cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে বার্সেলোনার অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ফুটবলপ্রেমীরা উপভোগ করেছিলেন ছয় গোলের এক রোমাঞ্চকর দ্বৈরথ। ঘরের মাঠে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে দু’বার পিছিয়ে পড়েও লামিন ইয়ামালের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ৩-৩ গোলে সমতা ফেরায় কাতালান ক্লাবটি।
এখন সেই নাটকীয়তার দ্বিতীয় অঙ্ক মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে আজ রাতেই। মঞ্চ এবার সান সিরো। চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে ইতালির জায়ান্ট ইন্টার মিলানের মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা। এক পক্ষের জয় মানেই প্যারিসে অনুষ্ঠিতব্য ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত। অন্যদিকে হার মানেই মৌসুমজুড়ে গড়া পারফরম্যান্স বিফলে যাওয়া। তাই আজকের ম্যাচ কেবল আরেকটি ফুটবল ম্যাচ নয়- এটা এক মৌসুমের সব স্বপ্ন, লড়াই আর অপেক্ষার পরিণতির সন্ধিক্ষণ।
ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি? ইউরোপের দুই প্রান্তের দুই শক্তিধর—বার্সেলোনা ও ইন্টার মিলান। একে অন্যের চেনা প্রতিপক্ষ, পুরোনো এক প্রতিদ্বন্দ্বিতা। ২০০৯-১০ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে ঠিক এই দুই দলের লড়াইয়েই ফুটবলবিশ্ব দেখেছিল ঐতিহাসিক নাটকীয়তা। পেপ গার্দিওলার দুরন্ত বার্সাকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল জোসে মরিনহোর ইন্টার মিলান।
তারপর কেটে গেছে অনেক বছর, বদলেছে খেলোয়াড়, বদলেছে কোচ, বদলেছে জার্সির ছাঁট। কিন্তু বদলায়নি এই লড়াইয়ের উত্তেজনা—যা আবার প্রমাণ হলো প্রথম লেগেই।
প্রথম লেগ: গোলের বন্যা, ইয়ামালের জাদু বার্সেলোনার অলিম্পিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রথম লেগ যেন ছিল এক চলচ্চিত্রের মতো নাটকীয়। মাত্র ২০ মিনিটেই দুই গোলে পিছিয়ে পড়েছিল বার্সা। ইন্টার তখন আক্রমণে ধ্বংসাত্মক। কিন্তু সেখান থেকেই পাল্টে যায় দৃশ্যপট—মঞ্চে আসেন মাত্র ১৭ বছরের লামিন ইয়ামাল। তার পায়ের কারুকাজে ফিরে আসে বার্সেলোনা। ম্যাচে সমতা ফেরানো থেকে শুরু করে নিয়ন্ত্রণ—সবই যেন ইয়ামালের ছোঁয়ায়। শেষ পর্যন্ত ৩-৩ গোলের এক রুদ্ধশ্বাস সমতায় শেষ হয় ম্যাচ। এই ফল আজ রাতের দ্বিতীয় লেগকে বানিয়ে তুলেছে এক অনিশ্চিত, টানটান ও চরম উত্তেজনার লড়াই।
ইনজুরি আপডেট: কারা থাকছেন, কারা মিস করবেন?
সান সিরোর গুরুত্বপূর্ণ সেকেন্ড লেগের আগে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারে বার্সেলোনা শিবির। ইনজুরি কাটিয়ে স্কোয়াডে ফিরেছেন রবার্ট লেভানডভস্কি—এই ম্যাচের মতো হাই-ভোল্টেজ লড়াইয়ে যার উপস্থিতি দারুণ গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
লেভানডভস্কি ফিরে এলেও বার্সার জন্য দুঃসংবাদ রয়েছে। ইনজুরির কারণে থাকছেন না ডিফেন্সের অন্যতম ভরসা জুল কুন্দে। সেই সঙ্গে সাইডব্যাক আলেখান্দ্রো বালদেও ছিটকে গেছেন দলে থাকা সম্ভাবনা থেকে। এই দুজনের অনুপস্থিতি ফ্লিকের পরিকল্পনায় বড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
অন্যদিকে ইন্টার মিলান শিবিরেও রয়েছে উৎকণ্ঠা। ইয়ামালকে ঠেকানোই যেখানে এক বিশাল চ্যালেঞ্জ, তার উপর ইনজুরির তালিকায় যোগ হয়েছেন দুই মূল খেলোয়াড়—লাউতারো মার্তিনেজ ও বেঞ্জামিন পাভার। এখনো নিশ্চিত নয় তারা শেষ পর্যন্ত একাদশে থাকবেন কি না।
ইয়ামাল বনাম ইন্টার মাত্র ১৭ বছর বয়সেই চ্যাম্পিয়নস লিগ মাতাচ্ছেন লামিন ইয়ামাল। অলিম্পিক স্টেডিয়ামে তার পায়ের কারুকাজে বার্সা ফিরে এসেছিল অসম্ভব থেকে। প্রতিপক্ষের ভয়ের কেন্দ্রবিন্দুতে এখন এই কিশোর। ইন্টারের কোচ ইনজাগি পর্যন্ত জানিয়ে দিয়েছেন, ‘আমাদের পরিকল্পনার মূল—ইয়ামাল যেন বল না পায়। কারণ বল পেলেই সে কিছু একটা করে ফেলে।’
কৌশলগত লড়াই: ফ্লিকে বনাম ইনজাগি বার্সেলোনার কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই হ্যান্সি ফ্লিক বদলে দিয়েছেন দলের ছন্দ। তার ‘ব্যাক লাইন কন্ট্রোল’ স্ট্র্যাটেজি রিয়াল মাদ্রিদের মতো ক্লাবকেও করেছে নাস্তানাবুদ। তবে আজকের ম্যাচে চ্যালেঞ্জটা সম্পূর্ণ আলাদা। ডিফেন্সে গুরুত্বপূর্ণ দু’জন খেলোয়াড়কে না পেয়ে ফ্লিককে আজ রক্ষণে চালাতে হতে পারে বিকল্প কৌশল।
ইন্টারের দিক থেকে ইনজাগির পরিকল্পনা স্পষ্ট—উচ্চ প্রেসে বার্সার মিডফিল্ড ভেঙে দেওয়া এবং প্রতি-আক্রমণে গোল খোঁজা। আর বাড়তি উৎসাহ দেবে সান সিরোর গর্জে ওঠা দর্শকরা, যারা নিজেদের ক্লাবের ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন নিয়ে হাজির হবেন স্ট্যান্ডে।
সান সিরোর রাত—ফুটবলের মহাসমারোহ আজ রাত সান সিরোতে শুধু ৯০ মিনিটের খেলা নয়—এটা দুই ইতিহাসের, দুই দর্শনের, দুই পরিকল্পনার লড়াই। গোলের উৎসব, ক্ষণিকের কান্না, আর ফুটবলের মহারোমাঞ্চ—সবকিছু মিলিয়ে আজকের ম্যাচ হতে যাচ্ছে একেবারে ‘ইউ মিস আই হিট’ ধাঁচের। কেউ হাসবে, কেউ ভাঙবে। কিন্তু ফুটবলপ্রেমীরা নিশ্চিতভাবেই ফিরে পাবেন এক অবিস্মরণীয় রাত।