সর্বশেষ আপডেট : ৫ মিনিট ২৪ সেকেন্ড আগে
মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

ক্রা’ইম পেট্রোল দেখে খু’ন আর আ’দালত দেখে শেখেন লা’শ সংরক্ষণের উপায়

লন্ডনের খু’নী জন জর্জ হাই, ইকুয়েডরের পেদ্রো লোপেজ কিংবা সারা পৃথিবীতে শি’শু হ’ত্যার জন্য কলম্বিয়ার আ’লোচিত খু’নী লুইস গারাভিতো। এদের কোনোজনের সঙ্গেই কোনো স’ম্পর্ক নেই বগুড়ার খু’নী মনজু মিয়ার (৩৪)। কিন্তু তাদের কাজের ধারা অনুসরণ করতেন তিনি। পৃথিবী কাঁপানো এই খু’নীদের মতোই মাসের পর মাস ধরে খু’নের পরিকল্পনা করা, প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সংগ্রহ করা এবং টার্গেট’কে নজরদারি রাখার বিষয়টি রপ্ত করেছেন অজপাড়াগাঁয়ের এই কিলার।

তার প্রথম মিশনে ৬ বছরের শি’শু হানজালাকে অ’পরহণের পর নি’র্মম হ’ত্যা শেষে লা’শটি গু’ম করতে বিশেষ প্রক্রিয়ার সাহায্য নেন তিনি। পরে মুক্তিপণ না পেয়ে তারই দেয়া তথ্য অনুসারে পু’লিশ ১ মাস ৮ দিন পর বাড়ির পাশের একটি ডোবা থেকে মমি আকৃতিতে সংরক্ষণ করে রাখা শি’শুটির লা’শ উ’দ্ধার করে।

তথ্য প্রযু’ক্তিতে পারদর্শী এসএসসি পাস এই খু’নীকে গ্রে’প্তার করতে পু’লিশের সময় লাগে প্রায় সাড়ে ৩ মাস। গত ২১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় গাবতলী উপজে’লার নিশুপাড়া গ্রামের একটি ডোবা থেকে স্কচ টেপ পেঁচিয়ে-পলিথিনে মুড়িয়ে ইট বেঁধে ডুবিয়ে রাখা অবস্থায় হানজালার লা’শ উ’দ্ধার করে পু’লিশ।
এরআগে ১৩ ডিসেম্বর বিকেল ৩টার দিকে শি’শু হানজালা বাড়ির পাশে খেলতে গিয়ে নি’খোঁজ হয়। ওইদিনই গাবতলী থা’নায় জিডি করা হয়।

হানজালা গাবতলী উপজে’লার রামেশ্বরপুর ইউনিয়নের নিশুপাড়া গ্রামের পিন্টু প্রামানিকের ছে’লে। অ’পহ’রণের পর শি’শুর মা তাসলিমা বেগমের ফোনে মুক্তিপণ হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করা হয়। কিন্তু শি’শুর ছবি দেখাতে না পারা এবং তার সাথে কথা বলতে না পারার কারণে শেষ পর্যন্ত দাবি’কৃত টাকা দেয়নি হানজালার পরিবার। এরপর ঘটনার ৩৮ দিন পর নিজ বাড়ির অদূরে একটি ডোবায় পায়ে ইটবাঁ’ধা ডুবন্ত লা’শটি উ’দ্ধার হয়।

পু’লিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা বলেন, মা’দক সেবনের টাকা সংগ্রহ এবং ঋণের টাকা পরিশোধের জন্য মনজু ঘটনার ২০ দিন আগে অ’পহ’রণের পরিকল্পনা করে। প্রতিবেশী মনজুকে মামা বলতে ডাকত শি’শু হানজালা। সেই সূত্রে প্রায়ই হানজালা তাদের বাড়ির পাশে অবস্থিত মনজুর ওষুধের দোকানে যেত।

গত ১৩ ডিসেম্বর বিকেলে মনজু নিশুপাড়ায় তার ওষুধের দোকানে বসে ইয়াবা সেবন করছিল। এসময় হানজালা তার দোকানে যায়। এরপরই পূর্বপরিকল্পনা মতো সে হানজালার মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে বেঁধে ফেলে। পরে তাকে শ্বা’সরোধ করে হ’ত্যা করে।

মৃ’ত শি’শুটির নরম দেহের পুরোটাই স্কচটেপ দিয়ে পেঁচিয়ে পিরামিড আকৃতি দেয়। পচন রোধে বাতাস চলাচল সম্পৃর্ণভাবে সিল করে। এরপর দোকানের একটি কাভা’র্ডের ভেতরে লা’শটি রেখে দেয়। ঘটনার ১২ ঘণ্টা পর গভীর রাতে মমি আকৃতির লা’শটি একটি বস্তায় ভরে পায়ের সাথে ৩টি ইট বেঁধে বাড়ির পাশের একটি বদ্ধ ডোবার পানিতে ফেলে রাখা হয়।

অনুসন্ধানকালে খু’নী মনজু স’ম্পর্কে মিলেছে চ’মকপ্রদ তথ্য। জে’লার গাবতলী উপজে’লার নিশুপাড়া গ্রামের কৃষক পরিবারের সন্তান মনজু পরিবারের ছোট ছে’লে। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্থানীয় গাবতলী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করার পর আর পড়ালেখা করেননি। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে শ্রমিক ভিসায় ওমান যান।

সেখানে সাড়ে ৪ বছর ধরে অবস্থানকালে তিনি মোবাইলে ক্রা’ইম সিরিজগুলো দেখার অভ্যাস করেন। একই সাথে রপ্ত করেন ভ’য়েস চেঞ্জার অ্যাপ ব্যবহার করে কিভাবে বি’কৃত পুরুষ কিংবা নারী কণ্ঠে কথা বলা যায়।

ভ’য়েস চেঞ্জার অ্যাপস ব্যবহার ও ইউটিউবে ক্রা’ইম সিরিজগুলো দেখা প্রসঙ্গে বগুড়ার অ’তিরিক্ত পু’লিশ সুপার (প্রশাসন) আলী হায়দার চেীধুরী বলেন, তার ব্যবহৃত ডিভাইজ মা’মলার স্বার্থে জ’ব্দ করা হয়েছে। সেখানে বেশ কিছু ক্লু পাওয়া গেছে। তাদের এই অ’ভিযানে ডিবির ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক, পরিদর্শক ইম’রান মাহমুদ তুহিনসহ ডিবির চৌকশ একটি দল সার্বক্ষণিক কাজ করেছে।

পু’লিশ জানিয়েছে, খু’নী মনজুর কাছে থেকে যে দুইটি মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে, তার একটিতে সে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে অন্য একটি মোবাইলে ম্যাজিক ভ’য়েস অ্যাপ ইনস্টল করেছিল। যে মোবাইলে ম্যাজিক অ্যাপ ইনস্টল করা আছে সেটি সিমফনি সিরিজের একটি কম’দামি বাটন ফোন। আর ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিভিন্ন বিষয় জানতে যে ফোন ব্যবহার করেছে হাওয়াই কোম্পানীর ওয়াই-৫ প্রাইম মডেলের একটি ফোন। এই ফোনটির মাধ্যমেই সে বিভিন্ন ক্রা’ইম সিরিজ দেখার পাশাপাশি অ’প’রাধ জগৎ বিচরণ করত।

মনজুর প্রিয় ছিলো জনপ্রিয় ভা’রতীয় সিরিজ আ’দালত। এই সিরিজের নায়ক আইনজীবী কেডি পাঠক একজন সাহসী, বুদ্ধিমান এবং অধ্যবসায়ী। সত্যের সন্ধানে নিজেকে উজাড় করে দিতে পিছপা হন না। জীবনের ঝুঁ’কি নিয়ে উদঘাটন করে চলেন একের পর এক লুকায়িত সত্য।

