cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
সিলেট নগরীর মেন্দিবাগ এলাকার বাসিন্দা আব্দুস ছত্তার। একাধিক মার্কেটসহ বেশকিছু সম্পদ রয়েছে তার। চলতি বছর ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।
এর পর প্রবাসে থাকা প্রথম স্ত্রী ও তার সন্তানরা দেশে ফিরে সম্পত্তির খোঁজ নেওয়া শুরু করেন। বিশেষ করে দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর নাবালক সন্তানের নামে রেজিস্ট্রিকৃত অছিয়তনামা মূলে দান করা মেন্দিবাগ এলাকার প্রায় ৭-৮ কোটি টাকা মূল্যের ‘ছত্তার ম্যানশন’ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে।
এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেন প্রথম পক্ষের স্ত্রী সাবিহা খাতুনের ছেলে আমজাদ হোসেন ও দ্বিতীয় স্ত্রী তাহমিনা বেগম।
বুধবার বিকেলে ছত্তার ম্যানশনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তাহমিনা দাবি করেন, তার স্বামী আব্দুস ছত্তারের মৃত্যুর পর সাবিহা ও তার সন্তানরা ‘ছত্তার ম্যানশন’ দখল করতে উঠে পড়ে লেগেছেন। অথচ তার স্বামী অসুস্থ্য ও মৃত্যুর সময় পাশেও দাঁড়াননি তারা। এখন সন্তানকে দান করা মার্কেট নিয়ে কাড়াকাড়ি করছেন প্রথম পক্ষের স্ত্রী ও সন্তানরা।
সংবাদ সম্মেলনে তাহমিনা জানান, তার স্বামী আব্দুস ছত্তারের প্রথম স্ত্রী সাবিহা খাতুন সন্তান নিয়ে যুক্তরাজ্যে বাস করছেন। দীর্ঘদিন তাদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক ছিল না। আব্দুস ছত্তারের বিরুদ্ধে ২০০৯ ও ২০১০ সালে সাবিহা ও তার ভাই শফিক আলী কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরিও করেন।
পারিবারিক অশান্তির কারণে ২০১০ সালের ১৬ জুলাই মুসলিম শরীয়াহ আইনে তাকে বিয়ে করেন উল্লেখ করে তাহমিনা জানান, তার স্বামী দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার পর ২০২২ সালের ৬ এপ্রিল তার নামীয় ‘ছত্তার ম্যানশন’টি নাবালক ছেলে আজহার হোসেনের নামে রেজিস্ট্রিকৃত অছিয়তনামা মূলে হস্তান্তর করেন। সন্তানের পক্ষে মার্কেটের নিয়ন্ত্রণকারী হিসেবে তিনি স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন। অসুস্থ অবস্থায় তার স্বামীকে দেশ বিদেশে চিকিৎসা করান তিনি। চলতি বছরের ২৬ মে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার স্বামী মারা যান। কিন্তু তার বিপদের সময় প্রথম স্ত্রী সাবিহা খাতুন ও সন্তান আমজাদ হোসেনসহ অন্য ছেলে-মেয়েরা তার পাশে দাঁড়াননি। কোনো প্রকার সহযোগিতাও করেননি।
এক প্রশ্নের জবাবে তাহমিনা বেগম বলেন, আমার স্বামীর যেসব সম্পদ রয়েছে, তা এখনো ভাগবাটোয়ারা হয়নি। আমি দ্বিতীয় স্ত্রী হলেও আমার সন্তানরা তার সম্পদের অংশ পাবে। কিন্তু আমরা তা দাবি করছি না। বরং আমার সন্তানকে দান করা মার্কেটটি তারা দখল করতে চাচ্ছেন। এলাকার জনপ্রতিনিধি, আত্মীয় স্বজনসহ কারও কথা তারা শুনছেন না। এ বিষয়ে তাহমিনা প্রশাসনসহ সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তাহমিনার মেয়ে আফসানা আক্তার মাসিয়া ও ছেলে আজহার হোসেন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিটি করপোরেশনের স্থানীয় কাউন্সিলর মোস্তাক আহমদ, আত্মীয় আখতার হোসেন, আব্দুল হান্নান শরীফ, কবির আহমদ দুলাল, কয়েছ আহমদ ও সৈয়দ নুরুজ্জামান প্রমুখ।
এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর মাকে সঙ্গে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন আমজাদ হোসেন। তিনি তাহমিনার বিবাহিত জীবন অস্বীকার করে তার বিরুদ্ধে হুমকি ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেন। আমজাদ হোসেন জানান, তার পিতার নিয়োগ করা ম্যানেজার দুলালসহ কিছু লোককে নিয়ে তাহমিনা সম্পদ আত্মসাতের চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, আমরা দুই ভাই, এক বোন এবং আমার মা এখনো জীবিত। তাহমিনার সঙ্গে আমার বাবার বিয়ে হয়নি, কোনো কাবিননামাও নেই।