cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর সংঘ আসিয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়েছে চীন।
বৃহস্পতিবার চীনা সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানায়, এই দুটি অঞ্চলই এখন চীনের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার। তাদের সঙ্গে ঘন ঘন আলোচনার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সমস্যাগুলো সমাধান করে আরও শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করছে বেইজিং।
আজ চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, মঙ্গলবার ইইউর বাণিজ্য কমিশনার মারোস শেফকভিচের সঙ্গে ভিডিও কলে বৈঠক করেছেন চীনা বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও। এ বৈঠকে বৈদ্যুতিক গাড়ির (ইভি) মূল্য নির্ধারণ ও যানবাহন বা অটোখাতে বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয় দুই পক্ষ। পাল্টা শুল্কের আগে, যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি হওয়া সব গাড়ির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ইউরোপ।
মঙ্গলবারের বৈঠকে চীন ও ইইউ একে-অপরের বাজারে প্রবেশ সংক্রান্ত আলোচনা দ্রুত শুরু করার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং আগে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে পাঠানো চীনা রপ্তানিগুলো ইউরোপে সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে দ্বিপাক্ষিক সংলাপ শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মঙ্গলবার চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং ও ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েনের মধ্যে অনুষ্ঠিত দীর্ঘ বৈঠকের পরই আলোচনায় বসেন ওয়াং ও শেফকভিচ। এখন পর্যন্ত ট্রাম্প প্রশাসন চীনা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। এর জবাবে বেইজিং মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্কের পরিমাণ ৮৪ শতাংশে উন্নীত করেছে।
ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বদলাতে শুরু করেছে বৈশ্বিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক পরিবেশ। পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে চীন ও ইইউ উভয়ের মধ্যেই কিছু সাধারণ উদ্বেগ ভর করেছে। চীনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন চেম্বার অব কমার্স এক বিবৃতিতে জানায়, যুক্তরাষ্ট্র তাদের দীর্ঘদিনের বৈশ্বিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নীতি থেকে সরে আসছে। যে কারণে এমন অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে, যা কখনো দেখিনি আমরা। এ অবস্থায় চীনের সামনে সুযোগ আছে বিনিয়োগকারীদের একটি স্থিতিশীল ও নির্ভরযোগ্য ব্যবসায়িক পরিবেশ দেওয়ার।
শুধু ইইউ না, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গেও যোগাযোগ বাড়িয়েছে চীন। বুধবার মালয়েশিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী তেংকু জাফরুল আব্দুল আজিজের সঙ্গে ভিডিও কলে বৈঠক করেন ওয়াং। মালয়েশিয়া বর্তমানে আসিয়ানের সভাপতিত্ব করছে। বৈঠকে ওয়াং জাফরুলকে বলেন, আসিয়ানসহ সব বাণিজ্য অংশীদারদের সঙ্গে যোগাযোগ ও সমন্বয় জোরদার করতে ইচ্ছুক চীন।
বাণিজ্য যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে ভারতের সঙ্গেও কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে চীন। বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় ভারতে নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র ইউ জিং বলেন, চীন-ভারত সম্পর্ক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের পরিপূরকতা এবং পারস্পরিক সুবিধার ওপর নির্ভরশীল। আমেরিকার এমন অযৌক্তিক শুল্কনীতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ, বিশেষ করে বিশ্বের দক্ষিণাঞ্চলীয় দেশগুলোকে উন্নত হওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। চীন ও ভারতের মতো বৃহত্তম উন্নয়নশীল দেশের উচিত এসব সমস্যা একসঙ্গে মোকাবিলা করা। সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিবেশী জাপান ও কোরিয়ার সঙ্গেও যোগাযোগ বাড়িয়েছে চীন।