সর্বশেষ আপডেট : ১১ ঘন্টা আগে
শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

ইশরাকের মেয়র ইস্যুতে আইনের প্রয়োগ নিয়ে প্রশ্ন

ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::

২০২০ সালে ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচন ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। ভোট পড়ে ৩০ শতাংশেরও কম। পরে ভোট কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি।

তবে জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতার পট পরিবর্তনে বদলে গেছে দৃশ্য পট। ৫ বছর আগের মামলায় গেল ২৭ মার্চ আদালতের রায়ের পর গত ২৭ এপ্রিল বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।

কিন্তু গেজেট প্রকাশের ২০দিন পার হলেও ইশরাকের শপথের আয়োজন হয়নি, যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে আন্দোলনে নেমেছেন তার সমর্থকরা।

ইশরাক হোসেনের সমর্থকরা বলেন, ইশরাককে যদি দায়িত্ব দেয়া না হয়, আমরা নগর ভবনের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেব।

এদিকে আওয়ামী লীগ বাদে প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দল বিগত সময়ের সব নির্বাচনকে অবৈধ বলে অভিহিত করা ৫ বছর আগের প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনে ইশরাক হোসেনের মেয়রের দায়িত্ব নিতে চাওয়ার যৌক্তিকতা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। সেই অবৈধ নির্বাচনের মেয়রের দায়িত্ব নেয়া কতটা যৌক্তিক তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।

এ বিষয়ে ইশরাক হোসেন বলেন, অবৈধ নির্বাচনকে বৈধতা আদালত দিয়েছেন বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। সেটাকে মেনে নিতে হবে, সেটা যদি কেউ মানতে অস্বীকার করে, তাহলে ধরে নিতে হবে তারা আদালতকে অবমাননা করছে। তিনি বলেন, যখন আমরা অবৈধ বলেছি, তখন সেই ফলাফলকে অবৈধ বলেছি।

অন্যদিকে, মেয়রের শপথের ইস্যুকে কেন্দ্র করে চলমান আন্দোলনে অচল হয়ে পড়েছে ঢাকা দক্ষিণের নগর ভবন। তালা দেয়া হয়েছে প্রতিটি ফটকে। মেয়র হতে মরিয়া ইশরাক হোসেনের দাবি, এই আন্দোলন স্থানীয়দের অধিকার।

ইশরাক বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত দাবি মেনে নেয়া না হয়, এই আন্দোলনটি চলতে থাকবে। যারা আন্দোলন করছে, আমি কিভাবে তাদেরকে তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বাধা দিতে পারি।

এদিকে নির্বাচন আইনের বিধিমালা মতে মামলার আবেদনের ৬ মাসের মধ্যে এবং আপিল পরবর্তী ৪ মাসের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তি করার বিধান রয়েছে। নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে যতটুকু আইন আছে তারও সঠিক প্রয়োগ না থাকায় পুরো বিষয়টি জটিল হয়ে গেছে।

এ বিষয়ে নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. মো. আব্দুল আলীম বলেন, এটা আসলে আমাদের আইনি দুর্বলতা। পৃথিবীর অনেক দেশেই নির্বাচনের ৩ দিন থেকে সর্বোচ্চ ৩ মাসের মধ্যে এ ধরনের বিচার হয়। এবং ইশরাককে কেন শপথের জন্য ডাকা হয়নি তার কোনও ব্যাখ্যাও সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া হয়নি।

এ সময় মেয়র ঘোষণা করে ট্রাইব্যুনালের রায় স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে করা রিট শুনানির আগে কোন সিদ্ধান্তে আসা যাবেনা বলেও মন্তব্য করেন এই নির্বাচন বিশেষজ্ঞ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম
নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
মোবাইল: ০১৭১২ ৮৮৬ ৫০৩
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: