সর্বশেষ আপডেট : ৫ ঘন্টা আগে
বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০২৩ খ্রীষ্টাব্দ | ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

সামরিক শাসন নয়, রাজনৈতিক নেতৃত্ব বাংলাদেশের সমৃদ্ধির চাবিকাঠি

ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একটি দেশের সমৃদ্ধির জন্য সামরিক শাসন নয়, রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও সিদ্ধান্ত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

তিনি বলেন, ‘যখনই আমাদের দেশ এই রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বাইরে ছিল, যার অর্থ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সামরিক শাসনের অধীনে, এটি তার উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি নিবন্ধন করেনি। দেশের জনগণকে এটা উপলব্ধি করতে হবে।’

রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবনে জাতীয় প্রশিক্ষণ কাউন্সিলের অষ্টম সভায় সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক নেতৃত্ব ক্ষমতায় আসার সময় প্রতিটি সেক্টরে উন্নয়ন নিশ্চিত করা হয়েছে। অন্তত আমি দাবি করতে পারি যে, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে।’

শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার স্বাধীনতার আদর্শ গ্রহণ করেছে এবং প্রশাসন পরিচালনায় তা অনুসরণ করেছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা এর ফল পাচ্ছি। এই নীতির কারণেই আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছি।’

তিনি আগামী প্রজন্মের সুবিধার্থে উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের এই ধারা অব্যাহত রাখার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে এ বিষয়ে আমাদের নজর রাখতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমাদের কী কী করণীয়, কিভাবে আমরা পথ চলতে পারি, কিভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি, জাতীয় প্রশিক্ষণ কাউন্সিল (এনটিসি) সে বিষয়গুলো সামনে নিয়ে আসবে।

তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে বলেছিলাম, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলব, আজকের বাংলাদেশ কিন্তু ডিজিটাল বাংলাদেশ। এর সুফল কিন্তু একেবারে গ্রাম পর্যায়ে পর্যন্ত মানুষ পাচ্ছে। এবার যে ঘোষণা আমরা আগামী নির্বাচনে দেব, আমরা কিন্তু আগামই ঘোষণা দিয়েছি, তা হলো স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা।

যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দক্ষতা উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, যেকোনো জাতিকে উন্নত করতে হলে প্রশিক্ষণটা একান্তভাবে অপরিহার্য। পৃথিবী পরিবর্তনশীল, এখন হচ্ছে প্রযুক্তির যুগ। প্রযুক্তির যুগের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি, শতভাগ বিদ্যুৎ দিতে পেরেছি, রাস্তা-ঘাটসহ দেশের সার্বিক উন্নতি হয়েছে। সেই সঙ্গে আমাদের জনগোষ্ঠীও যেন আগামী দিনের পথচলায় সমানভাবে প্রশিক্ষিত হয়, সেভাবে আমাদের লক্ষ রাখা উচিত। সেভাবে আমরা এগিয়ে যেতে চাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেকোনো বিষয়ে আমাদের বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। এর জন্য উপযুক্ত জনশক্তিও আমাদের প্রয়োজন।

তিনি বলেন, আমরা ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছি, যেখানে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ হবে। এর জন্য আমাদের প্রশিক্ষিত কর্মী লাগবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের পর যারা আসবে, তারা যেন বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে পারে, গণতান্ত্রিক ধারাতে যেন অব্যাহত থাকতে পারে, সেদিকে আমাদের বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে।

কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে আমরা যদি কৃষি উৎপাদন করি, আমরা অনেক বেশি খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে পারব। সংরক্ষণের ব্যবস্থার পাশাপাশি বাজারজাত করা, এমনকি রপ্তানি পণ্য হিসেবে সেগুলো সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হবে। এটা আমি বিশ্বাস করি।

দেশের দুঃখী মানুষের জন্য কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আমরা চাই জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন এবং দেশকে উন্নত করতে। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে। স্বাধীনতার চেতনায় বাংলাদেশকে পরিবর্তন করতে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: