সর্বশেষ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পুনরায় পরীক্ষার দাবি রিটের আদেশ আজ

ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম ধাপের নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল চেয়ে এবং পুনরায় পরীক্ষার দাবিতে করা রিটের আদেশ দেয়া হবে আজ। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহ’র সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেবেন।

গত বৃহস্পতিবার রিটের একটি সাপ্লিমেন্টারি জমা দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন রিটকারীদের আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন। ওইদিন আদালত থেকে বেরিয়ে আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, প্রাথমিকের এই নিয়োগ পরীক্ষায় অনেক অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। এটি বাতিল চেয়ে আমরা রিট করেছি। আজকে তার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী রোববার ফর অর্ডারের জন্য রাখা হয়েছে। বরিশাল বিভাগের পরীক্ষার্থী ফাতেমা আক্তার সাথী ১৮৫ জনের পক্ষে গত ১২ ডিসেম্বর রিটটি দায়ের করেন।

গত ৮ ডিসেম্বর প্রাথমিকের প্রথম ধাপের নিয়োগ পরীক্ষা হয়। এই ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ১৮ জেলার পরীক্ষার্থীরা অংশ নেয়। প্রথম ধাপের পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেছিলেন ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন চাকরিপ্রত্যাশী। এতে অনেকে অনুপস্থিত থাকেন।

এরইমধ্যে পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে ১২৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের মধ্যে রংপুর বিভাগের ৯৬ জন ও বরিশাল বিভাগের ২৮ জন। ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে ডিজিটাল জালিয়াতির অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। প্রথম ধাপের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে গত সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে দেড় শতাধিক চাকরিপ্রত্যাশী।

মানববন্ধনে তারা জানান, চলমান হরতাল-অবরোধে পরীক্ষা গ্রহণ, বৈরী আবহাওয়ার কারণে দূরপাল্লার গাড়ি না পাওয়া, প্রবেশপত্র ডাউনলোডের এসএমএস না পাওয়া, প্রবেশপত্রের কারণে হলে প্রবেশ করতে না পারা ও পরীক্ষা শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যে প্রশ্ন বাইরে চলে যাওয়াসহ নানা ঘটনা ঘটেছে। এতে দেড় লাখেরও বেশি প্রার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি।

মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেয়া ফাতেমা আক্তার পরীক্ষা বাতিলের জন্য রিট করার কথা বলেছিলেন। তিনি অভিযোগ করে বলেছিলেন, কয়েক দফা পিছিয়ে হরতাল-অবরোধের মধ্যে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। অথচ একই কারণে বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানো হয়েছে। সমন্বিত ৭ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষাও পেছানো হয়। আবার পরীক্ষায় প্রক্সিসহ ব্যাপক অনিয়ম-জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। এজন্য আমরা আইনগতভাবে এ পরীক্ষা বাতিলের জন্য হাইকোর্টে রিট করব।

এর একদিন পরই ১৮ জেলার পরীক্ষা বাতিল ও নিয়োগ পরীক্ষার যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন ফাতেমা আক্তার সাথী।

১২ ডিসেম্বর বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এই রিট করা হয়। রিটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি), রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের কমিশনারসহ ১৩ জনকে বিবাদী করা হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: