সর্বশেষ আপডেট : ৭ ঘন্টা আগে
শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

উত্তরা ইপিজেডে সংঘর্ষে এক শ্রমিক নিহত, আহত ১০

ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::

নীলফামারীর উত্তরা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) কারখানা বন্ধ ও শ্রমিক ছাঁটাইয়ের জেরে শ্রমিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষে একজন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। ঘটনাটি ঘটে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ইপিজেডের সামনের সড়কে।

নিহত শ্রমিকের নাম হাবিবুর রহমান (২০)। তিনি ইকু ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি নিটিং কারখানায় কর্মরত ছিলেন। তাঁর বাড়ি নীলফামারী সদর উপজেলার সংগলশী ইউনিয়নের কাজীরহাট গ্রামে। বাবার নাম দুলাল উদ্দিন।

হাবিবুরের বড় ভাই আশিকুর রহমান বলেন, “হাবিবুরের নাইট ডিউটি ছিল। কাজ শেষে সকালে ইপিজেড থেকে বের হওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়।”

শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ইপিজেডের এভারগ্রিন নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে সম্প্রতি ৫১ জন শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়। এ নিয়ে সেখানে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। এ অবস্থায় শ্রমিকদের বেতন–ভাতা না দিয়ে আজ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য এভারগ্রিন কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এ বিষয়ে ইপিজেডের প্রধান ফটকে নোটিশ টানানো হয়।

আজ সকাল আটটায় কাজে যোগ দিতে গিয়ে এভারগ্রিন কারখানার শ্রমিকেরা ওই নোটিশ দেখতে পান। ভেতরে ঢুকতে না পেরে তাঁরা ইপিজেডের সামনের সড়কে অবস্থান নেন। এ অবস্থায় নীলফামারী–সৈয়দপুর সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন এবং তাঁদের সরিয়ে দিতে যান। তখন উত্তেজিত শ্রমিকেরা তাঁদের ওপর হামলা চালান। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। শ্রমিক হাবিবুর রহমান ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। আহত হন আরও ১০ জন। পরে হতাহত শ্রমিকদের নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফারহান তানভিরুল ইসলাম জানান, সকাল সাড়ে আটটার দিকে হাবিবুর রহমানকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। এ ছাড়া আহত ছয়জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়ার বিষয়ে ওই চিকিৎসক বলেন, ময়নাতদন্তের পর এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে বলা যাবে।

হাসপাতালে ভর্তি ছয়জন হলেন—মোমিনুর রহমান (২৫), মো. শাহিন (২৬), নুর আলম (৩০), মোস্তাক আহমেদ (২৫), লিপি আক্তার (২৬) ও জমিলা খাতুন (৩৫)।

এ বিষয়ে উত্তরা ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল জব্বারের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আর সাঈদ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গণমাধ্যমকে বলেন, “ৃআমরা এখনো সড়কে আছি। লোকমুখে একজন নিহতের খবর শুনেছি, তবে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত নই।”

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম
নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
মোবাইল: ০১৭১২ ৮৮৬ ৫০৩
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: