cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশের নেয়া পদক্ষেপগুলো বেশ সন্তোষজনক এবং দেশটিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দেয়া বেশিরভাগ শর্তই পূরণ করতে পেরেছে। ফলে রিজার্ভের শর্তে সংস্থাটির কাছ থেকে ছাড় পেয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের অনুকূলে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির প্রায় ৬৯ কোটি ডলার ছাড়ের পর শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) আইএমএফ’র এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান রাহুল আনন্দ বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রসঙ্গের এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনের আগে বাংলাদেশের ওপর কান্ট্রি রিপোর্ট প্রকাশ করে আইএমএফ। ওই রিপোর্টে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, চ্যালেঞ্জ, সম্ভাবনা এবং করণীয় বিষয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা রয়েছে।
আইএমএফের রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশ পরিমাণগত পারফরম্যান্স ক্রাইটেরিয়ার তিনটি বিষয়ের মধ্যে রিজার্ভ ছাড়া বাকি দুটি অর্জন করেছে। এ দুটি শর্ত সরকারের বাজেট ঘাটতি এবং সরকারের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ সংক্রান্ত। চারটি ইন্ডিকেটিভ টার্গেটের মধ্যে কর সংগ্রহ ছাড়া বাকি তিনটি পূরণ করেছে। এই তিনটি সরকারের সামাজিক ব্যয়, মূলধনী বিনিয়োগ এবং মুদ্রা সরবরাহ সংক্রান্ত শর্ত। এছাড়া ব্যাংক কোম্পানি আইন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইনসহ কাঠামোগত সংস্কারের বেশিরভাগ শর্ত পূরণ করা হয়েছে।
রাহুল আনন্দ বলেন, মুদ্রাস্ফীতি কমানোই বাংলাদেশের এখন মূল চ্যালেঞ্জ। এ ছাড়া অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে মুদ্রানীতি আরও কঠোর করারও পরামর্শও দেন রাহুল।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর আইএমএফ কোনো মন্তব্য করে না। অবশ্য সংস্থাটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, জানুয়ারিতে বাংলাদেশের নির্বাচন অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা বাড়াতে পারে।
প্রসঙ্গত, গেল ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাবের অনুমোদন দেয় আইএমএফ। ৭ কিস্তিতে মিলবে এই অর্থ। যাতে গেল ফেব্রুয়ারিতে প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬২ ডলার পায় বাংলাদেশ। এছাড়া বুধবার ঘোষণা আসে, দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার অর্থছাড়ের।
এ ঋণ দেশের অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় ভূমিকা রাখবে অর্থনীতিবিদরা সেটিই প্রত্যাশা করছেন। এদিকে আইএমএফের ঋণ ছাড়াও বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) থেকে চলতি মাসে আরও প্রায় ৮০ কোটি ডলার ঋণ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সব মিলিয়ে ডিসেম্বরে এসব সংস্থা ঋণ ছাড় দিলে দেড় বিলিয়ন ডলার প্রাপ্তির আশা করছে সরকার।
আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি সংস্থাটির বোর্ড মিটিংয়ে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ কিস্তিতে বাংলাদেশ ৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলার ঋণ পাবে। অর্থমন্ত্রী এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে আইএমএফের প্রধান কার্যালয়ে মঙ্গলবার সংস্থাটির নির্বাহী পর্ষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় কিস্তির ঋণের অর্থ দেয়ার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়।