সর্বশেষ আপডেট : ১১ ঘন্টা আগে
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

নারীর লোভ দেখিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই চক্র

অনলাইন ভিত্তিক অ্যাপ ব্যবহার করে নারীদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ আড্ডার লোভ দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র। গ্রেফতারের পর সিআইডির কাছে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে ওই চক্রের সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (১০ জুন) দুপুরে মালিবাগের সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন সিআইডির সাইবার ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. কামরুল আহসান।

বুধবার (৯ জুন) এই চক্রের দুই সদস্যকে সিলেট থেকে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নিধু রাম দাস, (২৭) ও ফরিদ উদ্দিন (৪০)।

তিনি বলেন, চক্রটি দেশের যুব সমাজ ও প্রবাসীদের টার্গেট করে এই ব্যবসায় নামে। ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে দেশ থেকে অ্যাপটিতে যুক্ত হতেন ব্যবহারকারীরা। এ অ্যাপে দুই ধরনের আইডি রয়েছে। ব্যবহারকারীর ও হোস্ট আইডি। হোস্ট আইডি ব্যবহার করে চক্রটি এ ধরনের অপরাধজনক কার্যক্রম পরিচালনা করত। সেখানে তরুণীদের হোস্টিং করিয়ে বিভিন্ন উপায়ে অর্থ উপার্জন করা হতো।

তিনি আরও বলেন, প্রথমে লাইভ স্ট্রিমিংয়ে তরুণীদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ আড্ডা দেওয়ার প্রলোভনে অ্যাপে ঢোকেন সাধারণ ব্যবহারকারীরা। সেজন্য বিন্স নামে ভার্চুয়াল মুদ্রা কিনতে হয় তাদের। সেই মুদ্রা উপহার হিসেবে দিয়ে আড্ডায় যুক্ত হন ব্যবহারকারীরা। অনলাইনে এ কার্যক্রম পরিচালনায় বিন্স ও জেমস নামের দুটি ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবহার করে এই লাইভ ভিডিও ও চ্যাট অ্যাপে তরুণীদের সঙ্গে আড্ডা দিতে হতো।

এক লাখ বিন্স এক হাজার ২০ টাকায় এবং এক লাখ জেমস ৬০০ টাকায় কিনতে হতো ব্যবহারকারীদের। চক্রটি ব্যবহারকারীদের কাছে অনলাইন এই মুদ্রা বিক্রি করত। মুদ্রা কেনার টাকা চক্রটির সদস্যরা বিভিন্ন কোম্পানির মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে নিতেন। পরে তারা মুদ্রা কেনার টাকার একটি অংশ অ্যাপের বিদেশি অ্যাডমিনদের কাছে পাঠাতো।

যেহেতু অ্যাপটি বিদেশি সেহেতু অ্যাপটি পরিচালনা করত বিদেশি অ্যাডমিনরা। আর গ্রেফতারকৃতরা বাংলাদেশি এজেন্ট হিসেবে কাজ করত। লক্ষাধিক বাংলাদেশি ব্যবহারকারী অনলাইন ব্যাংকিং, হুন্ডি, নেটেলার, স্ক্রিল ও বিদেশি একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ডিজিটাল মুদ্রা কিনছে। এর মাধ্যমে প্রতি মাসে দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। স্ট্রিমকার পরিচালনায় জড়িত প্রত্যেকের একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও বিকাশ অ্যাকাউন্ট রয়েছে।

কামরুল আহসান বলেন, গ্রেফতার নিধু রাম দাসের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও বিকাশ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে গত এক বছরে ১০ কোটিরও বেশি টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। অন্যজন ফরিদ উদ্দিনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও বিকাশ অ্যাকাউন্টে প্রায় ৩ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের সঙ্গে দেশীয় এজেন্ট হিসেবে আরও অনেকে জড়িত আছেন।

তিনি বলেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে সব এজেন্টদের মিলিয়ে তাদের বিকাশ ও মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে ৩০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: