলোয়াড় থেকে শুরু করে বে অ্যারেনায় উপস্থিত সব লেভারকুসেন ভক্তদের একটাই অপেক্ষা, কখন বাজবে ম্যাচ শেষের বাঁশি। এমন একটা দিনের অপেক্ষায় যে বছরের পর বছর কেটে গেছে ক্লাবটির সবার। এরই মাঝে আনন্দের মাত্রা বাড়িয়ে ৮৩তম মিনিটে আবারও গোলের দেখা পান উইর্টজ। ক্লাবের ইতিহাস গড়ার রাতটিকে আরও স্পেশাল বানিয়ে সাত মিনিট বাদে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন তিনি।
অবশেষে রেফারি শেষ বাঁশি বাজাতেই গর্জনে ফেটে পড়ল পুরো স্টেডিয়াম। ম্যাচ শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই মাঠের ভেতর ও বাইরে চলা উৎসবের রেনু যেন ছড়িয়ে পড়ল ছোট লেভারকুসেন শহরের আনাচে কানাচে। বুন্দেসলিগা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার বলে কথা। ইতিহাসের সাক্ষী হওয়া বলে কথা!