cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
করো’না আ’ক্রান্ত হয়ে সিলেটের নূরজাহান হাসপাতা’লের আইসিইউতে আছেন বিশ্বনাথের এক নারী (৫৫)। ওই নারীর স্বামী ও ছে’লে নেই। ভাসুরের ছে’লে তাকে দেখাশুনা করছেন।
তিনি জানান, আমা’র চাচীর অবস্থা খুব খা’রাপ। এ পজিটিভ প্লাজমা দরকার, কিন্তু পাচ্ছি না। দুই দিন ধরে প্লাজমা খুঁজছি।
একই হাসপাতা’লে করো’না উপসর্গ নিয়ে ৭০ বছর বয়সী নানীকে ভর্তি করেন কা’ম’রুল। হাসপাতা’লে ভর্তির পর তার করো’না শনাক্ত হয়। বর্তমানে কা’ম’রুলের নানী করো’না আ’ক্রান্ত হয়ে সিলেটের নূরজাহান হাসপাতা’লের আইসিইউতে আছেন। চিকিৎসকরা বলেছেন তার চিকিৎসার জন্য প্লাজমা দরকার। তাই হন্য হয়ে প্লাজমা খুঁজছেন কা’ম’রুল।
কা’ম’রুলের মত সিলেটের অনেক করো’না আ’ক্রান্ত রোগীর স্বজনরা প্লাজমা’র জন্য ছোটাছুটি করছেন। কিন্তু প্লাজমা পাচ্ছেন না।
সিলেটে প্লাজমা সংগ্রহ করে রোগীদের সহযোগিতা করে ‘ই’মা’র্জেন্সি প্লাজমা সংগ্রহকারী টিম সিলেট’ নামে একটি সংগঠনের সদস্যরা।
এই সংগঠনের সদস্য শফি আহমেদ জানান, তাদের কাছে প্রতিদিনই প্রায় ১৫ থেকে ২০টি কল আসে প্লাজমা সংগ্রহ করে দেওয়ার জন্য। এর বিপরীতে আম’রা মাত্র তিন থেকে পাঁচ জনকে প্লাজমা সংগ্রহ করে দিতে পারি।
সারা দেশের ন্যায় সিলেটেও করো’নাভাই’রাস আ’ক্রান্ত রোগী ও মৃ’ত্যের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। শুক্রবারও সিলেটে করোনায় আ’ক্রান্ত হয়ে মা’রা গেছেন ৬ জন। শনাক্তের সংখ্যারও নতুন রেকর্ড হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার ৮টা পর্যন্ত) ৪৪২ জনের শরীরে করো’নাভাই’রাস শনাক্ত হয়। যা সিলেটে এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ।
সিলেট বিভাগে করো’না চিকিৎসার জন্য রয়েছে একমাত্র বিশেষায়িত সরকারি চিকিৎসাকেন্দ্র শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহম’দ হাসপাতাল। পাশাপাশি সিলেটের তিনটি বেসরকারি হাসপাতা’লে করো’না রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। করো’না রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে এসব হাসপাতা’লের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা প্লাজমা থেরাপি দেওয়ার জন্য পরাম’র্শ দিচ্ছেন। এই প্লাজমা থেরাপিতে অনেক রোগী ভাল হচ্ছেন আবার অনেকর অবস্থা অ’পরিবর্তিত থাকে বলে জানান চিকিৎসকরা।
সরজমিনে সিলেটের মাউন্ট এডোরা হাসপাতা’লে দেখা যায়, ‘ই’মা’র্জেন্সি প্লাজমা সংগ্রহকারী টিম সিলেট’ এর সদস্য শফি আহমেদ চারজন ডোনার নিয়ে এসেছেন প্লাজমা সংগ্রহ করার জন্য। তাদের সঙ্গে আছেন প্লাজমা ব্যবহারকারী রোগীর স্বজনরা।
শফি আহমেদ বলেন, প্রতিদিনই ১৫ থেকে ২০ জন রোগীর স্বজন আমাদের সাথে যোগাযোগ করেন প্লাজমা’র জন্য। আম’রা সবাইকে প্লাজমা দিয়ে সহযোগিতা করতে পারি না। কারণ যেকারো প্লাজমা করো’না রোগীর শরীরে দেওয়া যায় না। যারা করো’নামুক্ত হয়েছেন শুধুমাত্র তাদের প্লাজমা করো’নারোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এখন অনেক করো’নামুক্ত রোগী স্বাছন্দে প্লাজমা দেন। আবার অনেকে ভ’য় পান প্লাজমা দিতে। অনেকেই মনে করেন করো’না থেকে মুক্ত হওয়ার পর আবার প্লাজমা দিলে হয়তো তার শরীরে ক্ষতি হতে পারে। তাই এই প্লাজমা সংকট।
তবে করো’না চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপির ক্লিনিক্যালি কোনো প্রমাণ নেই বলে জানান চিকিৎসকরা। তারপরও রোগীর স্বজনদের চাহিদার প্রেক্ষিতে প্লাজমা থেরাপির পরাম’র্শ দেন বলে জানান বেশ কয়েকজন চিকিৎসক।
এ ব্যাপারে শহীদ শামসুদ্দিন আহম’দ হাসপাতা’লের আবাসিক চিকিৎসা কর্মক’র্তা সুশান্ত কুমা’র মহাপাত্র বলেন, করো’না চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপিতে খুব একটা লাভ হয় না। তাছাড়া ক্লিনিক্যালি কোনো প্রমাণ নেই এই থেরাপির। শুরুর দিকে আম’রাও কয়েকজন করো’না রোগীকে প্লাজমা থেরাপি দিয়েছি। এখন আর আম’রা এই থেরাপি ব্যবহার করছি না। তবে অনেক হাসপাতা’লের চিকিৎসকরা প্লাজমা’র সাজেশন দিতে পারেন। এটা তাদের ব্যক্তিগত মত। তবে প্লাজমা দিলে প্লাজমাদাতার কোনো শারীরিক সমস্যা হয় না। করো’নামুক্ত হওয়ার ২৮ দিন পর প্লাজমা দেওয়া যায়।