কিন্তু মজনু ভেবে নিয়েছিল সে এই ঘটনায় কোনো প্রতিবন্ধকতার শিকার হবে না। যার কারণে আ’দালত সিরিজের বাংলা এপিসোড মিশরীয় মমি নামক সিরিজ দেখে সে লা’শ সংরক্ষণ করার উপাই জানতে পারে। তার জানা ছিলো মানুষ মা’রা যাওয়ার পর থেকেই তার শরীর দ্রুত পচতে শুরু করে যাকে বলা হয় ‘ডিকম্পোজিশন’। প্রথমে শরীরে থাকা এনজাইম কোষগুলো অবমুক্ত হতে শুরু করে এবং এক পর্যায়ে গোটা শরীরে থাকা ব্যাকটেরিয়া এবং মাইক্রোঅর্গানিজমগুলো পচতে শুরু করে। শরীরে থাকা পানি এবং চর্বি সরিয়ে তার জায়গায় পলিমা’র থাকলে এই পচে যাওয়া রোধ হয়।

প্লাস্টিনেশন শরীরের ব্যাকটেরিয়াগুলোকে টিকে থাকতে দেয় না, ফলে শরীরও আর পচতে পারে না। আর পঁচলেও সেটি দীর্ঘ সময় নেয় এবং গন্ধ ছড়ায় না বললেই চলে।

প্লাস্টিনেশনের মাধ্যমে শরীরকে দুইভাবে সংরক্ষণ করা হয়। একটা হলো কাগজের মতো পাতলা করে মৃ’ত শরীরটিকে কে’টে কে’টে রাখা। নয়তো পুরো আস্ত শরীরটাকেই বিভিন্ন ভঙ্গিতে সিল করার মতো বেঁধে রেখে দেওয়া।

বাতাসের সংস্প’র্শে না আসার ফলে শরীরের কোষগুলোর ‘ডিকম্পোজিশন’ বা দ্রুত পচন প্রক্রিয়া থেমে যায়। এরপর গোটা শরীরটাকে মোটামুটি ঠান্ডা তাপমাত্রায় চুবিয়ে রাখা হয়। সাধারণরত এই প্রক্রিয়ায় একটি লা’শ ২ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত গন্ধহীন উপায়ে প্রায় অবি’কৃত রাখা সম্ভব।

মনজুর জানা ছিলো বিশেষ প্রক্রিয়ায় মৃ’তদেহ কখনোই পঁচে না বা প্রাকৃতিকভাবে ধ্বংস হয় না। কারণ বিভিন্ন কেমিক্যাল আর ওষুধ দিয়ে কাপড় বা ব্যান্ডেজ পেঁচিয়ে মৃ’তদেহটিকে পঁচন থেকে রক্ষা করা যায়। এতে গন্ধও ছড়াবে না।

মনজু পু’লিশকে জানিয়েছে সে ‘আ’দালত’ সিরিজ দেখে মূলত লা’শ সংরক্ষণের উপায় জেনেছে। আর ‘ক্রা’ইম পেট্রোল’র ৬৬৫ নম্বর এপিসোড দেখে শিখেছে কী’ভাবে একই পরিবারের সাথে মিশে গিয়ে বাড়ির শি’শু সন্তানকে অ’পহ’রণ করা যায়। কোন উপায়ে লা’শ গু’ম করে অ’পহৃত শি’শুর পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করা যায় এবং মুক্তিপণ না পেলে ধ’রা পড়ে যাওয়ার ভ’য়ে তাকে মে’রে লা’শ গু’ম করতে হয়।

ক্রা’ইম পেট্রোলের ওই পর্বে শি’শু সম’রের চাচাতো ভাই ভীরু ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবিতে ভাইকে অ’পহ’রণের পর হ’ত্যা করে। আর বগুড়ার খু’নী মনজু ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবিতে তার প্রতিবেশী ভাগ্নে হানজালাকে অ’পহ’রণের পর হ’ত্যা করে।

