cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
উইম্বলডনের সেন্টার কোর্টে রচিত হল ইতিহাস। এক রূপকথার কাহিনী লিখে ইতিহাস গড়লেন চেক রিপাবলিকের ২৪ বছর বয়সী টেনিস তারকা মারকেতা ভন্দ্রুসোভা। উইম্বলডনের ইতিহাসে মহিলা সিঙ্গলসে প্রথম অবাছাই হিসেবে খেতাব জয়ের নজির গড়লেন তিনি। পাশাপাশি নিজের টেনিস ক্যারিয়ারে জিতে নিলেন প্রথম গ্রান্ড স্ল্যামের শিরোপাও। ফাইনালে এদিন উইম্বলডনের ঘাসের কোর্টে তার দুরন্ত টেনিসে রাঙিয়ে তুললেন ভন্দ্রুসোভা। যার কোনও জবাব কার্যত ছিল না তিউনিশিয়ার ওন্স জাবেউড়ের কাছে।
জাবেরের ভাগ্যে টেনিস বিধাতা উইম্বলডন খেতাব লেখেননি। গতবারও তাকে রানার্স আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। এলিনা রিবাকিনার কাছে তাকে খোয়াতে হয়েছিল ট্রফি। গতবছর যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের ফাইনালেও হারতে হয়েছিল জাবেরকে। জাবেরের ‘চোকার্স’ তকমা ঘুচল না এবারও।
পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে শিল্ড নেয়ার সময়ে জাবেরের চোখ জলে ভরে এসেছিল। এদিনের খেলা দেখে মনে হয়নি যে, জাবের খেতাব যুদ্ধে নেমেছেন। কার্যত তিনি অসহায় আত্মসমর্পণ করেন ভন্দ্রুসোভার কাছে। ফাইনালে খেলতে নেমে কোথাও জাবের আগ্রাসনটাই হারিয়ে ফেলেছিলেন। নাহলে তিনি ৩১টি ‘আনফোর্সড এরর’ করতেন না। সেখানে ভন্দ্রুসোভার অনিচ্ছাকৃত ভুলের সংখ্যা মাত্র ১৩! এদিন কেউই সার্ভিস ধরে রাখতে পারেননি। তবে ব্রেক আর পাল্টা ব্রেকের লড়াই দেখেছে অল ইংল্যান্ড কোর্ট। ‘আনফোর্সড এরর’ -এর জন্যই ডুবতে হল জাবেরকে।
প্রথম রাউন্ড থেকে জাবেরের আগ্রাসী খেলা দেখে আসছিলেন উইম্বলডনের দর্শকেরা। যত ফাইনালের দিকে এগোচ্ছিলেন ততই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছিলেন তিনি। কিন্তু ফাইনালে ভুল করার রোগ এ বারও তার গেল না।
প্রথম সেটের পুরোটাই হল ব্রেক এবং পাল্টা ব্রেকের খেলা। কোনও খেলোয়াড়ই নিজেদের সার্ভ ধরে রাখতে পারছিলেন না। আধুনিক টেনিসে পয়েন্ট পাওয়ার অন্যতম অস্ত্র হল সার্ভিস ধরে রাখা। সেই কাজে জাবের এবং ভন্দ্রুসোভা দু’জনেই অন্তত প্রথম সেটে ব্যর্থ। জাবের প্রথম সার্ভ করেন। তিনি নিজের সার্ভ ধরে রেখে পরেরটাতেই ব্রেক করেন ভন্দ্রুসোভাকে। চেক প্রজাতন্ত্রের খেলোয়াড়ও ছেড়ে দেয়ার পাত্র নন। তিনি পরের গেমে ব্রেক করেন জাবেরকে। এক সময় তিউনিশিয়ার খেলোয়াড় ৪০-১৫ এগিয়েছিলেন। সেখান থেকেও সার্ভ ধরে রাখতে পারেননি। টানা তিনটি পয়েন্ট পেয়ে ব্রেক করেন ভন্দ্রুসোভা।
ষষ্ঠ গেমে আবার ভন্দ্রুসোভাকে ব্রেক করেন জাবের। ৪-২ এগিয়ে যান তিনি। মনে করা হচ্ছিল, প্রথম সেট জেতা সময়ের অপেক্ষা। সেই সময়েই প্রত্যাবর্তন করলেন ভন্দ্রোসোভা। একটি-দু’টি নয়, টানা চারটি গেম পেলেন তিনি। দু’বার ব্রেক করলেন জাবেরকে। একের পর এক ‘আনফোর্সড এরর’ (অনিচ্ছাকৃত ভুল) করার খেসারত দিতে হল তিউনিশিয়ার খেলোয়াড়কে।
দ্বিতীয় গেমের শুরু থেকেই ভন্দ্রুসোভাকে আগ্রাসী মেজাজে পাওয়া যায়। প্রথম গেমেই তিনি জাবেরকে ব্রেক করেন। পরের সেটে জাবেরও ব্রেক করেন ভন্দ্রুসোভাকে। চতুর্থ গেমে আবার ভন্দ্রুসোভাকে ব্রেক করে ৩-১ এগিয়ে যান। অনেকেই ভেবেছিলেন, প্রথম সেটের ভুল আর দ্বিতীয় সেটে দেখা যাবে না। কিন্তু ভন্দ্রুসোভা পরের সেটে ব্রেক করলেন জাবেরকে। ৪-৩ এগিয়ে গিয়েও সেখান থেকে ম্যাচ ধরে রাখতে পারেননি জাবের। টানা তিনটি গেম জিতে উইম্বলডনে ইতিহাস লিখলেন ভন্দ্রুসোভা।
উল্লেখ্য, ফরাসি ওপেনের ফাইনালে ২০১৯ সালে পৌঁছেও হারের সম্মুখীন হয়েছিলেন ভন্দ্রুসোভা। ১৯৬৩ সালে বিলি জিন কিংয়ের পরে প্রথম অবাছাই খেলোয়াড় হিসেবে উইম্বলডনের ফাইনালে উঠে আগেই নজির গড়েছিলেন ভন্দ্রুসোভা। এবার ফাইনাল জিতে আরও একটি পালক যুক্ত হল তার কৃতিত্বের মুকুটে।
Leave a Reply