cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
আর্ন্তজাতিক ডেস্ক ::
৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃত্যুর মিছিল থামছেই না। ইতোমধ্যে দেশ দুটিতে নিহতের সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছেন ১ লাখেরও বেশি মানুষ। এছাড়াও এই ভূমিকম্পের ফলে দুই দেশের প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি ভবন ধ্বংসস্তুপে পরিনত হয়েছে, বাসস্থান হারিয়েছেন কয়েক লাখ মানুষ। এই পরিস্থিতে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা আর্থিক ও মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছে। এই তালিকায় যোগ দিয়েছে বিশ্বব্যাংকও। ভূমিকম্পের পর ত্রাণ ও পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টায় সহায়তা হিসেবে বৃহস্পতিবার তুরস্ককে ১.৭৮ বিলিয়ন ডলার সহায়তা ঘোষণা করেছে বিশ্বব্যাংক।
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাস এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমরা তাৎক্ষণিক সহায়তা দিচ্ছি এবং আমরা সরেজমিনে জরুরি ও ব্যাপক চাহিদার দ্রুত মূল্যায়নের প্রস্তুতি নিচ্ছি। তিনি বলেন, এটি দেশের পুনরুদ্ধার এবং পুনর্গঠনের জন্য অগ্রাধিকার ক্ষেত্রগুলা চিহ্নিত করবে কারণ, আমরা সেই চাহিদাগুলোকে সমর্থন দেয়ার জন্য অপারেশন প্রস্তুত করছি।
এক বিবৃতিতে বিশ্বব্যাংক বলেছে, তুরস্কে বিদ্যমান দুটি প্রকল্প থেকে কন্টিনজেন্ট ইমার্জেন্সি রেসপন্স কম্পোনেন্টের মাধ্যমে ৭৮০ মিলিয়নের তাৎক্ষণিক সহায়তা দেয়া হবে। যা পৌর পর্যায়ে মৌলিক অবকাঠামো পূর্ণনিমাণের জন্য ব্যবহার করা হবে। এছাড়াও বিপর্যয় থেকে পুনরুদ্ধার এবং পুনর্গঠনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সহায়তার জন্য ১ বিলিয়ন অতিরিক্ত অপারেশন প্রস্তুত করা হচ্ছে।
তুরস্কে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাম্বারতো লোপেজ বলেছেন, দেশের চাহিদাগুলো ‘ব্যাপক এবং ত্রাণ থেকে পুনর্গঠন পর্যন্ত পুরো পরিসরে বিস্তৃত।
এদিকে বৃহস্পতিবার সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রথমবারের মতো যায় জাতিসংঘের সহায়তা। তবে সেখানকার উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধারে তাদের যে সরঞ্জাম প্রয়োজন ছিল, সেগুলো দেয়া হয়নি। এ বিষয়টি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন তারা। তবে জাতিসংঘের মহাসচিব গুতেরেস জানিয়েছেন, সিরিয়ায় দ্রুত সময়ের মধ্যে আরও সহায়তা পৌঁছে যাবে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুই দেশ মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা ২১ হাজার ৭১৯ জন। তবে জাতিসংঘ হুঁশিয়ারি দিয়েছে এই ধ্বংসযজ্ঞের পুরো চিত্র এখনো পরিষ্কার না। মানে মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বাড়তে পারে।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার পর্যন্ত তুরস্কে ১৮ হাজার ৩৪২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অপরদিকে সিরিয়ায় উদ্ধার হয়েছে ৩ হাজার ৩৭৭টি মরদেহ। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধারে এখনো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। কিন্তু ভূমিকম্পের পর প্রায় ১০০ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ায় কাউকে আর জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা কমে এসেছে।
অপরদিকে যাদের উদ্ধার করা হয়েছে তারাও নিদারুণ কষ্টে আছেন। অসংখ্য মানুষ তীব্র ঠাণ্ডার মধ্যে আশ্রয় ও খাবার ছাড়া থাকায় তাদের জীবনও সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে। তুরস্কের সাধারণ মানুষ এখনো উদ্ধারকাজের ধীরগতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন। তারা বলছেন, কিছু কিছু জায়গায় ভূমিকম্পের তিন দিন পর উদ্ধারকারীরা এসেছেন। ফলে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়েও যারা জীবিত ছিলেন তারা তীব্র ঠাণ্ডা ও পানির অভাবে মারা গেছেন।
সূত্র: এএফপি
Leave a Reply