পু’লিশি জিজ্ঞাসাবাদে মনজু আরও জানায়, আ’দালত দেখেই সে শিখেছে সেলফ হেল্প ইজ দ্যা বেস্ট হেল্প। কেডি পাঠকের এই সূত্র সে নিজের বেলাতেও কাজে লাগিয়েছে। সেই কারণে ১৩ ডিসেম্বর বিকেলে শি’শু হানজালাকে খু’ন করার পরও সে ওই পরিবারের পাশে থেকেছে। এলাকায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে যোগ দিয়েছে। এমনকি একাধিকবার শি’শুটির বাড়িতে গিয়ে বাবা-মাকে সান্ত্বনা দিয়ে তাদের তৎপরতা স’ম্পর্কে জানার চেষ্টা করেছে।

মনজু অন্তত্য ধুর্ত এবং চতুর ঠান্ডা মা’থার খু’নি। সে খু’ন করে লা’শ গু’ম করার ৬ দিন পর হানজালার পরিবারের কাছে মুক্তিপণ চেয়ে যোগাযোগ করে। এরআগে সে বগুড়া শহরে এসে সিম কেনার জন্য গরিব অসহায় মানুষদের খোঁজ করতে শুরু করে। প্রথমে তার টার্গেটে পড়ে যায় পৌর পার্কে অবস্থানরত পঙ্গু ফকির আনন্দ চন্দ্র দাস। তাকে প্রতিব’ন্ধী ভাতা পাইয়ে দেয়ার প্রলো’ভন দিয়ে শহরের সাতমা’থা এলাকা থেকে একটি গ্রামীণ সিম সংগ্রহ করে। এরপর কৌশলে তার কাছ থেকে সট’কে গিয়ে সিমফনি সিরিজের একটি ফোন কিনে নেয়। এই ফোন দিয়ে ঘটনার ৬ দিন পর অ’পহৃত হানজালার মা তাসলিমা বেগমকে ফোন দেয়।

ম্যাজিক ভ’য়েসে গলার স্বর পাল্টিয়ে সে নিজেকে অ’পহ’রণকারী সদস্য বলে পরিচয় দেয় এবং শি’শু ফেরত নিতে হলে ৫ লাখ টাকা নিয়ে সিরাজগঞ্জের সোনামুখি বাজারে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। এরপর থেকে দফায় দফায় ওই পরিবারের একাধিক সদস্যের সাথে কথা বললেও এক সিম নম্বর কিংবা লোকেশন ব্যবহার করা হয়নি। ভিন্ন ভিন্ন নম্বর থেকে ফোন দিয়ে টাকা দাবি করলে হানজালার মায়ের স’ন্দেহ হয় এবং সে তার ছে’লের ছবি কিংবা ভিডিও দেখতে চায়।

এটি দেখাতে ব্যর্থ হলে তারা ভু’য়া কলদাতা ভেবে টাকা প্রদান করা থেকে বিরত থাকে। একই সাথে পু’লিশও মা’মলা’টি শনাক্ত করতে রাতদিন কাজ করতে থাকে। কিন্তু পেশাদার খু’নিদের মতোই চতুর মনজুর নাগাল পেতে তাদের সময় লেগে যায় প্রায় সাড়ে ৩ মাস।

এরআগে মোবাইলে মনজুর দেয়া তথ্যমতো অ’পহ’রণের ৩৮ দিন পর বাড়ির পাশের ডোবা থেকে শি’শুটির লা’শ উ’দ্ধার করা হয়। পায়ে ইট বাঁ’ধা লা’শটির শরীর একটি বিশেষ ভঙ্গিমায় বাঁকানো ছিলো। আশপাশের এলাকায় কোনো পচা গন্ধ না ছড়ালেও স্কচটেপে প্যাঁচানো লা’শটি খোলার পর চেহারা ও শরীর বি’কৃত অবস্থায় দেখা গেছে।

