cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর বিশ্ববাজারে হঠাৎ করে বেড়ে গেছে জ্বালানি তেলের দাম। স্থানীয় সময় গত শনিবার সন্ধ্যায় হামলার পর, পরদিন রোববার (২২ জুন) রাতেই মার্কিন শেয়ারবাজারে তেলের ফিউচার দামে বড় ধরনের উত্থান লক্ষ্য করা গেছে।
সোমবার (২৩ জুন) রয়টার্স প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ৩ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে প্রতি ব্যারেল ৭৬ দশমিক ৪৭ ডলারে পৌঁছেছে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড হিসেবে ব্যবহৃত ব্রেন্ট তেলের দাম ৩ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪ দশমিক ৫৯ ডলারে।
তবে শেয়ারবাজারে চিত্র ছিল উল্টো। ডাও ফিউচারস সূচক ২৫০ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে। একইভাবে এসঅ্যান্ডপি ৫০০ ফিউচারস ও নাসডাক ফিউচারস সূচকও প্রায় শূন্য দশমিক ৬ থেকে ০.৭ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে।
এই অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে মার্কিন ডলারের মান বেড়েছে প্রায় শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ। অর্থনীতিবিদদের মতে, বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার সময় ডলারের মান সাধারণত বাড়ে। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির কারণে এই ধারা কতটা স্থায়ী হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান-ইসরায়েল সংঘাত এবং যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক পদক্ষেপের ফলে বিশ্ববাজারে নতুন করে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে জ্বালানি বাজার ও বিনিয়োগ খাতে।
এদিকে রোববার ইরানের পার্লামেন্ট বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক নৌপথ হরমুজ প্রণালি বন্ধের অনুমোদন দিয়েছে। এখন এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে দেশটির সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ।
মার্কিন জ্বালানি তথ্য প্রশাসনের তথ্যমতে, হরমুজ প্রণালির মাধ্যমে বিশ্ববাজারে সরবরাহ হয় মোট জ্বালানি তেল ও গ্যাসের প্রায় ২০ শতাংশ। প্রণালিটি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেলে বিশ্বব্যাপী সরবরাহব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে। এমনকি যেসব দেশ সরাসরি উপসাগরীয় অঞ্চল থেকে জ্বালানি আমদানি করে না, তারাও এর প্রভাব এড়াতে পারবে না।
উল্লেখ্য, ১৯৮০–৮৮ সালের ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময় উপসাগরীয় বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছিল দুই দেশই, যা ইতিহাসে ‘ট্যাঙ্কার যুদ্ধ’ নামে পরিচিত। তবে হরমুজ প্রণালি কখনোই পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। এই পথ ছাড়া উপসাগর থেকে কোনো জাহাজের সমুদ্রপথে যাত্রা করার আর কোনো উপায় নেই।