সর্বশেষ আপডেট : ৪ ঘন্টা আগে
মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩ খ্রীষ্টাব্দ | ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

মণিপুরে সহিংসতা দমনে দেখামাত্র গুলির নির্দেশ

ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
ভারতের মণিপুরে চলমান সহিংসতা দমনে দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সামরিক ও আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে।
এখনও রাজ্যটির বিভিন্ন এলাকায় সহিংসতার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার দেশটির সেনাবাহিনী মোরেহ ও কাংপোকপির নিয়ন্ত্রণ নেয়ার দাবি করেছে।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, কেন্দ্র সরকার রাজ্যটিতে অতিরিক্ত সেনা পাঠিয়েছে। আসামের গুয়াহাটি ও তেজপুর থেকে বিমানবাহিনী সহায়তা করছে। সহিংসতা মোকাবিলায় অভিযান পরিচালনা করছেন জ্যেষ্ঠ আইপিএস কর্মকর্তা অশুতোষ সিনহা। এ ছাড়া দিক-নির্দেশনা দিতে সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) সাবেক প্রধান কুলদিপ সিংকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এদিকে মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর উদ্যোগ প্রত্যাশা করেছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে টুইট করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও।

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শুক্রবারও মণিপুরে যাবেন না বলে নিশ্চিত করেছে ভারতের গণমাধ্যম। ভারতের গণমাধ্যমে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার অমিত শাহ মণিপুর ও আশপাশের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। একই দিন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি সভা হয়।

কেন্দ্র থেকে পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অমিত শাহ।

সহিংসতায় এখন পর্যন্ত হতাহতদের সংখ্যা জানায়নি ভারত সরকার, তবে ৯ হাজারের বেশি মানুষ গ্রামছাড়া হয়েছেন। তাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তত্ত্বাবধানে বিশেষ ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচ হাজার বাসিন্দাকে চুরাচাঁদপুর, দুই হাজার বাসিন্দাকে ইমফল উপত্যকা এবং বাকি দুই হাজার বাসিন্দাকে মোরেহের সীমান্ত এলাকায় আশ্রয় দেয়া হয়েছে।

পরিস্থিতির বিষয়ে বৃহস্পতিবার মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ বলেন, ‘আমরা আমাদের জনগণের জানমাল রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ জন্য আইন মেনে যেকোনো পদক্ষেপ নেয়া হবে।’

মেইতে জনগোষ্ঠীকে আদিবাসী অন্তর্ভুক্তি সংক্রান্ত আদালতের এক আদেশের বিরোধিতা করে বুধবার (৩ মে) রাজ্যটিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। তা শেষ পর্যন্ত সহিংসতায় রূপ নেয়।

মণিপুরে মেইতে জনগোষ্ঠী সংখ্যাগরিষ্ঠ, তবে তারা আদিবাসী হিসেবে তালিকাভ্ক্তু নয়। এ কারণে রাজ্যের আইন অনুযায়ী তারা পাহাড়ের স্থায়ী বাসিন্দার সুবিধা ভোগ করতে পারছে না।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: