cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ওয়েছ খছরুঃ সিলেটের করো’না পরিস্থিতি ভ’য়াবহতার দিকে যাচ্ছে। গতকাল মা’রা গেছেন ১৭ জন। নতুন শনাক্ত হয়েছেন ৭৩৬। স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যানই বলছে; পরিস্থিতি ভালো না। দিন দিন খা’রাপের দিকে যাচ্ছে। বাস্তব চিত্র আরও ভিন্ন। উপসর্গ নিয়ে মা’রা যাচ্ছে অনেক। তাদের কোনো পরিসংখ্যান নেই।
হাসপাতা’লে রোগী ভর্তির জায়গা নেই। গাড়িতে, এম্বুলেন্সে মা’রা যাচ্ছে রোগী। তাদের হিসাবও উঠছে না স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যানে। এ অবস্থায়ও চিকিৎসার পরিধি বাড়ানো হচ্ছে না। আর বাড়াতে হলেও সময় সা’পেক্ষ ব্যাপার। ফলে আইসিইউ সংকটে মা’রা যাওয়া রোগীদের জীবন বাঁ’চাতে এখনই বিকল্প ব্যবস্থারও সুযোগ নেই। দিন দিন সিলেটের করো’না পরিস্থিতি ভ’য়াবহ অবস্থার দিকে ধাবিত হওয়ায় স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মক’র্তারা চিন্তিত।
স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাবমতে- সিলেটে চলতি মাসে ২৭ দিনে পৌনে ২শ’ করো’না রোগীর মৃ’ত্যু হয়েছে। শনাক্ত হয়েছেন ১২ হাজারের মতো রোগী। আ’ক্রান্তদের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশের উপরে রোগী বাসায় আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে। মাত্র ১০ ভাগ রোগী হাসপাতালমুখী হয়েছেন। এতেই সংকোচিত হয়ে গেছে স্বাস্থ্যসেবার পরিধি। সিলেটে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় ১৩০টির মতো আইসিইউ বেড রয়েছে। এসব বেডে রোগী ভর্তির জায়গা নেই। ভর্তির প্রায় তিনগুণ বেশি রোগী আইসিইউ’র জন্য অ’পেক্ষায় রয়েছে। অনেকেই সাধারণ ওয়ার্ডে অক্সিজেন সা’পোর্টে জীবন বাঁচিয়ে রেখেছেন। কেউ কেউ ৪-৫ দিন অ’পেক্ষা করেও আইসিইউ পাচ্ছেন না। কেউ মা’রা গেলে কিংবা একটু সুস্থ হলে আইসিইউ মিলে। নতুবা দিনের পর দিন অ’পেক্ষায় থাকলেও আইসিইউ মিলছে না। এখন আইসিইউ বেড তো দূরের কথা হাসপাতা’লে রোগী ভর্তির জায়গা নেই।
সিলেটের করো’না ডেডিকে’টেড শহীদ শামসুদ্দিন আহম’দ হাসপাতা’লে এক মাস ধরে রোগী ভর্তির জায়গা নেই। হাসপাতা’লে কখনো কখনো একই পরিবারের ২-৩ জন করো’নায় আ’ক্রান্ত হয়ে ভর্তির জন্য আসছেন। তাদের অবশ্য একটি কেবিনে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বেড সংকট থাকায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতা’লে ভর্তির জন্য পাঠিয়ে দিচ্ছে।
হাসপাতা’লের আবাসিক চিকিৎসক সৈয়দ নাফি আহম’দ জানিয়েছেন- হাসপাতা’লে রোগী ভর্তির জায়গা না থাকায় ভর্তি করা সম্ভব হচ্ছে না। অনেকের নাম লিখে রাখা হচ্ছে। জায়গা খালি হলে তাদের ভর্তির সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে। প্রতিদিন ১০-১২ জন আশ’ঙ্কাজনক রোগীর নাম কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে লিখে রাখা হয়। বেড খালি হলে মানবিক কারণে তাদের ভর্তির সুযোগ করে দেয়া হয়। ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতা’লে উপচে পড়ছেন করো’না রোগীরা। হাসপাতা’লে ২৬, ২৭ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডে আড়াইশ’ বেডে রোগীদের সিলিন্ডার অক্সিজেন সা’পোর্টে রাখা হচ্ছে। কিন্তু প্রতিদিনই আড়াইশ’ বেডের বিপরীতে প্রায় ৩২০ থেকে সাড়ে ৩০০ রোগী ভর্তির সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে। এরপরও হাসপাতালমুখী রোগীর স্রোত কমছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বাধ্য হয়ে কর্তৃপক্ষ ফ্লোরিং করে রাখতে হচ্ছে। পরে বেড খালি হলে সেখানে দেয়া হয়।
