cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
করোনা পরিস্থিতির এই ভয়াল সময়ে গোটা সিলেটবাসীর চোখ এখন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দিকে। কিন্তু সিলেট বিভাগের কোটি মানুষের উন্নত চিকিৎসার একমাত্র ভরসাস্থল এই হাসপাতালটির নতুন ভবনের ৪র্থ ও ৫ম তলায় করোনা ইউনিট চালুর প্রতীক্ষার পালা যেন শেষ হচ্ছেনা। শুধুমাত্র সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন না থাকায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেও থমকে আছে ৪৫০ শয্যার করোনা ইউনিট। সম্প্রতি সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন এর ডিও লেটারের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অক্সিজেন লাইন স্থাপনে সম্মত হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে বৃহস্পতিবার একটি চিঠির মাধ্যমে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এব্যাপারে অবহিত করা হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে সপ্তাহ খানেকের মধ্যে অর্থ বরাদ্দ হবে। সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন স্থাপনের কাজ শুরু হতে থাকবেনা কোন বাঁধা। তবুও কাটছেনা সংশয়। কারণ সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন স্থাপনে সময় লাগবে কমপক্ষে ২ মাস। আর জনবল সঙ্কট সে তো হাসপাতালটির নিত্যসঙ্গী।
হাসপাতাল সংশিষ্ট সূত্রে জানা যায়, করোনা চিকিৎসার জন্য বর্তমানে সরকারী উদ্যোগে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে ১শ’টি শয্যা ও সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩২৫টি শয্যা প্রস্তুত রয়েছে। ৩টি ওয়ার্ড খালি করে করোনা রোগীদের চিকিৎসা চলছে। এছাড়াও আরো ২টি ওয়ার্ডে রাখা হচ্ছে করোনা উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের। এদিকে সিলেটে বেসরকারী উদ্যোগে ১৩০টি আইসিইউ সহ প্রায় ৫০০টির মতো করোনা আইসোলেশন শয্যা রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সকল হাসপাতালের শয্যাসমূহ রোগীতে পূর্ণ।
ওসমানী হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট সূত্রের সাথে আলাপকালে জানা যায়, ৫০০ শয্যার হাসপাতালটিকে ৯০০ শয্যার হাসপাতালে রুপান্তরিত করে পুরনো ভবনের উল্টো দিকে নতুন ১০ তলা ভবন নির্মাণ করা হয়। এই ভবনে প্রতিদিন বর্হিবিভাগের রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। বিগত সময়ে দেশে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় নতুন ভবনের ৪র্থ ও ৫ম তলায় ৪৫০টি শয্যার করোনা ইউনিট চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।কিন্তু সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন না থাকায় থমকে যায় বহুল প্রতিক্ষিত করোনা ইউনিটের কার্যক্রম।
গেল বছরের ডিসেম্বর মাসে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন স্থাপনের জন্য অর্থ বরাদ্দ চেয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন পাঠান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে কয়েক দফা যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু ৮ মাসে হয়নি অর্থ বরাদ্দ। সম্প্রতি পররাষ্টমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের ডিও লেটার প্রেরণের প্রেক্ষিতে নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এরই আলোকে গত বৃহস্পতিবার সেন্ট্রাল অক্সিজেন স্থাপনের অনুমোদনের ব্যাপারে চিঠির মাধ্যমে ওসমানী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করা হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন স্থাপনে কমপক্ষে ২ মাস সময় লাগবে। এছাড়া নতুন ৪৫০ শয্যার করোনা ইউনিট চালু হলে জনবল সঙ্কটের কারণে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকে।ৎ কারণ জনবল সংকট ও যন্ত্রপাতির অপ্রতুলতা ওসমানী হাসপাতালের অনেক দিনের সমস্যা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৮ সালে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি ৫০০ থেকে ৯০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। কিন্তু বাড়ানো হয়নি জনবল। ৯০০ শয্যার হাসপাতালে প্রতিদিন বহির্বিভাগে ৪ হাজারের বেশি ও ইনডোরে ২ সহস্রাধিক রোগী চিকিৎসা নেন। ৫০০ শয্যার জন্য অনুমোদিত ৩২৮ জন চিকিৎসকের মধ্যে ১৩৫টির বেশী পদ শূন্য রয়েছে। নার্সিং কর্মকর্তা, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ শ্রেণি ও আউটসোর্সিং কর্মচারীর ১ হাজার ৪৭৪টি পদের মধ্যে শূন্য রয়েছে ৪৩২টি পদ। জনবলের পাশাপাশি রয়েছে রোগী পরীক্ষার যন্ত্রপাতির সংকট।
হাসপাতালের একটি সিটিস্ক্যান, একাধিক অ্যানেসথেসিয়া মেশিন, অটোক্ল্যাভ, একাধিক ডিফাইবেল্টর, কম্পিউটার, ডায়থারমি, ইসিজি, অ্যান্ডোসকপি, আল্ট্রাসোনোগ্রাম, ভেন্টিলেটর ও এক্স-রে মেশিনসহ প্রায় অর্ধশতাধিক মেশিন অচল রয়েছে। কমসংখ্যক এসব গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি দিয়ে বিপুল সংখ্যক রোগীকে সেবা দেয়া কষ্টসাধ্য। বাড়ে বিড়ম্বনাও। যার কারণে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের রোগ নির্ণয়ের বেশির ভাগ পরীক্ষা বাইরে থেকে করতে হয়।
বিশেষজ্ঞদের অভিমত, রোগীদের চাপ সামলাতে ওসমানী হাসপাতালকে যেমন ২ হাজার শয্যায় উন্নীত করা প্রয়োজন, তেমনি সেবার মান বাড়াতে দূর করা প্রয়োজন জনবল সংকট। ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা: মাহবুবুল আলম জানান, জনবল সংকট দূর করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার আবেদন জানানো হয়েছে। জনবল বৃদ্ধির জন্য একাধিক চাহিদাপত্র পাঠানো হলেও কাজ হয়নি। নষ্ট যন্ত্রপাতি কম, তবে নতুন যন্ত্রপাতি কেনার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। করোনা মহামারী সংকটেও ওসমানী হাসপাতালে কভিড-নন-কভিড রোগীদের সেবা নিশ্চিতে নতুন জনবল নিয়োগের বিকল্প নেই। সূত্র:দৈনিকজালালাবাদ