cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
দুই মাস আগে হঠাৎ করেই রাশিয়ার নেতৃত্বকে ক্ষমতাচ্যুত করার হুমকি দিয়েছিলো ভাড়াটে ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। এই পথে যারাই বাধা হয়ে দাঁড়াবে, তাদের ধ্বংস করে দেয়া হবে বলেও হুশিয়ারি দিয়েছিলো ওয়াগনার প্রধান। এতে হুমকির মুখে পড়ে গিয়েছিলো রাশিয়ার ভবিষ্যৎ।
২৩ জুন প্রিগোজিনের এ বিদ্রোহের পর বেজায় ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি একে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ ও ‘পিঠে ছুরিকাঘাত’ বলে আখ্যা দেন এবং দোষীদের শাস্তি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
তাই পরে যখন তেমনটা হয়নি, তখন স্বাভাবিকভাবেই বিস্মিত হয়েছিলো রাশিয়ানরা। বিদ্রোহের অবসান ঘটাতে প্রিগোজিন এবং ক্রেমলিনের মধ্যে একটি চুক্তি করা হয়। চুক্তিতে ওয়াগনার প্রতিষ্ঠাতা এবং তার যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ প্রত্যাহার করা হয়, যদিও সংক্ষিপ্ত এ বিদ্রোহে কিছু রুশ সেনা নিহত হয়েছিলেন। এর ফলে রুশ প্রেসিডেন্টের ভাবমূর্তি কিছুটা ক্ষুণ্ণ হয় বলে মনে করা হয়।
এ সমঝোতার বিষয়ে একটি রাশিয়ান সংবাদপত্র এই মন্তব্য করেছে- এ ধরনের আপস সাধারণত রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সাথে করা হয়। কখনোই অপরাধী এবং সন্ত্রাসীদের সাথে নয়। এর মানে কি প্রিগোজিনকে এখন একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসাবে দেখা উচিত?
এরপর হঠাৎই দৃশ্যপট পাল্টে যায়। ঠিক দুই মাস পর প্রিগোজিনের ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ায় তাকে মৃত বলে ধরে নেয়া হয়েছে। মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গগামী প্লেনে ওয়াগনার কমান্ডার দিমিত্রি উটকিনও ছিলেন। মোট ১০ আরোহী সবাই এ দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।
প্রিগোজিনের কথিত মৃত্যুতে রাশিয়ান অভিজাতরা খুব একটা দুঃখ পাবে না। একই কথা রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বের জন্য প্রযোজ্য, প্রিগোজিন প্রকাশ্যে যাদের নিন্দা করে বরখাস্তের দাবি জানিয়েছিলেন।
ওয়াগনার বস দাবি করেছিলেন, তার তথাকথিত ‘মার্চ অফ জাস্টিস’ ক্রেমলিনকে লক্ষ্য করে নয়, বরং প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু এবং চিফ অব জেনারেল স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভকে লক্ষ্য করে ছিলো।
বাস্তবে, ওয়াগনার বিদ্রোহ ছিলো প্রেসিডেন্ট পুতিনের কর্তৃত্বের জন্য একটি সরাসরি চ্যালেঞ্জ এবং ক্রেমলিনের জন্য অত্যন্ত অপমানজনক ২৪টি ঘণ্টা। পুতিন নিজেই উল্লেখ করেছেন যে, রাশিয়া ওয়াগনারকে অর্থায়ন করেছে। তবে স্পষ্টতই টাকা দিয়ে আনুগত্য কেনা যায়নি।
যদি এই ঘটনা ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিদের দ্বারা প্রতিশোধ নেয়ার জন্য হয়ে থাকে, তবে এটি প্রিগোজিনের অনুগত এবং যারা সশস্ত্র প্রতিরোধের কথা ভাবছেন তাদের কাছে দুটি স্পষ্ট বার্তা পাঠায়- চেষ্টা করবেন না এবং যারা চেষ্টা করে তাদের কী হয় দেখুন।
তার মানে প্রেসিডেন্ট পুতিন এই ঘটনার পর আরও শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারেন।
কিন্তু প্রিগোজিন যদি শহীদে পরিণত হন? তার প্রতি আনুগত্যের প্রতিশ্রুতি দেয়া ব্যক্তিরা এবং প্রশিক্ষিত যোদ্ধারা যদি প্রতিশোধ নেয়ার আহ্বান জানায়?
ওয়াগনারের সাথে যুক্ত টেলিগ্রাম চ্যানেল গ্রে জোন প্রিগোজিনের তথাকথিত মৃত্যুর জন্য ‘রাশিয়ান বিশ্বাসঘাতকদের’ দায়ী করেছে। তবে এই বিশ্বাসঘাতক কারা এবং ওয়াগনারের প্রতিক্রিয়া কী হবে তা তারা স্পষ্ট করেনি।
যদি এই ক্র্যাশটি ফাউল প্লে হয়ে থাকে, তবে এটি রাশিয়ায় অনেকের কাছেই অবাক হওয়ার মতো বিষয় হবে না। বিদ্রোহের পর থেকেই প্রিগোজিনের ভাগ্য এবং তার কৃতকর্ম সত্যিই ক্ষমা করা হবে কিনা তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে।
তিনি নিশ্চয়ই সেটা জানতেন। তবুও, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে তিনি যখন ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে করে ঘুরছিলেন তখন তিনি স্পষ্টতই বিমান ভ্রমণকে বিপদ হিসাবে দেখেননি। সম্ভবত তার ধারণা ছিলো যে তিনি খুব শক্তিশালী এবং রাশিয়ার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তি।
Leave a Reply