ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::

মাঠে উদযাপনের কারণে পাওয়া নিষেধাজ্ঞা বহাল ছিল ক্রীড়া আদালতেও। তবে সেই সিদ্ধান্ত শেষ পর্যন্ত টিকল না। রোমেলু লুকাকুর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেন স্বয়ং ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি।

জুভেন্টাসের বিপক্ষে ইতালিয়ান কাপের সেমি-ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে খেলতে তাই আর কোনো বাধা নেই ইন্টার মিলানের স্ট্রাইকারের। নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেয়ে লুকাকু বললেন, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য বড় এক বার্তা এই সিদ্ধান্ত।

বর্ণবাদের ব্যাপারটি লুকাকু টেনে এনেছেন প্রসঙ্গক্রমেই। তার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার মূল প্রেক্ষাপট যে সেটিই! সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে গোল উদযাপনের জন্য দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। ম্যাচের শেষ দিকে যোগ করা সময়ে পেনাল্টি থেকে গোল করে ইন্টারকে সমতায় ফিরিয়ে ইউভেন্তুস সমর্থকদের সামনে গিয়ে ঠোঁটের ওপর আঙুল রেখে মুখ বন্ধ রাখার ইঙ্গিত দেন তিনি। তার এই ভঙ্গিকে ‘উসকানিমূলক’ হিসেবে অবিহিত করা হয়। তবে ঘটনার তদন্তে পরে উঠে আসে, ‘পেনাল্টির আগে, পেনাল্টি নেয়ার সময় ও পেনাল্টির পরে’ বর্ণবাদী আচরণের শিকার হন লুকাকু।

ইতালির স্পোর্টস কোর্ট অব আপিল শুক্রবার (২১ এপ্রিল) বহাল রাখে লুকাকুর নিষেধাজ্ঞা। ইন্টার তাতে অসন্তোষ জানায় প্রবলভাবে। তাদের দাবি বরাবরই ছিল, বর্ণবাদের শিকার হওয়ার পরও শাস্তি দেয়া হয়েছে লুকাকুকে। এরপর শনিবার (২২ এপ্রিল) এই সিদ্ধান্ত বদলে দেন ইতালির ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি গ্যাব্রিয়েলে গ্রাভিনা।

ফেডারেশনের বিবৃতিতে বলা হয়, প্রতিবেদনে পরিষ্কারভাবেই ইঙ্গিত আছে যে, প্রতিপক্ষের সমর্থকদের কাছ থেকে গুরুতর ও বারংবার তীব্র বিদ্বেষ আর বর্ণ বৈষম্যের শিকার হওয়ার পর ম্যাচের পরিচালক ওই খেলোয়াড়কেই শাস্তি দিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত (নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া) আবারও ফুটিয়ে তুলছে যে, সব ধরনের বর্ণবাদের বিপক্ষে লড়াই আমাদের ক্রীড়াঙ্গনের মৌলিক ভিত্তিগুলোর একটি।

লুকাকুর নিজের প্রতিক্রিয়াও অনেকটা একইরকম। তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস, ফেডারেশন সভাপতির হস্তক্ষেপেই ন্যায়বিচায় সম্ভব হয়েছে এবং পুরো ক্রীড়া বিশ্ব, এমনকি এর বাইরেও শক্ত একটি বার্তাও ছড়িয়ে দেয়া গেছে। এতে ফুটে উঠেছে যে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের তাড়না আছে এখানে।

প্রথম লেগ ১-১ ড্রয়ে শেষ হওয়ার পর সেমি-ফাইনালের দ্বিতীয় লেগ হবে ইন্টারের মাঠে আগামী বুধবার (২৬ এপ্রিল)।

সংবাদটি শেয়ার করুন:

• ফেইসবুক
• টুইটার
• গুগল প্লাস
• ইমেইল