হাসপাতা’লের সহকারী পরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন- ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতা’লে করো’না আ’ক্রান্ত রোগীর চাপ বেশি। সরকারি হাসপাতাল হিসেবে রোগীদের ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব হয় না। ধারণ ক্ষমতার বেশি সংখ্যক রোগী ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে তাদের অক্সিজেন সা’পোর্ট দেয়া হচ্ছে। হাসপাতা’লে আইসিইউ সবসময় রোগীতে পরিপূর্ণ থাকে বলে জানান তিনি। সিলেটে ওসমানী ও শামসুদ্দিনের বাইরে খাদিমনগর ও দক্ষিণ সুরমা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের ভর্তি করা হচ্ছে। কিন্তু ওই দুটো হাসপাতা’লে বেড মিলছে না। হাসপাতাল থেকে হাসপাতা’লে রোগী নিয়ে ঘুরলেও ভর্তির সুযোগ না থাকায় চরম ভোগান্তিতে রয়েছে রোগীর স্বজনরা।
বিশ্বনাথের তসলিম আহম’দ নামের এক রোগীর স্বজন জানিয়েছেন- গত মঙ্গলবার তার চাচাকে নিয়ে নগরীর সরকারি-বেসরকারি প্রায় সব হাসপাতা’লেই ঘুরেছেন। কিন্তু কোথাও আইসিইউ বেড খুঁজে পাননি। গাড়িতে রেখে অক্সিজেন সা’পোর্ট দেয়া হয়। একপর্যায়ে আইসিইউ না পাওয়ার কারণে গাড়িতেই মা’রা যান চাচা। তিনি বলেন- কয়েকদিন আগে তাদের আরেক স্বজন একইভাবে আইসিইউ না পেয়ে মৃ’ত্যুবরণ করেছেন। সিলেটের বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগী ভর্তির জায়গা কমে এসেছে। বেসরকারিভাবে শতাধিক আইসিইউতে রোগী রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
অক্সিজেন সা’পোর্ট কম থাকায় আইসিইউ বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিক ওনার্স এসোসিয়েশনের নেতারা। তারা জানিয়েছেন- আইসিইউতে প্রতিনিয়ত যু’দ্ধ চলছে। এর বাইরে করো’না রোগীদের জন্য প্রায় ৫০০ বেড রয়েছে। এসব বেডেও রোগী ভর্তির জায়গা নেই। করো’নার সাধারণ বেডেও অক্সিজেন সা’পোর্ট লাগে। সিলিন্ডার দিয়ে অক্সিজেন সা’পোর্টের মাধ্যমে রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। চিকিৎসার বাইরে সিলেটে করো’না পরীক্ষার জন্য নমুনা দিতে আসা রোগীদের ভিড় দিন দিন বেড়েই চলেছে। শহীদ শামসুদ্দিন আহম’দ হাসপাতা’লে সকাল হলেই নমুনা দিতে আসা রোগীদের ভিড় বেড়েছে। গতকাল বেলা ১টার দিকে শামসুদ্দিনে গিয়ে দেখা গেছে- প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন রোগী নমুনা দেয়ার জন্য অ’পেক্ষায় রয়েছে।
শামসুদ্দিনের চিকিৎসক সৈয়দ নাফি জানিয়েছেন- আগের চেয়ে নমুনা দেয়ার সংখ্যা বেড়েছে কয়েকগুণ। এসব নমুনা সংগ্রহ করে তারা পরীক্ষার জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতা’লে প্রেরণ করেন। ওদিকে গত মঙ্গলবার দুপুরের পর সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতা’লে টিকা কেন্দ্রে হঠাৎ করে টিকা সংকট দেখা দেয়। এ সময় কয়েকশ’ মানুষ টিকা গ্রহণের জন্য বুথে ছিলেন। তবে- গতকাল থেকে ফের টিকা দেয়ার বিষয়টি স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মক’র্তারা।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মক’র্তা ডা. জাহিদুর রহমান মানবজমিনকে জানিয়েছেন- টিকার সংকট ছিল না। মেসেজ না পেয়ে অ’তিরিক্ত টিকা গ্রহণের ইচ্ছুক মানুষ বুথে চলে গিয়েছিলেন। এ কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিলো বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে- এখন স্বাভাবিক আছে। যারা মেসেজ পাবেন না তাদের টিকা দেয়া হবে না বলে জানান। সৌজন্যেঃ মানবজমিন