মনজুকে শনাক্ত করতে বগুড়া পু’লিশের বিশেষ টিমটি সাড়ে ৩ মাসে ৩৫০০ সিমের উপর নজরদারি করেছে। শেষে মোট ৫টি নম্বর তারা শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। খু’নি মনজু বিভিন্ন এলাকার অসহায় দরিদ্র মানুষকে অর্থের লো’ভ দেখিয়ে তাদের এনআইডি ব্যবহার করে সিমগুলো সংগ্রহ করেছিল।

ভিন্ন ভিন্ন নম্বর থেকে সে শি’শু হানজালার পরিবারের সাথে কথা বলত, একেকবার একেক এলাকায় গিয়ে। পু’লিশ অ’ভিযান চালিয়ে এসব সিমের মালিকের সন্ধান পেলেও তাদের সাথে প্রতারনার বিষয়টি জেনে নতুন উপাই খুঁজত।

এরই মাঝে একটি ভুল করে বসে খু’নি মনজু। সে নতুন একটি সিম দিয়ে ভ’য় দেখাতে ফোন করে রামেশ্বরপুর ইউনিয়ন পরিষদের একজন সদস্যকে। এই সময় সে একই মোবাইল সেট ব্যবহার করে। যার আইডেনটিফিকেশন নম্বর আগের নম্বরগুলোর সাথে মিলে যায়।

পরে পু’লিশ ওই সিম সংগ্রহকারী অ’তুল চন্দ্র দাসকে খুঁজে বের করে ওই দোকানে যায়। সেখানে সিসি ক্যামেরায় মুখে মাস্ক পরা অবস্থায় চতুর খু’নি মনজুর দেখা মেলে। এরপর শুক্রবার সন্ধ্যায় বগুড়ার গাবতলী উপজে’লার নিশুপাড়া গ্রাম থেকে মনজু মিয়াকে গ্রে’প্তার করে ডিবি পু’লিশ। মনজু ওই গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছে’লে।

পু’লিশ আরও সুপার জানান, অ’পহৃত শি’শুর বাবা মালয়েশিয়ায় চাকরি করতেন। তিনি সন্তান অ’পহ’রণের খবর পেয়ে এক সপ্তাহ পর দেশে ফিরে আসেন। তাদের পরিবারটি মোটামুটি অবস্থাসম্পন্ন। এ কারণেই প্রতিবেশী খু’নি মনজু এই পরিবারের শি’শু সন্তানকে টার্গেট করে পরিকল্পনা করে। সে লা’শ গু’ম করার পরও ডোবার ধারে গিয়ে নিয়মিত লা’শটি পর্যবেক্ষণ করত যে তার সূত্র কাজ করছে কি না। অর্থাৎ কোনো গন্ধ ছড়ানো কিংবা পানিতে বুদবুদ উঠছে কিনা। এই কাজগুলো দুর্বল হৃদয়ের মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। এ কারণে বোঝাই যায় সে পেশাদার খু’নির চাইতে কোনো অংশেই কম নয় বলে দাবি করেন পু’লিশ সুপার।

আলী আশরাফ ভূঞা দাবি করেন, পু’লিশ অনেক আগেই খু’নিকে শনাক্ত করতে পারত। কিন্তু প্রথম দিকে শি’শু হানজালার পরিবার তাদের সহযোগিতা করেনি। এই পরিবারটি প্রাচীন ধারণায় বিশ্বা’সী। এলাকার কিছু কবিরাজ ফকিরের তথ্য মতো তারা ভেবে নিয়েছিল হানজালাকে পরী ধরে নিয়ে গেছে। হয়ত একদিন তাকে ফেরত দিয়ে যাবে। এসব কারণে মা’মলা’টি শনাক্ত করতে সময় লেগেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

 

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম
নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
মোবাইল: ০১৭১২ ৮৮৬ ৫০৩
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: