সর্বশেষ আপডেট : ৬ ঘন্টা আগে
বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০২৩ খ্রীষ্টাব্দ | ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

ফের উত্তপ্ত মণিপুর, কারফিউ, সেনা তলব

ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::

নতুন করে আবার সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে ভারতের উত্তর পূর্বের রাজ্য মণিপুরের রাজধানী ইমফল শহরে। ৩ মে জাতিগত দাঙ্গায় মণিপুরে প্রায় একশ জন নিহত হয়েছিল।

সোমবার (২২ মে) বিকালে ইমফলের নিউ চেকন এলাকায় মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায়ের কয়েকজনের মধ্যে বাজারের জায়গা নিয়ে সংঘর্ষ বাধলে নতুন করে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অচিরেই তা হিংসাশ্রয়ী হয়ে ওঠে। ধারালো অস্ত্র বেরিয়ে আসে জনতা। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ নেয়। সেনা তলব করে প্রশাসন। ইমফল শহরে কারফিউ জারি করা হয়। চেনতাই অঞ্চলে যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছিল রাতে তা ছড়িয়ে পড়েছে শহরের অন্যত্রও।

দীর্ঘদিন ধরে মণিপুরের সমতলের বাসিন্দা মেইতেই সম্প্রদায়ের সঙ্গে কুকি এবং নাগা জনগোষ্ঠীর নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠীর বিরোধ চলছে।

মেইতেই সম্প্রদায় অনেক দিন ধরে তফসিলি উপজাতিদের তালিকাভুক্ত হওয়ায় দাবি জানিয়ে আসছে। উপজাতিদের জন্য মণিপুরে আইনগত বেশ কিছু সুযোগসুবিধা ও কোটা রয়েছে।

সম্প্রতি হাই কোর্ট মেইতেই সম্প্রদায়কে তফসিলি উপজাতিভুক্তদের তালিকায় আনা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেন। যার জেরে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর।

হাইকোর্টের নির্দেশের প্রতিবাদে গত ৩ মে ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন মণিপুর’ (এটিএসইউএম) মিছিল করে। ওই মিছিল থেকেই সহিংসতার সূত্রপাত হয়।

এক সপ্তাহ ধরে চলা ওই সহিংসতায় প্রায় একশত জনপ্রাণ হারিয়েছেন। লাখো মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে বাধ্য হয়েছে। সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

সংরক্ষিত বনভূমি থেকে কুকি গ্রামবাসীদের উচ্ছেদ নিয়ে উত্তেজনার কারণে আগে থেকেই সেখানে বিচ্ছিন্নভাবে সংঘর্ষ হচ্ছিল। এর আগে বেশ কয়েক দফা সংঘাত ছড়িয়েও পড়ে।
মণিপুরে মেইতেই সম্প্রদায় সংখ্যাগরিষ্ঠ। রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ৬৪ শতাংশ তারা। কিন্তু রাজ্যের মোট ভূমির মাত্র ১০ শতাংশ তাদের দখলে আছে। কারণ, সেখানে আইন অনুযায়ী উপজাতি ছাড়া অন্যদের পাহাড়ে জমি কেনার অনুমতি নেই।

এখন যদি সমতলের বাসিন্দা মেইতিদের তফসিলি উপজাতিভুক্তদের তালিকায় সংযুক্ত করা হয় তবে তারাও পাহাড়ে জমি কেনার সুযোগ পাবে। যেটিকে অন্যান্য উপজাতিগোষ্ঠি নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য হুমকি মনে করছে।

কুকিদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের নেতৃত্বে রাজ্যের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার পরিকল্পিতভাবে তাদের পাহাড়ি বন ও বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদ করার লক্ষ্যে এসব করছে। বিজেপি সরকার মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধের কথা বলে এবং আফিম চাষ বন্ধ করতে পাহাড়ে যে অভিযান চালাচ্ছে সেটাও তাদের ‘নিজভূমি থেকে উচ্ছেদের লক্ষ্যে চালাকি’ বলে অভিযোগ কুকিদের।

ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক বিভিন্ন বাহিনী মণিপুরে ঘাঁটি গেড়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত পাহারার ব্যবস্থা করেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: