সর্বশেষ আপডেট : ২ ঘন্টা আগে
মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রীষ্টাব্দ | ১১ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

নতুন পার্লামেন্ট ভবন উদ্বোধন করলেন মোদি

ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::

ভারতের নতুন পার্লামেন্ট ভবন উদ্ধোধন করা হয়েছে। রোববার নয়া দিল্লিতে পূজা-আর্চনা ও ধর্মীয় রীতিনীতি অনুসরণ করে উদ্বোধন করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে নতুন পার্লামেন্ট ভবন উদ্বোধন বয়কট করেছে দেশটির বেশিরভাগ বিরোধী দল। কারণ তারা চেয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী মোদির বদলে প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মু এটির উদ্বোধন করবেন।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, দেশটির লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে পার্লামেন্ট ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে সকাল সোয়া ৭টার দিকে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছান নরেন্দ্র মোদি। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কাছে ঐতিহাসিক রাজদণ্ড ‘সেঙ্গোল’ হস্তান্তর করা হয়। নরেন্দ্র মোদি রাজদণ্ডটি নিয়ে লোকসভা কক্ষে যান এবং স্পিকারের চেয়ারের পাশে স্থাপন করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী নতুন পার্লামেন্ট ভবন তৈরির সঙ্গে জড়িত একদল নির্মাণ শ্রমিককে সংবর্ধনা দেন।

এদিকে গত ২৪ মে সম্মিলিতভাবে ভারতের ১৯টি বিরোধীদল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কটের ঘোষণা দেয়। এই তালিকায় কংগ্রেস, তৃণমূল ছাড়াও আম আদমি পার্টি, শিব সেনা (উদ্ধব শিবির), আরজেডি, জেডিইউ, ডিএমকে, এনসিপি, সিপিআইএম-সহ গুরুত্বপূর্ণ বিরোধী দল রয়েছে।

ভারতের পুরোনো পার্লামেন্ট ভবনটি ১৯২৭ সালে তৈরি করা হয়েছিল। এটির বয়স এখন ৯৬ বছর। সরকার বলছিল, বর্তমান সময়ের তুলনায় পার্লামেন্ট ভবনটি উপযুক্ত নয়।

নবনির্মিত পার্লামেন্ট ভবনটি ত্রিভুজাকার আকৃতির ডিজাইনে নির্মিত হয়েছে। চারতলা এই ভবনের মোট বিল্ট আপ এরিয়া ৬৪,৫০০ বর্গ মিটার৷ এই ভবনের তিনটি প্রবেশদ্বার রয়েছে- জ্ঞান দ্বার, শক্তি দ্বার এবং কর্ম দ্বার৷ ভবন নির্মাণে খরচ হয়েছে ১২০০ কোটি রুপি। মোট নয় হাজার শ্রমিক নতুন ভবন নির্মাণে জড়িত ছিলেন। এটির আর্কিটেক্ট ডিজাইন করেন স্থপতি বিমল প্যাটেল।

নবনির্মিত পার্লামেন্ট ভবনটির লোকসভা কক্ষে ৪৪৪জন এবং রাজ্যসভা কক্ষে ৩০০ জনের বসার ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়া উভয় কক্ষের যৌথ বৈঠকের জন্য লোকসভা কক্ষে ১ হাজার ২৮০ জনের বসার ব্যবস্থা রয়েছে। পার্লামেন্ট সদস্যদের জন্য লাউন্জ, লাইব্রেরি, বিভিন্ন কমিটির ঘর, খাওয়া দাওয়ার জায়গা এবং সুবিস্তৃত পার্কিং স্পেস রয়েছে৷ পার্লামেন্ট ভবনের অন্দরসজ্জায় ভারতের তিনটি জাতীয় প্রতীক পদ্ম, ময়ূর এবং বট গাছকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে৷

নতুন পার্লামেন্ট ভবন তৈরিতে ব্যবহৃত সামগ্রীগুলো সারা দেশ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল। যেমন- সেগুন কাঠ আনা হয়েছে মহারাষ্ট্রের নাগপুর থেকে, লাল-সাদা বেলেপাথর আনা হয়েছে রাজস্থানের সরমথুরা থেকে এবং উত্তর প্রদেশের মির্জাপুর থেকে আনা হয়েছে কার্পেট।

করোনা মহামারির সময়ে ২৪ হাজার কোটি রুপির ‘সেন্ট্রাল ভিস্তা’ প্রকল্পের কাজ শুরু করেছিল মোদি সরকার। নতুন পার্লামেন্ট ভবনটি সেই প্রকল্পেরই অংশ। তখনই এই ব্যয়বহুল প্রকল্প নিয়ে নানা মহলে কথা ওঠে। বিরোধীরা সমালোচনা করে। তবে সকল সমালোচনা করে উপেক্ষা করে মোদি সরকার নতুন পার্লামেন্ট ভবন তৈরির কাজ শেষ করে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: