cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
মিরপুরের শেরেবাংলায় নিজেদের চেনা কন্ডিশনে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি তামিম-সাকিবরা। হেরেছেন প্রথম দুই ওয়ানডেতেই। টানা দুই ম্যাচ হেরে হোয়াইটওয়াশের শঙ্কায় ছিলেন। কিন্তু চট্টগ্রামে সেই শঙ্কার মেঘ উড়িয়ে জ্বলে উঠল টাইগাররা। ব্যাটে-বলে দাপট দেখিয়ে রেকর্ড বইয়ে নাম লেখালেন সাকিব আল হাসান। তার রেকর্ডময় ম্যাচে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়ালো বাংলাদেশ। আড়াইশর কম পুঁজি নিয়েও দুর্দান্ত বোলিংয়ে ‘ইংলিশ পরীক্ষায়’ ভালোভাবেই উতরে গেল তামিম ইকবালের দল। প্রতিপক্ষকে দুইশর আগে থামিয়ে জয় পেল ৫০ রানে।
সোমবার (৬ মার্চ) জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ২৪৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে পঞ্চাশ পেরিয়ে যায় ইংল্যান্ড। ১ রানের ব্যবধানে তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ।
ওয়ানডেতে সাকিব আল হাসানের ৩০০ উইকেট শিকারের রাতে শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে স্বাগতিক দল। ৪৩.১ ওভারে ১৯৬ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। জেমস ভিন্স সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন। সাকিব ৪টি, ইবাদত হোসেন ও তাইজুল ইসলাম নেন ২টি করে উইকেট। মেহেদী হাসান মিরাজ ও মুস্তাফিজুর রহমান নিয়েছেন একটি করে উইকেট।
সিরিজের ফয়সালা ঢাকাতেই হয়ে যাওয়ায় বন্দরনগরীর মাঠে দর্শক ছিল না তেমন। সন্ধ্যার পর দর্শক অবশ্য বেড়েছে খানিকটা। যারা শেষ পর্যন্ত ছিলেন, তারাই কেবল ইতিহাসের সাক্ষী হতে পেরেছেন। সাগরিকায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আগেও একবার জিতেছে বাংলাদেশ। সেটি ছিল ২০১১ বিশ্বকাপের ম্যাচ।
মিরপুরে টানা দুই ম্যাচ হেরে আগেই সিরিজ হাতছাড়া করে বাংলাদেশ। হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাঠে নেমে বড় ব্যবধানে জিতল স্বাগতিকরা। ওয়ানডে সিরিজ শেষ করল ২-১-এ হেরে। ৯ মার্চ চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি। শেষের দুটি মিরপুরে।
বাংলাদেশের দুই মিডলঅর্ডার ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম জুটি গড়ে মাঝারি সংগ্রহের পথ দেখান শুরুতে। পরে সাকিবের অনবদ্য ফিফটি এনে দেয় লড়াকু সংগ্রহ।
মিরপুরের চেয়ে চট্টগ্রামের উইকেট কিছুটা মন্থর ছিল। ২৪৬ রান তুলে ৭ বল আগেই অলআউট হয় বাংলাদেশ। নিজের জার্সি নম্বরের মতোই ৭৫ রান করে আউট হন সাকিব। ৭১ বলের ইনিংসে বাঁহাতি তারকা চার মারেন সাতটি।
বাংলাদেশ ইনিংসের মাঝপথে ক্রিজে এসে সাকিব লড়াই করেন ৪৯তম ওভার পর্যন্ত। জোফরা আর্চারকে ছয় মারতে গিয়ে লংঅনে জেসন রয়ের হাতে তালুবন্দি হন।
তার আগে নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম ৯৮ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে পথ দেখান। ১৭ রানে দুই ওপেনার সাজঘরে ফেরার পর প্রতিরোধ গড়েন শান্ত ও মুশফিক। দুজনই ফিফটি করে আউট হন।
৭১ বলে ৫৩ করে রানআউটের শিকার হন শান্ত। মুশফিক ৯৩ বলে ৭০ রান করে আদিল রশিদের বলে বোল্ড হন। মি. ডিপেন্ডেবল মারেন ৬টি চার। তাদের বিদায়ের পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ফেরেন দ্রুতই। ৯ বলে ৮ রান করে লেগ স্পিনার রশিদের বলেই বোল্ড হন।
সাকিবের সঙ্গে আফিফ হোসেনের জুটিতে আসে ৪৯ রান। ২৪ বলে দুটি চারে ১৫ রান করে কাভার ড্রাইভে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আফিফ। মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম দ্রুত ফিরলে ইবাদত হোসেনকে নন-স্ট্রাইকে বেশি রেখে একাই রান বাড়ানোর চেষ্টা করেন সাকিব।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ : ৪৮.৫ ওভার ২৪৬/১০ (তামিম ১১, লিটন ০, শান্ত ৫৮, মুশফিক ৭০, সাকিব ৭৫, তাইজুল ২, মাহমুদউল্লাহ ৮, আফিফ ১৫, মিরাজ ৫, ইবাদত ১, মুস্তাফিজ ০; ওকস ২৭/১, কারান ৫১/২, আর্চার ৩৫/৩, মঈন ৪৮/০, রশিদ ২১/২)।
ইংল্যান্ড : ৪৩.১ ওভার ১৯৬/১০ (জেসন রয় ১৯, সল্ট ৩৫, মালান ০, জেমস ৩৮, কারান ২৩, বাটলার ২৬, মঈন ২, ওকস ৩৪, রশিদ ৮, রেহান ২, আর্চার ৫; সাকিব ৩৫/৪, মুস্তাফিজ ২৫/১, মিরাজ ৪৬/১, তাইজুল ৫২/২, ইবাদত ৩৮/২)।
Leave a Reply