cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
খলিলুর রহমান, বড়লেখা প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় বরিশালের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলে নানা কৌশলে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও বাকিতে মালামাল ক্রয় করে প্রায় ৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বিয়ানীবাজারের এক তালাকপ্রাপ্ত নারী। পরে ধার করা টাকা ও স্বর্ণালংকার ফেরত চাইলে ওই নারী তার বাবা ও ভাইকে নিয়ে উল্টো ওই ব্যবসায়ীর কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এতে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মাহমুদ হোসেন মামুন ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
অবশেষে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ব্যবসায়ীর স্ত্রী সুরাইয়া রহমান তমা বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে (সিআর-৫০৫/২৫) মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য মৌলভীবাজার সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সুরাইয়া রহমান তমা বড়লেখা উপজেলার গ্রামতলা গ্রামের সহির উদ্দিনের মেয়ে। প্রায় ১০ বছর আগে তার বিয়ে হয় বরিশালের বাসিন্দা মাহমুদ হোসেন মামুনের সঙ্গে। মামুন দীর্ঘদিন ধরে বড়লেখার শাহবাজপুর বাজারে ‘রসমেলা’ নামের একটি মিষ্টির দোকান পরিচালনা করছেন।
দুই মাস আগে বিয়ানীবাজার উপজেলার জলঢুপ কমলাবাড়ি এলাকার সাহাবুল ইসলামের মেয়ে হুছনা আক্তার সেলিনা দোকান থেকে মালামাল ক্রয় করতে শুরু করেন। এভাবে নিয়মিত আসা-যাওয়ার সুবাদে সেলিনা মামুন ও তার স্ত্রীর সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ওই সম্পর্কের সুযোগে তিনি বিভিন্ন সময়ে বাকিতে পণ্য নেন এবং নানা অজুহাতে টাকা ধার করতে থাকেন। শুরুতে কিছু টাকা ফেরত দিয়ে আস্থা অর্জন করেন সেলিনা। পরে স্বামীর চিকিৎসার খরচ দেখিয়ে ২ লাখ টাকা ধার নেন এবং জায়গা বিক্রি করে টাকা হাতে পেলেই ফেরত দেবেন বলে আশ্বাস দেন।
এছাড়া আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বাদীর মেয়ের এক ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন নেন। এভাবে বিভিন্ন সময়ে দোকানের পণ্য, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার মিলিয়ে মোট প্রায় ৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন।
ধার করা টাকা ও স্বর্ণ ফেরত চাইলে সেলিনা ব্যবসায়ী মামুনকে অনৈতিক প্রস্তাব দেন। মামুন এতে রাজি না হওয়ায় সেলিনা হুমকি দেন তার সংসার ভেঙে দেওয়ার। এর পরপরই তার ভাই কাওছার আহমদ ও বাবা সাহাবুল ইসলাম কয়েকজনকে নিয়ে দোকান থেকে জোরপূর্বক ৭০ হাজার টাকার পণ্য ও ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যান। গত ৫ সেপ্টেম্বর রাতে দোকানে গিয়ে প্রকাশ্যে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তারা হুমকি দেন, মামুন এলাকায় বহিরাগত হওয়ায় ব্যবসা চালাতে হলে চাঁদা দিতে হবে, না হলে দোকান ভাঙচুরসহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটানো হবে।
বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী রিপন আহমদ জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।