cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
করো’নায় থমকে গেছে সারা’বিশ্ব। ওলটপালট হয়ে গেছে পৃথিবী। এর ব্যত্যয় ঘটেনি সিলেটেও। এই মহামা’রির সংক্রমণ ঠেকাতে সিলেটসহ সারাদেশে চলছে কঠোর লকডাউন। লকডাউনের দ্বিতীয় রাতে সিলেট ভূতুড়ে নগরীতে পরিণত হয়েছে। ওষুধের দোকান ছাড়া নগরীর আর কোন দোকান খোলা নেই। সড়কে একটি গাড়ি ও নেই। এমন ভূতুড়ে নগরী অ’তীতে কখনোই দেখা যায়নি।
সামান্য রাতেই সিলেট নগরীর চারদিক নিঝুম। ব্যস্ততম শহরজুড়ে সুনসান নীরবতা। যানবাহনের পে-পো শব্দ নেই। তড়িঘড়ি করে কাউকে আর গন্তব্যে ছুটতে দেখা যায় না। স্কুলের মাঠ, পার্ক সব ফাঁকা, কোথাও কেউ নেই। কর্মব্যস্ত নগরীর এই রূপ সত্যি বেমানান।
এদিকে করো’নাভাই’রাস সংক্রমণ ঠেকাতে গত ১ জুলাই থেকে ৭ দিনের কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন করতে ও সরকারি আদেশ অনুযায়ী করো’না সংক্রমণ মোকাবিলায় মানুষের চলাচলসহ অন্যান্য বিষয়ে কঠোর বিধিনিষেধ নিশ্চিত করতে নগরে ভ্রাম্যমাণ আ’দালত পরিচালনা করা হচ্ছে। বাইরে যারা বের হয়েছেন তাদের কাছে কারণ জানতে চাওয়া হচ্ছে। সন্তোষজনক উত্তর দিতে না পারলে জ’রিমানা করা হচ্ছে।
এবিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পু’লিশের অ’তিরিক্ত উপ-পু’লিশ কমিশনার (মিডিয়া এন্ড কমিউনিটি সার্ভিস) বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের সিলেটভ’য়েসকে বলেন, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সন্ধ্যা সাতটার পর থেকে নগরীর সব দোকানপাট বন্ধ রাখা হচ্ছে। শুধুমাত্র ফার্মেসীগুলো খোলা আছে।
এদিকে কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় রাত সাড়ে সাতটায় নগরী অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে এই নগরী ভূতের। নগরীর প্রধান সড়কের দুই পাশে ওষুধের দোকান ছাড়া বাকি সব দোকান বন্ধ। নগরীর প্রবেশমুখ নতুন ব্রিজ থেকে জিন্দাবাজার হয়ে পু’লিশ লাইন পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটারের বেশি এলাকা ঘুরে এই অন্ধকার দৃশ্য দেখা গেছে।
এই নিস্তব্ধ রাতে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে রাষ্ট্র। নগরীর অলিগলিতে সিএনজি অটোরিকশা বা পু’লিশের পিকআপ গাড়িতে করে টহল দিচ্ছে পু’লিশ। কেবল জীবনযাত্রা অচল স্থবির হয়ে গেছে। সামাজিক দূরত্বই নয়, মানুষ কার্যত স্ব-প্রণোদিত হয়ে সরকারের নির্দেশে গৃহবন্দী হয়ে আছে।
রাত আটটায় এই প্রতিবেদক নগরীর প্রবেশমুখ নতুন ব্রিজে দাঁড়িয়ে লক্ষ করেন, সড়ক পুরোপুরি নিস্তব্ধ। দক্ষিণ সুরমা থেকে কোনো গাড়ি আসছে না। মাঝেমধ্যে দু’একটি গাড়ি আসছে সেগুলো জরুরি পরিবহন এর অন্তর্ভুক্ত।
তবে দিনের বেলা কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে সিলেট নগরী ফাঁকা না থাকলেও সকল কিছুই বন্ধ ছিলো। অযাচিত মানুষের চলাচল কম দেখা গেছে। সকাল থেকে লকডাউন বাস্তবায়নে নগরীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়েছিলো পু’লিশ। সেই সাথে মাঠে ছিলো সে’নাবাহিনী, বিজিবি, রেব ও আনসারসহ সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আ’দালত।
সিলেট নগরীর জিন্দাবাজার, বন্দর, চৌহাট্টা, আম্বরখানার, সুবিদবাজার, ম’দিনামা’র্কেট, মেডিকেল রোড, রিকাবীবাজার, লামাবাজার, শেখঘাট, টিলাগড়, শি’বগঞ্জ, কুমা’রপাড়া, নয়াসড়ক ও ঈদগাহসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে মানুষের উপস্থিতি কম দেখা গেছে। তবে মাঝেমধ্যে চলাচল করেছে অটোরিকশা, মাইক্রোবাস কিংবা মোটরসাইকেল। এ ক্ষেত্রে পু’লিশের জেরার মুখে পড়তে হয়েছে।
এর আগে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে সিলেট নগরীর পয়েন্টে পয়েন্টে পু’লিশ মোতায়েন থাকবে বলে জানান মেট্রোপলিটন পু’লিশ কমিশনার মো. নিশারুল আরিফ। এছাড়া বিনা কারণে কেউ বাসার বাইরে বের হলে নেয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা এবং যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারলে গ্রে’প্তার করা হবে বলে জানান তিনি।