ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::

সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কার কাছে মাত্র ৩ রানে হারল বাংলাদেশ। জাকের আলী অনিক এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দুটি বিধ্বংসী ইনিংসের পরও হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল শ্রীলঙ্কা।

বাংলাদেশের বিপক্ষে নির্ধারিত ২০ ওভারে তিন উইকেটে ২০৬ রান করেছে শ্রীলঙ্কা। কুশল মেন্ডিস এবং সাদিরা সামাবিক্রমা বিধ্বংসী হাফ সেঞ্চুরি এবং চারিথ আসালঙ্কার দুর্দান্ত ক্যামিওতে এই সংগ্রহ গড়েছে সফরকারীরা। জবাবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং জাকের আলীর ইনিংসে সহজ জয় পায় বাংলাদেশ।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের করা প্রথম ওভারেই ফিরে যান লিটন দাস। ইনিংসের তৃতীয় বলে উইকেটের পেছনে কুশুল মেন্ডিসকে ক্যাচ দিয়ে শূন্য রানেই ফিরেন এই ওপেনার। চতুর্থ ওভারে ফিরে যান সৌম্য সরকারও।

বিনুরা ফার্নান্দোর ওভারে মিড অফে উড়িয়ে মারতে গিয়ে চারিথ আসালঙ্কার তালুবন্দি হন সৌম্য। ফেরার আগে করেন ১১ বলে ১২ রান। ৩০ রানের মধ্যে নিজেদের তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ছক্কা মেরে ইনিংস শুরু করা তাওহীদ হৃদয়ও ম্যাথিউসের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। তার ব্যাটে আসে ৫ বলে ৮ রান।

নবম ওভারে ফিরে যান নাজমুল হোসেন শান্তও। বাংলাদেশের অধিনায়ক ২২ বলে ২০ রান করে মাথিশা পাথিরানার বলে ফিরে যান। স্কয়ার লেগে শান্তর ক্যাচটিও ধরেন মাথিউস। বাংলাদেশের রান তাড়ার মিশনটি ভালোভাবে শুরু হয় ৬৮ রানে চার উইকেট যাওয়ার পর।

তাণ্ডবের শুরুটা করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। জাকের আলী অনিকের সঙ্গে জুটি গড়েন ৪৭ রানের। এই জুটিতে মাত্র ২৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন মাহমুদউল্লাহ। যদিও আগ্রাসী ভঙ্গিমায় খেলতে খেলতে মাহিশ থিকশানার বলে ফিরে যান তিনি।

৩১ বলে দুটি চার ও চারটি ছক্কায় ৫৪ আসে তার ব্যাটে। লং অনে ক্যাচ দিয়ে মাহমুদউল্লাহ ফেরার পর বাংলাদেশের হাল ধরেন জাকের। শেখ মেহেদীর সঙ্গে চটজলদি ৬৫ রানের জুটি গড়েন তিনি। এই জুটিতে অবশ্য জাকেরের অবদানই বেশি।

তবে দলীয় ১৮০ রানে ফিরে যাওয়ার আগে মেহেদীর ১১ বলে ১৬ রানের ইনিংসটিও বাংলাদেশকে প্রেরণা দিয়েছে।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এর আগে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই আভিস্কা ফার্নান্দোকে প্যাভিলিয়নে ফেরান শরিফুল ইসলাম। তার অফ সাইডের বল কাভার অঞ্চলে ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটরক্ষক লিটন দাসের তালুবন্দি হন লঙ্কান এই ওপেনার। ফেরার আগে করেন দুই বলে চার রান।

পঞ্চম ওভারে বাংলাদেশকে আবারও ব্রেক’থ্রু এনে দেন তাসকিন আহমেদ। তার অফসাইডের বাইরে করা বলটিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড উইকেটে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ তুলে দেন কামিন্দু মেন্ডিস। তার বলে আসে ১৪ বলে ১৯ রানের ইনিংস।

তারপর ৯৬ রানের জুটি গড়েন কুশল মেন্ডিস এবং সাদিরা সামাবিক্রমা। এই জুটি গড়ার পথেই হাফ সেঞ্চুরি করেন মেন্ডিস । এই জুটিটি ভাঙেন রিশাদ হোসেন। তাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অফে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নিয়ন্ত্রিত ক্যাচে মাঠ ছাড়েন মেন্ডিস। ৩৬ বলে ছয়টি চার ও তিনটি ছক্কার সাহায্যে ৫৯ রান করেন এই ওপেনার।

তারপর সাদিরা সামাবিক্রমা এবং ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক চারিথ আসালঙ্কার ব্যাটে এগিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের বোলারদের তুলোধুনো করে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন সামাবিক্রমাও। এই জুটিতে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি।

শেষ পর্যন্ত ৪৮ বলে ৬১ রানে অপরাজিত ছিলেন এই ব্যাটার। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটাই তার সর্বোচ্চ রান। আরেকপ্রান্তে ২১ বলে ছয়টি ছক্কায় ৪৪ রানে অপরাজিত ছিলেন আসালঙ্কা।

সংবাদটি শেয়ার করুন:

• ফেইসবুক
• টুইটার
• গুগল প্লাস
• ইমেইল