![]()

cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla

ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করার প্রতিবাদে আয়োজিত ‘সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশ’-এ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নিলেও বিএনপি সেখানে উপস্থিত ছিল না। তবে আয়োজকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিএনপি সমাবেশে সংহতি জানিয়েছে বলে জানানো হয়।
ওসমান হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলির প্রতিবাদে ডাকা এ সমাবেশ গতকাল সোমবার বেলা তিনটা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত হয়। ইনকিলাব মঞ্চ এ সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, এবি পার্টি, গণ অধিকার পরিষদ, খেলাফত মজলিসসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বক্তব্য দেন। সমাবেশের শেষ দিকে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের বলেন, বিএনপি এ সমাবেশে সংহতি জানিয়েছে। তিনি সমাবেশের সঞ্চালক ছিলেন।
গত শুক্রবার রাজধানীর বিজয়নগরে গুলিবিদ্ধ হন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি। এর পরদিন শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে ইনকিলাব মঞ্চের উদ্যোগে সর্বদলীয় প্রতিবাদ সভা করার সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গতকাল এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, হাদির ওপর আক্রমণ এই দেশকে গ্রাস করার পরিকল্পনার অংশ এবং এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। তিনি বলেন, যারা হামলাকারীদের ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে, তারা বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে দেবে না। বাংলাদেশকে ভারতীয় আধিপত্যবাদের করদরাজ্য বানানোর চেষ্টা কখনো সফল হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
হাদির ওপর হামলাকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীনের দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানান এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ওসমান হাদির গায়ে গুলি লাগার মাধ্যমে জুলাই বিপ্লব ও বাংলাদেশ আক্রান্ত হয়েছে। এটিকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলার পর সিইসির দায়িত্বে থাকার নৈতিক অধিকার থাকে না। তিনি আজ মঙ্গলবার বিজয় দিবসে ঢাকায় ‘প্রতিরোধ যাত্রা’ করার ঘোষণাও দেন।
সমাবেশে বক্তব্য দেন সাবেক তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি বলেন, ‘খুবই সংকটময় পরিস্থিতি সামনে। আমাদের গায়ে হাত দেওয়া যাবে না। একটা লাশ পড়লে আমরা কিন্তু লাশ নেব। অত সুশীলতা করে লাভ নেই।’ তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের পর মুজিববাদী ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান না নেওয়ায় তারা আবার সাহস পাচ্ছে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। তিনি ভারত সরকারের উদ্দেশে বলেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের পাশাপাশি হাদির আততায়ীরা যদি ভারতে আশ্রয় নিয়ে থাকে, তবে ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে তাঁদের প্রত্যর্পণ করতে হবে। অন্যথায় বাংলাদেশে থাকা ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ও নাগরিকদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলন শুরু হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। একই সঙ্গে ১৬ ডিসেম্বর থেকে দেশের সব ওয়ার্ডে ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষার গণকমিটি’ গঠনের আহ্বান জানান।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন রাওয়া ক্লাবের সভাপতি কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ আবদুল হক, খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির আহমদ আলী কাসেমী, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান, এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা।