cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
বন্যা পরিস্থিতির ক্রমশও উন্নতি হলেও রোববার পর্যন্ত সিলেটের সুরমা- কুশিয়ারার তিনটি পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সিলেটসহ সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। সিলেট নগরীর নিচু এলাকায় এখনও বন্যার পানি রয়েছে।
এদিকে, বাড়ি-ঘর, হাটবাজার থেকে বন্যার পানি ধীর গতিতে নামায় বানভাসীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারিভাবে বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত থাকলেও দুর্গম স্থানে বসবাসকারী পানিবন্দী মানুষ ত্রাণ পাচ্ছে না। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে এখনো লোকজন রয়েছেন। হবিগঞ্জে বন্যায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মৌলভীবাজারের বড়লেখা-কুলাউড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্নস্থান দিয়ে এখনও বন্যার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে সড়কে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলছে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সুরমা ও কুশিয়ারা সিলেটের তিনটি পয়েন্টে পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর মধ্যে সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে ৭১ সেন্টিমিটার, শেওলায় কুশিয়ারা ৫৯ সেন্টিমিটার এবং ফেঞ্চুগঞ্জে কুশিয়ারা ৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে, সিলেটে সুরমা বিপদসীমার ১১ সেন্টিামটার নীচে রয়েছে।
দক্ষিণ সুরমা : আমাদের দক্ষিণ সুরমা প্রতিনিধি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় কুশিয়ারা নদীর পানি কিছুটা কমলেও বন্যার্ত মানুষের দুর্ভোগ কমছে না। পানি কয়েক দিন ধরে থমকে আছে। গত এক দিনে প্রায় ২ ইঞ্চি পানি নেমেছে। ৭-৮ দিন ধরে উপজেলার অধিকাংশ মানুষ পানিবন্দী। ঘরে ও রাস্তায় এখনো পানি রয়েছে। যেভাবে পানি কমছে, তাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও এক সপ্তাহ লাগবে। নতুন করে বৃষ্টিপাত হলে পানি বাড়তে পারে।
সরকারি ও বেসরকারিভাবে বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত থাকলেও দুর্গম স্থানে বসবাসকারী পানিবন্দী মানুষ ত্রাণ পাচ্ছে না। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে এখনো লোক রয়েছেন। উপজেলার মোগলাবাজার, দাউদপুর, জালালপুর, সিলাম, লালাবাজার, তেতলী ইউনিয়ন বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উদ্যোগে একটি মেডিকেল টিম গতকাল রোববার উপজেলার লালাবাজার ইউনিয়নের কাটাদিয়া গ্রামের মোহম্মদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কামালবাজার ইউনিয়নের হাশিমী কমিউনিটি সেন্টারে আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণকারী ব্যক্তিদের মধ্যে দিনব্যাপী রান্না করা খাবার বিতরণ ও চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মঈনুল আহসানের নেতৃত্বে মেডিকেল টিমে চিকিৎসা প্রদান করেন ডা. আবু সালমান মো. সাইফুল ইসলাম, স্বাস্থ্য পরিদর্শন আতিকুর রহমান, নার্স দেবাশীষ রায়, আয়শা বেগম, স্বাস্থ্য সহকারী মো. তাজুদ আলী, মোঃ মিজানুর রহমান, মো. আজিজুল হক, শাহানাজ বেগম, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক রতন চন্দ্র নাথ, আবু সালেহ আহমদ, নির্মা কান্তি আচার্য্য, লক্ষ্মী রাণী চক্রবর্তী প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ সুরমা প্রেসক্লাব সভাপতি আশরাফুল ইসলাম ইমরান, সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মুসিক, মোহম্মদিয়া কাটাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু আহাম্মদ সোহেল, সহকারী শিক্ষক মোস্তাকুর রহমান মোয়াজ, মো. আইন উল্লা।
সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি জানান, বন্যার পানি কিছুটা কমলেও হাওর পাড়ের গ্রামগুলোতে দুর্যোগ রয়ে গেছে। গ্রামগুলোতে এখনও পানি থৈ থৈ করছে। সুনামগঞ্জ শহরের বিভিন্ন পাড়ার বাসা-বাড়িতে লোকজন ফিরতে শুরু করেছেন। তবে, বাসা বাড়িতে পঁচা ও নর্দমার পানি থাকায় পরিষ্কার করতে লোকজনকে বেগ পেতে হচ্ছে।
এদিকে, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে দেখা দিয়েছে পানিবাহিত রোগের প্রকোপ। গতকাল রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় পানিবাহিত রোগে সুনামগঞ্জ জেলায় ১০৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. আহমদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরো জানান, ১২৩টি মেডিকেল টিম বন্যা উপদ্রুত এলাকায় কাজ করছে।
