cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
টানা কয়েকদিনের বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সিলেটের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা।
জৈন্তাপুর,কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাট জকিগঞ্জ, বিয়ানীবাজার দক্ষিন সুরমা, সিলেট নগরীর কয়েকটি এলাকার বিদ্যুতের সাব স্টেশন পানিতে তলিতে গেছে। ফলে এসব কিছু এলাকায় মঙ্গলবার থেকে বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ।
এছাড়া বসতঘরে পানি উঠে যাওয়ায় সিলেট নগরীর অর্ধেক এলাকা ছাড়াও বিয়ানীবাজার,জকিগঞ্জ,কানাইঘাট, কোম্পানিগঞ্জ, জৈন্তাপুর, সদর ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার বেশিরভাগ এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদির।
তিনি বলেন, কিছু জায়গায় সাব স্টেশনের যন্ত্রপাতি পানিতে তলিয়ে গেছে। আবার অনেক জায়গার বাসা বাড়ির মিটার পর্যন্ত ডুবে গেছে। একারনে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ আছে। পানি না কমলে এটি স্বাভাবিক হবে না।পানিতে ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বিদ্যুতহীনতা পানিবন্ধী মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়েছে।
বিয়ানীবাজার বালিঙ্গা এলাকার বাসিন্দা নাহিদ হোসেন খান বলেন, বর্তমানে আমাদের গ্রামে এখনো বিদ্যুতের লাইন সচল রয়েছে। শুনেছি পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে শেওলা পল্লীতের সাব-স্টেশনের আরো একটু বন্যার পানি বাড়লে হয়তো অনির্দিষ্টকালের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকতে পারে।
তিনি আরো বলেন, কুশিয়ারা নদীর পানি ঢুকে আমাদের বালিঙ্গা গ্রামের স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসায়,শাহী ঈদগাহ সহ এলাকার রাস্তা-ঘাট বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। বিশেষ করে নদীর তীরে বসবাসরত মানুষের বেশি কষ্ট হচ্ছে।
বিদ্যুৎহীনতার সাথে সাথে মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সেবায়ও বিপর্যয় দেখা দিয়েছে সিলেটে। সব মিলিয়ে বন্যা কবলিত মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে, সিলেটে চতুর্থ দিনের মতো সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ বুধবার (১৮ মে) সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে ৬ সেন্টিমিটার কমলেও সিলেটে বেড়েছে ২ সেন্টিমিটার। নগরে ও গ্রামে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
সিলেট নগরের মাছিমপুর এলাকার বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন বলেন, তিনদিন ধরে ঘরে পানি। পানির কারনে ঘর থেকেও বের হওয়া যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, খাবারের কোন সংকট না থাকলেও সবচেয়ে সমস্যা হচ্ছে বাথরুম ব্যবহারে। বিশেষত নারী ও শিশুরা সবচেয়ে সমস্যায় পড়েছেন।
জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, বন্যার্থদের জন্য সিলেট জেলায় ১৯৯টি ও নগরে ২টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তবে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে উঠতে তেমন আগ্রহ নেই মানুষজনের।
বন্যায় বিভিন্ন উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্টান তলিয়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে পড়েছে শিক্ষা কার্যক্রম।
এদিকে আজ বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে আসবেন সিলেট-১ আসনের সাংসদ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড একে আবুল মোমেন। বেলা ১ টায় সিলেট আসার কথা রয়েছে তার। পরিদর্শনকালে বন্যার্থদের মধ্যে ত্রাণও বিতরন করবেন তিনি।
বন্যা কবলিতদের জন্য নগরের কিশোরী মোহন ও মাছিমপুর বিদ্যালয়ে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুর আজিজুর রহমান।
এদিকে বন্যায় প্লাবিত হয়ে পড়া ছয় উপজেলা সিলেট সদর, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জকিগঞ্জ ও জৈন্তাপুর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে নতুন নতুন এলাকা। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে দক্ষিন সুরমা ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের উপ সহকারি প্রকৌশলী নিলয় পাশা বলেন, উজানে বৃষ্টি না থামলে পানি কমার কোন সম্ভাবনা নেই।