cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর পুরো ইরান জুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সেই বিক্ষোভের খবর প্রচার করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হন দুই ইরানি নারী সাংবাদিক। এক বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে থাকা ওই দুই নারী সাংবাদিককে জামিনে মুক্তি দিয়েছে ইরান।
মুক্তি পাওয়া দুই নারী সাংবাদিক হলেন নিলুফার হামেদি (৩১) ও এলাহেহ মোহাম্মদী (৩৬)।
ইরানি গণমাধ্যমে তাদের মুক্তির বিষয়টি প্রচারিত হয়েছে। দুই নারী সাংবাদিকই তাদের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন। আপিলের বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত তারা জামিনে মুক্ত থাকবেন বলে খবরে বলা হয়।
ইরানি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ২ লাখ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ জামানতে দুই নারী সাংবাদিককে জামিন দেওয়া হয়। জামিনে থাকাকালে তারা দেশত্যাগ করতে পারবেন না।
উল্লেখ্য, পোশাক বিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগে ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাজধানী তেহরানে নীতি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন মাহসা আমিনি। ১৬ সেপ্টেম্বর তিনি পুলিশি হেফাজতে মারা যান। তার মৃত্যুর জেরে দেশটিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে তা দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও ইরানের কর্তৃপক্ষ দাবি করে, আগে থেকে বিদ্যমান শারীরিক অসুস্থতার কারণে মাসা আমিনির মৃত্যু হয়েছে।
তবে জাতিসংঘের একজন মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ বলেন, তথ্যপ্রমাণ বলছে, নীতি পুলিশের ‘মারধরের’ কারণে মাহসা আমিনি মারা গেছেন।
সাংবাদিক নিলুফার হামেদি ইরানের সংস্কারপন্থী পত্রিকা শার্ঘে কাজ করতেন। মাসা আমিনির মৃত্যুর কথা জানার পর তার বাবা ও দাদি পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছিলেন। এই দৃশ্য ধারণ করেন নিলুফার হামেদি। পরে তিনি এই ছবি অনলাইনে পোস্ট করেন। ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, শোকের কালো পোশাক আমাদের জাতীয় পতাকায় পরিণত হয়েছে।
অন্যদিকে এলাহেহ মোহাম্মদী কাজ করতে হাম-মিহান পত্রিকায়। তিনি মাহসা আমিনির নিজ শহরে তার দাফন-কাফনের খবর সংগ্রহ ও প্রচার করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, কীভাবে শত শত শোকার্ত মানুষ মাহসা আমিনির জন্য কেঁদেছিলেন, তারা কীভাবে ‘নারী, জীবন, স্বাধীনতা’ বলে প্রতিবাদী স্লোগান দিয়েছিলেন।
বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পরপরই দুই নারী সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করে ইরানের কর্তৃপক্ষ। তাদের বিরুদ্ধে মার্কিন সরকারের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ আনা হয়। এ ছাড়া জাতীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগও আনা হয়। নিলুফার হামেদি ও এলাহেহ মোহাম্মদীর যথাক্রমে ১৩ ও ১২ বছর করে কারাদণ্ড হয়।