হবিগঞ্জ : হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি জানান, হবিগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। নিম্নাঞ্চলের পানি ধীর গতিতে কমছে। বন্যায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গত দু’সপ্তাহ যাবৎ অব্যাহত বন্যায় জেলার ৭টি উপজেলার ৫৪টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে।
সরকারী হিসেবে ২৪ হাজার ২শ ৩০টি পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। ৮৩ হাজার ৪শ ৯০ জন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। ঘরবাড়ি ছেড়ে ২১ হাজার ৭৩ জন আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছেন। এ পর্যন্ত ৪১৫ মেঃ টন চাউল, ১৫ লাখ টাকা নগদ ও ৪ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। জেলায় ৩৫০টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। রোববার বিকেলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় কালনি কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ১১৭ সেঃ মিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
এদিকে, শনিবার দুপুরে বানিয়াচং উপজেলার মকরমপুর ইউনিয়নের পুরান পাতারিয়া গ্রামের জনৈক লুৎফুর রহমান ও বশিরা খাতুনের আড়াই বছরের ছেলে আফিল মিয়া তাদের বসত বাড়ির উত্তর দিকে বন্যার পানিতে ডুবে মারা যায়।
কুলাউড়া : কুলাউড়া অফিস জানায়, কুলাউড়ায় বন্যা পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি। বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কিছু স্থান থেকে পানি নেমে গেছে। তবে, মৌলভীবাজারের বড়লেখা-কুলাউড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্নস্থান দিয়ে এখনও বন্যার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে সড়কের কিছুস্থানে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। ফলে সড়কে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলছে। যার কারণে চালক-যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই সুযোগে অসাধু যানবাহন চালকরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে বলে যাত্রীরা অভিযোগ করছেন।
সম্প্রতি ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুলাউড়া পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থান তলিয়ে যায়। বিশেষ করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে বন্যার পানি জমে থাকায় লোকজন চরম দুর্ভোগের মুখে পড়েন। এ অবস্থায় কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি এগিয়ে আসে। সমিতির অর্থায়নে ড্রামের ওপর টিন দিয়ে প্রায় ৩শ ফুটের একটি সেতু নির্মাণ করায় লোকজন সহজেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা যাওয়া করতে পারছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কুলাউড়া পৌরসভার কোথাও হাঁটু পানি, আবার কোথাও হাঁটুর নিচে পানি মাড়িয়ে মানুষজন চলাচল করছেন। ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলছে। তবে ছোট যানবাহন খুবই কম চলাচল করছে। যেগুলো চলছে সেগুলোতে পানি ঢুকে বিকলও হচ্ছে। এতে চালক ও যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। কিছুস্থানে পানি নেমে যাওয়ায় বড় বড় গর্ত বের হয়েছে। কুলাউড়া উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ৩০টি আশ্রয় কেন্দ্রে এখনো বন্যার্তরা রয়েছেন। বন্যার্তদের জন্য সরকারি বরাদ্দের পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যক্তি উদ্যোগে ত্রাণ সহায়তা প্রদান অব্যাহত রয়েছে।
শেরপুর : শেরপুর (মৌলভীবাজার) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, শেরপুর এলাকায় পুরান সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে ভাঙন দিয়ে পানি প্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয় লোকজন ভাঙ্গন এলাকায় বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করছেন। ভাঙন দিয়ে প্রবল বেগে পানি প্রবেশ করে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে নবীগঞ্জ উপজেলার ভবানীপুর, মজলিসপুর, উজিরপুর, রুদ্রপুর এলাকা। এছাড়া, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মুকিমপুর, আলমপুর প্লাবিত হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে শেরপুরে বদ্ধ কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।