cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (৩০ জুন সকাল আটটা থেকে ১ জুলাই সকাল আটটা পর্যন্ত) করো’নায় আ’ক্রান্ত হয়ে ১৪৩ জন মা’রা গেছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। চারদিনের ব্যবধানে দেশে করো’না মহামা’রিকালে একদিনে সর্বোচ্চ এই মৃ’ত্যু দেখলো বাংলাদেশ। এর আগে গত ২৭ জুন সর্বোচ্চ ১১৯ জনের মৃ’ত্যুর কথা জানিয়েছিল অধিদফতর। তবে গত টানা পাঁচদিন ধরেই করো’নাতে একশোর উপরে মানুষ মা’রা যাচ্ছেন। এর আগে ৩০ জুন ১১৫ জন, ২৯ জুন ১১২ জন, আর ২৮ জুন মা’রা যায় ১০৪ জন।
গত বছরের ৮ মা’র্চে প্রথম তিনজন করো’না আ’ক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার ঠিক ১০ দিন পর করো’নায় আ’ক্রান্ত হয়ে প্রথম রোগী মৃ’ত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর। সে থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪৩ জনকে নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত সরকারি হিসাবে করো’নায় মা’রা গেলেন ১৪ হাজার ৬৪৬ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর করো’না মহামা’রিতে মৃ’ত্যুর হিসাব জানাতে গিয়ে বলছে, করো’নায় আ’ক্রান্ত হয়ে গত বছরের মা’র্চে পাঁচ জন, এপ্রিলে ১৬৩ জন, মে মাসে ৪৮২ জন, জুনে এক হাজার ১৯৭ জন, জুলাইতে এক হাজার ২৬৪ জন, অগাস্টে এক হাজার ১৭০ জন, সেপ্টেম্বরে ৯৭০ জন, অক্টোবরে ৬৭২ জন, নভেম্বরে ৭২১ জন, ডিসেম্বরে ৯১৫ জন, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৫৬৮ জন, ফেব্রুয়ারি মাসে ২৮১ জন, মা’র্চে ৬৩৮ জন, এপ্রিলে ২ হাজার ৪০৪ জন, মে’তে ১ হাজার ১৬৯ জন এবং জুনে মা’রা গেছেন ১ হাজার ৮৮৪ জন। মোট ১৪ হাজার ৬৪৬ জনের মধ্যে প্রায় অর্ধেকেই চলতি বছরের ছয় মাসে মা’রা গেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরে তথ্যানুযায়ী, মৃ’ত্যু সংখ্যা ১৩ হাজার থেকে ১৪ হাজারে আসতে অর্থাৎ সর্বশেষ এক হাজার মৃ’ত্যু হতে সময় লেগেছে মাত্র ১৫ দিন। আন্তর্জাতিক জ’রিপ প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ডোমিটারস জানায়, করো’নায় মৃ’ত্যুর দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৮তম।
এদিকে, সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, কোভিড-১৯ রোগের তীব্রতা আরও বেড়েছে। যে কারণে রোগীর মৃ’ত্যুও হচ্ছে দ্রুত। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি বলছে, গত বছরের চেয়ে এবার আ’ক্রান্ত এবং মৃ’ত্যুর হারও বেড়েছে অনেক বেশি তীব্রতা নিয়ে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামনে করো’নায় আ’ক্রান্ত হয়ে মৃ’ত্যু আরও বাড়বে। কারণ করো’নার সুপ্তিকাল (ইনকিউবিশন পিরিয়ড) অর্থাৎ লক্ষণ ও উপসর্গ প্রকাশ পেতে সাধারণত ১৪ দিন বা দুই সপ্তাহ এবং মৃ’ত্যুর সময় সাধারণত আ’ক্রান্ত হওয়ার তিন সপ্তাহ ধ’রা হয়, যদিও মৃ’ত্যু আরও আগে হতে পারে। সে হিসেবে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত তিন সপ্তাহ ধরে রোগী শনাক্তের যে ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে, তাতে করে সামনে মৃ’ত্যু আরও বাড়বে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের গঠিত পাবলিক হেলথ অ্যাডভাইজারি কমিটির সদস্য অধ্যাপক আবু জামিল ফয়সাল বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় মা’রা যাওয়া ১৪৩ জন করো’নায় আ’ক্রান্ত হয়ে জটিল অবস্থাতে গিয়েছেন গত ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে। আবার অনেকেরই জটিলতা তৈরি হয়েছে ৫ দিনে, কারও ১০ দিনে, কারও ১২ দিনে। গত তিন সপ্তাহের মধ্যেই এসব রোগীদের অবস্থা জটিল হয়েছে। সে হিসেবে গত কয়েকদিন ধরে প্রতিদিন শনাক্ত হওয়া আট হাজার মানুষের হিসাব ধরে আগামী দিনগুলোতে মৃ’ত্যু অবশ্যই বাড়বে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, করো’নাভাই’রাসের সুপ্তিকাল ১৪ দিনের মধ্যে লক্ষ্মণ উপসর্গ প্রকাশ পায়। আর লক্ষ্মণ উপসর্গ প্রকাশ পাওয়া থেকে শুরু করে ১৫ দিনের পর থেকে রোগীদের অবস্থা জটিল হয়ে শেষে মৃ’ত্যু হয়। সে হিসেবে গত তিন সপ্তাহ থেকে রোগী শনাক্ত ধরে করো’নায় আ’ক্রান্ত রোগীর মৃ’ত্যু আরও বাড়বে।
যারা আ’ক্রান্ত হয় তাদের মধ্যে এক দশমিক ৫ থেকে দুই শতাংশের মৃ’ত্যু হয় জানিয়ে তিনি বলেন, তাহলে গত কয়েক সপ্তাহের প্রতিদিনের শনাক্তের ভেতর থেকেই মৃ’ত্যু সংখ্যা অনেক বেড়ে যাবে এবং এটা অবধারিত। আমাদের মৃ’ত্যু আগেরবারের চেয়ে আনুপাতিক হারে বেশি হবে এবং সেজন্যই আজকের ( ১ জুলাই) রেকর্ড শেষ রেকর্ড নয়, আমাদের হয়তো আরও বেশকিছু দিন অধিকহারে মৃ’ত্যু দেখতে হতে পারে।
রোগী শনাক্ত যত বাড়বে, মৃ’ত্যু ততই বাড়বে বলে উল্লেখ করে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ( আইইডিসিআর) এর উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, রোগী ম্যানেজমেন্ট খুব জরুরি হয়ে পরেছে। সঠিকভাবে রোগী ম্যানেজমেন্ট না করতে পারলে মৃ’ত্যু বাড়বে। এখন সবচেয়ে জরুরি হলো মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা।
গত কয়েকদিনের রোগী শনাক্তের হার ধরে মৃ’ত্যুর হার সামনে আরও বাড়বে বলে মন্তব্য করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান।
বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, আজ যে মৃ’ত্যু দেখা যাচ্ছে সেটা গত ২৪ ঘণ্টার নয়, এটা গত কয়েকদিনের গড় হিসাব। কেউ আ’ক্রান্ত হবার ১০ দিনের মা’থায়, ১১ দিনের, ১২ দিনের বা কেউ ১৫ দিনের মা’থায় মা’রা যান। সে হিসেবে গত কয়েকদিন ধরে যে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি তাতে করে আজ থেকে দেড়-দুই সপ্তাহ পরে মৃ’ত্যু আরও বাড়বে।